শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন একার হাতে(সত্য ঘটনা)
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বেশ কয়েকদিন আগে আমার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি নিয়ে একটি পোস্ট দেখলাম। যেটা দেখে সত্যিই আমি একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছি। আমি আমার নিজের সুবিধার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামটি উল্লেখ করছি না। তবে আমি একটি ইউনিভার্সিটির কথা বলছি এবং যে ব্যাপারটি শুনলে আপনারাও অবাক হবেন।
একটি ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বেতন কতো হওয়া উচিত বলে, আপনি মনে করেন? সে যাই হোক, কমেন্ট বক্সে আপনাদের উত্তর আশা করি দেখতে পাবো আমি। এখন মূল কথায় চলে আসি।
একটি ইউনিভার্সিটিতে অতীতে একটি ট্রাস্টি বোর্ড ছিলো। যার চেয়ারম্যান প্রতিমাসে বেতন নিতো এক লক্ষ টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে একজন রাজনৈতিক ক্ষমতাবান লোক এসে সেই চেয়ারম্যান কে সরিয়ে দেয় এবং নিজে সেই চেয়ারম্যান পদ দখল করে এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসে তিনি সম্মানী নেন ১৩ লক্ষ টাকা করে!
আপনি চিন্তা করতে পারছেন, একটি ইউনিভার্সিটিটা কে কিভাবে চুষে খাচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য। শুধু তাই নয়, তিনি শুধুমাত্র একাই ১৩ লক্ষ নেন প্রতিমাসে তা নয়। সে সাথে তার স্ত্রীর সম্মানী ও প্রতিমাসে ১৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ তারা দুইজন মিলে প্রতিমাসে ইউনিভার্সিটির একাউন্ট থেকে টাকা নেন প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার মতোন।
শুধু তাতেই উনারা থেমে থাকেন না। উনাদের যতো প্রকারের ঘুরাঘুরি, ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা, বিভিন্ন ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্টে খাওয়া ইত্যাদির বিলও উনারা নেন আলাদাভাবে ইউনিভার্সিটি অ্যাকাউন্ট থেকে। আসলে ইউনিভার্সিটি যখন এই ধরনের বাজে মানুষের হাতে চলে যায়। তখন সত্যিই সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পরে। আর বিশেষ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোর অবস্থা তো করুন। কারণ এই ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করার লোকের মধ্যেই সমস্যা থেকে যায়।
আমি তাও আশা করি যে এই ধরনের খারাপ কাজগুলোর জন্য তারা শাস্তি পাবে এবং ইউনিভার্সিটি কিংবা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গতি অন্তত সরকার করবে।
অযোগ্য লোকগুলো যখন যোগ্য স্থানে বসে তখন তা ধ্বংস করে দেয়। ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রতিমাসে নিতো এক লক্ষ টাকা। অথচ যখন অযোগ্য লোকটি চেয়ারম্যান পদে আসে তখন সে বেতন নিচ্ছে ১৩ লক্ষ টাকা। এভাবে লুটেপুটে খাচ্ছে অযোগ্য ব্যক্তিরা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।