কেনো যে এমন হয়?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করি। সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক কোনো উত্তর পাই না। তাই সেই প্রশ্নগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসি। কারণ যদি আপনাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর পাই, সে কারণে। আমরা সব সময় যে মানুষটির কাছ থেকে দূরে থাকতে চাই। অর্থাৎ অভিমান করে দূরে থাকতে চাই। কেনো যেনো তার কাছ থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি না। এটা হয়তো একটা ব্যর্থতা। না হলে এটা হয়তো একটা অপারগতা। কারণ ধরুন যে মানুষটি আপনাকে ইগনোর করছে। যে মানুষটি আপনাকে বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার খারাপ সময়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেই মানুষটিকে আমরা আবার চাই। আমরা আবার তাদের সাথে সময় কাটাতে চাই। কেনো এমন হয়, বলুন তো? অর্থাৎ কেনো আমরা আমাদের সাথে খারাপ করা কিংবা খারাপ চিন্তা করা মানুষটাকেই আবার চাই?
আসলে এর ব্যাখ্যা আমি যেমন দিতে পারবো না। ঠিক তেমন বোধ হয় কেউই দিতে পারবে না। কারণ এর ব্যাখ্যা যে নেই। না থাকার কারণ রয়েছে। না থাকার কারণ হলো, আসলে আমরা সব সময় ওই মানুষটাকে ভালোবাসি। যে মানুষটা আমাদের কষ্ট দেয়। এটা হাস্যকর হলেও সত্যি কথা। অর্থাৎ আমরা সব সময় ভুল মানুষের প্রেমে পরি। ভুল মানুষকে ভালোবাসি, ভুল মানুষকে আমাদের সঙ্গী করি। আর যে সঙ্গী আমাদের প্রয়োজনের সময়ে হাত ছেড়ে চলে যায়।
মাঝেমধ্যে এই প্রশ্নটা সত্যিই নিজেকে করি। যে প্রশ্নটা আপনাদেরকে করলাম। অর্থাৎ কেনো এমন হয়? এমনটা না হলেও পারতো! অর্থাৎ আমাদেরকে যে ভালোবাসে না কিংবা আমাদের খারাপ সময় যে পাশে থাকে না। তাকে কেনো আমরা ভালোবাসি? তাকে কিন্তু আমাদের ভালোবাসার কথা নয়। তাকে আমাদের চাওয়ার কথা নয়। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস দেখুন আমরা তাকেই চাই। আমরা তার জন্যই আবার কষ্ট পাই। তার না থাকার শূন্যতা আমরা বোধ করি। আসলে এই ব্যাপারগুলোর কোনো শেষ নেই। অর্থাৎ আমাদের এই কষ্টের কোনো শেষ নেই। আমাদের এই দুঃখের কোনো শেষ নেই। আমাদের এই অন্যায় চাওয়ার ও কোনো শেষ নেই কারণ হয়তো সবসময় আমরা নিজেকে কষ্ট দিতেই বেশি পছন্দ করি।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন এই কথাটা অনেকটা হাস্যকর কিন্তু এটা বাস্তব। কিন্তু দিনশেষে আমরা এই হাস্যকর কথাটার কাছেই হার মেনে যাই।