মামাতো বোনের জন্মদিনের কিছু মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলে ভালো আছেন নিশ্চয়ই। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি। নতুন বছরের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার ব্লগটি শেয়ার করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করব। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
এবার আমার নানু বাড়িতে যাওয়ার আরো একটা কারণ ছিল আমার মামাতো বোনের জন্মদিন। আমার মামাতো বোনের জন্মদিন জন্য অনেক আগে থেকে প্ল্যান করা হচ্ছিল। আসলে ওরা সবাইকে গ্রামে থাকে।আর একা তো সেভাবে জন্মদিন পালন করা হয় না। আর এবার যেহেতু আমাদের সবার পিঠা খাওয়ার জন্য ঠিক ওই সময়ে যাওয়ার কথা ছিল। তাই সেভাবেই সবকিছু প্ল্যান করা হয়।
আমার নানীও সবাইকে ওই একই সময়ে আমাদেরকে দাওয়াত করেছিল। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিনই ছিল আমার বোনের জন্মদিন। জন্মদিনের জন্য সবাই যে যা পেরেছে ছোটখাটো গিফট নিয়ে গিয়েছিলাম। ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য কোন গিফটই আগে দেইনি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে রেস্ট নিচ্ছিলাম। তারপরে সবাই একটু ঘোরাঘুরি করে বসেছিলাম। আর আমাদের অন্য ছোট সব কাজিনরা মিলে ওর জন্য সুন্দর করে বেলুন দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল। কেকটা গিফট করেছিলাম আমি।কেকটা আগে আমি অর্ডার করেছিলাম। যেহেতু গ্রামে ভালো কেক পাওয়া যায় না। গাইবান্ধা থেকে কেকটা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমার মামাতো বোনের নাম ছিল মাইশা। ওর নামের আর ওর পছন্দের কালার হচ্ছে সাদা। তাই আমি ওর পছন্দের কালার দিয়ে কেকটা অর্ডার দিয়েছিলাম।
বিকেল হতে হতেই দেখি আমার মামাতো বোনের অনেক স্কুলের বান্ধবীরা ও চলে এসেছে। ওর বান্ধবীকে দেখেও আরো বেশি খুশি হয়েছছে।বান্ধবীরা সব ভাইবোনদেরকে একসাথে মিলে কেক কাটার জন্য তো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি চাচ্ছিলাম তোমাদের নানি খালাদের সবার পিঠা বানানো শেষ হবে সবাই একসাথে কাটবো কিন্তু ওদের ধৈর্য ধরে রাখা গেল না। ওরা কেক কাটবে অবশেষে সবাই মিলে কেক কেটে নিয়েছে।গ্রামের বাড়িতে যে যতটুকু যেভাবে পেরেছে সবাই আনন্দ করার চেষ্টা করেছে। কেক কাটা শেষে আবার দেখি সব ভাইবোনরা মিলে একসাথে ডান্স করছে। আর তার মধ্যে আমার মেয়ে অনেক দিন পরে সুযোগ পেয়েছে নাচ করার। তাকে আর আটকায় কে সে তো কোনোভাবে না থামাবে না নাচতেছে তো নাচতেছে।
অবশেষে সবার ইচ্ছে পূরণ হলো জন্মদিন পালন করা হলো। এবার বাচ্চারা সবাই একসাথে ঘুমাবে বাচ্চারা এখনই নিজেদের মধ্যে প্ল্যান করা শুরু করেছে।রাত জেগে বড়দের সাথে ঘুমাবে না ওরা নিজেরা নিজেদের মতো করে ঘুমাবে আনন্দ করবে। তাই আমি আর নিষেধ করিনি। আরো অনেক ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের টাস্ক প্রুফ
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাচ্চাদের আনন্দেই বড়দের আনন্দ। আপনার মামাতো বোন মাইশার জন্মদিনে ভালোই উপভোগ করেছেন যা আপনার পোস্ট পড়ে ই বোঝা যাচ্ছে। তবে আপনাদের থেকে বাচ্চারাই বেশি উপভোগ করেছে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কেক কাটা শেষে রাত্রে ঘুমানোর ব্যাপারটা শুনে আরো ভালো লাগলো। আসলে সবাই এখন থেকে এভাবে সঙ্ঘবদ্ধভাবে থাকলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে। যাই হোক আপনার মামাতো বোনের জন্মদিনে কাটানো অনুভূতির একাংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মামাতো বোনের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। আপনি আপনার মামাতো বোনের জন্মদিনে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। জন্মদিনের আয়োজন টি মোটামোটি বেশ ভালো ছিল। আপনার মামাতো বোনের সময় গুলো অনেক ভালো কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা করছি।