ফুসকা ট্রিট
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের সাথে আমার একটি সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ফুচকা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে বলে আমি মনে করি। ছেলেরা শুধু ফুসকায় কিভাবে না খাওয়া যায় সেই বাহানা খোঁজে। আমার তো ফুচকা খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এবারের ফুচকা খেতে বাইরে যেয়ে খেতে হয় নি ট্রিট টা বাসায় পেয়েছি। এজন্য আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে অন্যরকম মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমরা এখন যেখানে থাকি সেখানে তো আমরা স্থায়ী ভাবে থাকি না অস্থায়ীভাবে থাকি। এখান থেকে যখন আমার অন্য কোথাও চলে যাব আমার মনে হয় এই বাসাটাকে আমি সবচেয়ে বেশি মিস করবো। কারণ এই বাসার সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এর আগে আমি অন্য একটা বাসায় ছিলাম কিন্তু সেখানে তার কোন ভালো স্মৃতি আমার কাছে নেই। কিন্তু এই বাসার অনেক ভালো ভালো স্মৃতি এবং ভালোলাগা কাজ করে। যেটা অন্য কোথাও গেলে আমাকে খুব তাড়া করবে। আমাদের এই বাসা নিয়ে অনেক পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। অনেকেই জানেন যে আমরা এই বাসায় অনেকগুলো ফ্যামিলি থাকে এবং সব সময় কোন না কোন অনুষ্ঠান বা কোন প্রোগ্রাম হয় এ বাসায়।
এই বাসায় অনেকগুলো ফ্যামিলি থাকার কারণে কোন না কোন মাসে কারো না কারো জন্মদিন বিবাহ বার্ষিকী পিকনিক নয় তো এমনি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন প্রায় সময় হয়ে থাকে। তবপ আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের আঙ্কেল থাকেন তার ছেলের বউ এখানে থাকেন না। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন। উনি আসলে আমাদের কাছে এসে প্রায় সারাদিনই গল্প করে। আমাদের কাছে না আসলে না ভালই লাগে না আমরা ওনাকে খুব মিস করি।তিনি হলেন ফ্লোরা ভাবি একজন ডাক্তার তারপর ওনার এত অমায়িক ব্যবহার যা বলে বোঝানো যাবে না।
ভাবি মাঝে মাঝে আসলে আমাদের অনেক কিছু বানিয়ে খাওয়ায়। ভাবি চা খেতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে ওনাকে চা বানিয়ে খাওয়াই কারণ বৌদির চা অনেক বেশি মজা হয়। আর উনি বৌদির চা খেতে পছন্দ করেন । ওনার ছেলে আছে আপনার আমার মেয়ের সমবয়সী ওরা তো আসলে সারাক্ষণ একসাথে খেলাধুলা করে ওদের মধ্যে খুব ভাব । এরকমই সাধারণ একদিন আড্ডা দিতে দিতে ভাবি বললো আমাদেরকে খাওয়াবে। তো বাইরে থেকে খাবার নিয়ে এসে খাওয়াতে চাচ্ছে কিন্তু কিভাবে হবে বুঝতে পারছিল না। তখন আমি ভাবিকে বললাম আমাদের এখানে একটা রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার হোম ডেলিভারি দিয়ে যায়।ভাবি শুনে খুশি হয়ে গেল এবং আমার থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করে দিল ।
জাহিরা ও ভাবীর ছেলের জন্য চিকেন পপ কর্ন অর্ডার দিয়েছেন। যেহেতু বাচ্চারা চিকেন খেতে পছন্দ করে আমার মেয়ে চিকেন অনেক পছন্দ করে। এজন্য ওদের দুইজনের চিকেন পপকর্ন আর আমাদের সবার জন্য ফুচকা। এই রেস্টুরেন্টের একটা ভালো সুবিধা হলো অর্ডার দেয়ার প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসে।যেটা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে।। ভাবির সাথে গল্প করতে করতে খাবার চলে এসেছে।তারপর বৌদির ঘরে আমরা সবাই মিলে গিয়ে ফুচকা খেয়েছি। বৌদির ছোট মেয়ের খুব সুন্দর করে ফুচকা গুলো রেডি করে দিয়েছে। তারপর শুধু খাওয়ার পালা।
খুব সুন্দর একটা মূহুর্ত ছিল।আজ এপর্যন্তই।আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
আসলে বোঝা যাচ্ছে আপনার এই বাড়িতে অনেক ভালো ভালো স্মৃতি রয়েছে, পোস্ট পড়ে মনে হল সবার মধ্যে বেশ বন্ধুসুলভ আচরণ রয়েছে, তাহলে তো অন্য কোথাও গেলে এই বাড়ি লোকেদের কে মনে পড়বেই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সবাই কে অনেক মিস করব।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।