ছোটখাটো যুদ্ধের সমাপ্তি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছোট খাটো এক যুদ্ধের সমাপ্তি সত্যি বলতে মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করলাম।বাচ্চাদের পরীক্ষা মানে মায়েদের অগ্নিপরীক্ষা হয় বলে আমার কাছে মনে হয়।বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় মায়েদের উপর দিয়ে যে কি যায় তা শুধু একজন মা জানে।কতটা টেনশন হয় তা বলে বোঝানোর মতো না।গত ৭ ডিসেম্বর আমার মেয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়।তার অনেক আগে থেকে মনের মধ্যে একটা দুশ্চিন্তা কাজ করছিল।দুশ্চিন্তার জন্য প্রায় সব অভিভাবক কি বাচ্চাদেরকে পরীক্ষার হলে রেখে স্কুলের মাঠে অপেক্ষা করে তা কি করবে সবার সাথে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝতে পারি সবাই খুবই টেনশনে থাকে।। আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকে।
আমার তো দুজন ছেলে মেয়ে একজনকে পড়াতে হলে আরেকজনকে সামলে রাখতে হয়। কারণ ছোট জন সব সময় ব্যাগরা দেওয়ার চেষ্টা করে বই খাতা নিয়ে টানাটানি ছিড়ে ফেলার চেষ্টা তার সর্বক্ষণের। বড়জনকে পড়াশোনা শেষ করে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যাওয়াটা আমার কাছে ছোটখাটো যুদ্ধের সময়।প্রথম পরীক্ষা গুলো দেওয়া গেলেও শেষ পরীক্ষার দিন অনেক রকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল।পরীক্ষার আগের দিনই আমার ছোট ছেলেটা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায় শুনে আমার মা বাড়ি থেকে চলে আসে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য জাহিরা কে সকালে ঘুম থেকে তখন তোলার পর থেকেই সে অনবরত বমি শুরু করে আমি তো ভেবেছিলাম শেষ পরীক্ষাটা দিতেই পারবে না। সেদিন তিনটা পরীক্ষা একসাথে ছিল। সাধারণ জ্ঞান, আরবী আর ড্রয়িং। তিনটা পরীক্ষা যদি না দিতে পারে তাহলে তো মার্ক অনেক বেশি কমে যাবে চিন্তা করছিলাম তারপরও সৃষ্টিকর রহমতে কোন রকম মেয়েকে কোলে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর স্কুলের পরিচালক স্যার আসলে খুবই ভালো ছিলেন সব ছাড়াই অনেক ভালো। স্যার কে বলার সাথে সাথেই উনি আমার মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা দিয়ে ছেড়ে দেন যাতে করে রেস্ট নিতে পারে। আমার মেয়ে আবার বন্ধুদের দেখে অনেক ভালো বোধ করছিল। এটা দেখে আমারও অনেকটা ভালো লাগছিল। এত বেশি নেতিয়ে পড়েছিল যে ওকে মনে হচ্ছিল যেন এখনই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।তারপর একটু স্বাভাবিক হয়েছে।
সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন। ও যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকের টাস্ক প্রুফ -
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতকাল আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। যাহোক আপনার এই ছোটখাটো যুদ্ধের সমাপ্তিতে নিশ্চয়ই আপনি স্বস্তি লাভ করেছেন। আসলে এ সময় বাচ্চাদের বার্ষিক পরীক্ষার মুহুর্তে অভিভাবকদের কিছুটা হলেও কাজের চাপ বৃদ্ধি পায়। যাহোক অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
একজনের পরীক্ষা আর তার মাঝে আরেকজনের শরীর খারাপ, আপনি তো খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন তবে। তবে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে শুনে ভালো লাগলো। সময় আসলে চাকার মতো ঘুরতে থাকে। কখনো খারাপ কখনো ভালো নিয়েই তো জীবন। আশা করছি সকলের এবার সুস্থ থাকবে এবং আপনি মসৃণ জীবনে হাঁটতে পারবেন।