মামার বাড়ির সুন্দর মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগিও আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
এবার অনেকদিন পর নানা বাড়িতে যেয়ে দুদিন ছিলাম আমার মায়ের সঙ্গে। আমার মা তো সংসারের চাপে সারাদিন এত ব্যস্ত থাকে থাকার সময় সুযোগ কম পায়। আগের দিন গিয়ে পরের দিনে চলে আসে। তবে এবার আগে থেকে বলে রেখেছিলাম যে এবার গিয়েই দু একদিন থাকবো। যাই হোক আর সব মিলিয়ে আম্মু থাকতে পেরেছিল এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এবার অনেকগুলো প্ল্যান নিশে গিয়েছিলাম সব গুলো মোটামুটি সফল হয়েছে।
প্রথমত আমার ইচ্ছা ছিল আমার ছেলে মেয়েগুলোকে একদম গ্রামে মাটির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবে। গ্রামে পরিবেশ সবকিছু সাথে কয়েকটা দিন নিজেদের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেবে। যদিও আমার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে তারপর সেখানে গিয়ে সেভাবে মেশার সুযোগ পায় না কারণ সেখানে সেরকম কোনো বাচ্চা থাকে না বলে। এখানে আমার নানুবাড়িতে আমার কাজিনরা আছে।ওদের সঙ্গে আমার মেয়ে এত বেশি খেলতে পছন্দ করে কি আর বলবো ওদেরকে ছেড়ে তো কোন ভাবে আসতেই চায়না। আমার কিছু ছোট মামাতো খালাতো ভাই বোন আছে ওদের সঙ্গে আমার মেয়ে অনেক আনন্দ করে। আমার কাছে মনে হয় মেয়েটাকে আমি একটু খুশি রাখতে পারছি খুশী দেখছি এটা চেয়ে বেশি আনন্দ আর আমার কোন কিছুতেই হয় না। আমার মেয়ে মাথায় যে ব্যান্টটা পড়ে আছে সেটা আমার মামাতো বোন বানিয়ে দিয়েছে।ক্লে দিয়ে খুব সুন্দর করে বানিয়েছে। ক্লে দিয়ে অনেক কিছুই বানাতে পারে। আমার মেয়ে তো এই ব্যান্টটা খুবই পছন্দ করেছে এবং আসার সময় নিয়েও এসেছে সাথে করে। আমি নানুর পুরাতন বাড়িতে যেয়ে চর দেখতে গিয়েছিলাম। আমার নানুবাড়ি নদীর পাড়ে অনেক জমিতে চর পড়ে গেছে অনেক সবজি অনেক কিছুই চাষ করা হয়েছে। আমার মেয়ে সেগুলো দেখে এত বেশি আনন্দ পেয়েছে কি আর বলবো। আমি ঘুরতে যেয়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সব কিছুর অনেক অন্যরকম হয়ে গেছে আমি ছোটবেলায় আবার নানা বাড়ি গিয়ে যে রকম দেখেছি এর আগের মত নেই। আমার মেয়ে বড় হলে তার মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে সেও এগুলো মনে করে এক সময় আনন্দ পাবে। ওদেরকে নিয়ে আমি কিছুটা সময় কাটিয়ে আসি আমার নানুবাড়িতে তবে আমি ভেবেছিলাম ছোট দুই বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছি জানিনা কার কি শরীর খারাপ হবে। তবে কারো কোন সমস্যা হয়নি আমরা খুব ভালোভাবেই ফিরে এসেছিলাম।
আমার মা বেশিদিন যে থাকার সুযোগ পায় না বলে গ্রামের অনেকের সঙ্গে দেখা হয় না। আম্মুর এক জেঠি মার সাথে অনেক দেখা হয় না। আমি প্ল্যান হয়ে গিয়েছিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে আম্মুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই নানুর সঙ্গে দেখা করতে। নানুর সঙ্গে দেখা করে আমার আম্মুও খুব খুশি হয়েছে। এরপর নানুর পুরাতন বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন আরেক নানুর সঙ্গে দেখা তার সাথে আজ আমার প্রায় ১৫ বছর পরে দেখা। সঙ্গে এতদিন পরে দেখার কারণ আমি বিদেশে থাকেন অনেকদিন পর পর আসেন। যদি আমার নানুর পাশের বাড়িতে বাসা কিন্তু উনি হয়তো যখন দেশে ছুটিতে আসেন তখন আমি নানু বাড়িতে যাই না। তাই দেখাও হয়না। তার সাথে দেখা করে এত বেশি ভালো লাগছিল কি আর বলবো। এরপরে তাকে আবার নিয়ে গিয়েছিলাম আম্মুর সঙ্গে দেখা করাতে। আম্মু আমার খালামণিরা সবাই দেখে অনেক বেশি খুশি হয়েছে। কারণ তাদের সঙ্গেও দিন পরে দেখা হল। এরপর রাতের বেলা সবাইকে ভিডিও কলে কথা বলিয়ে দিয়েছিলাম আমারআরেক খালামনির সঙ্গে যিনি স্পেনে থাকেন। কিন্তু অনেক বছর তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ হয়নি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। উনি সবার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম যে এবার বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে তার আলাপ করিয়ে দেবো। বাড়িতে গিয়ে রাতে হ্য সবার সঙ্গে ভিডিও কলে তার সাথে কথা বলে দিই। আমার নানির ভাতিজি হয়।আমার নানি অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছে। আমাকে মন খুলে দোয়া করেছে।এটাই আমার চাওয়া।অনেক আনন্দে কাটিয়েছি দুটো দিন। এরপর বিদায় নেয়ার পালা।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের টাস্ক প্রুফ -
টুইটুইটার লিংক