মেয়ের স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কিছু মূহুর্তে
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গত মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখ ছিল আমার মেয়ের স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বছরের শুরুটা শুরু হয় স্কুল জীবনে নানা ধরনের অনুষ্ঠান দিয়ে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এসব গুলা আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আর বাচ্চারা তো অনেক বেশি এনজয় করে এই মুহূর্তগুলো সারা বছর বাচ্চাদের শুধু পড়াশোনা পরীক্ষা এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। বছরে শুরুর কিছুটা দিন এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকলে বেশি খারাপ লাগে না বাচ্চাদের সাথে আমিও এই জিনিসগুলো খুব বেশি ফিল করি। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেকে একমত হবেন নিশ্চয়ই আমি এই সময়টাতে আমার মেয়েকে অনেক বেশি সময় দেওয়ার চেষ্টা করি যাতে ওর কোন অসুবিধা না হয়। এই সময় গুলো স্কুল আমি একদমই মিস করতে চাই না। কারণ বাচ্চারা কোনোভাবে যেন কোন আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় এটাই আমি সবসময় চিন্তা করি।তো আমার মেয়ের স্কুলে প্রতিযোগিতা আর বাচ্চাদের স্কুলটা এত বেলুন দিয়ে নানা রঙে এত সুন্দর করে সাজিয়েছে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। এক নতুন রূপ ধারণ করেছে আমি তো অপেক্ষায় ছিলাম একের পরে কখন আমার মেয়ের খেলাটা শুরু হবে। জাহিরা এত খেলা নিয়ে অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল বাসায় অনেক রকম খেলার অনুশীলন করছে কিন্তু যেসব খেলার প্র্যাকটিস করেছে সে ধরনের কোন খেলা স্কুলে ছিল না।গত বছর জাহিরা স্কুলে বেলুন ফাটানোতে ফার্স্ট হয়েছিল এবার খেলাটা একটু ঘুরিয়ে দিয়েছিল ওদের হাতে বেলুন দিয়ে বলেছিল ফুলিতে ফোলাতে ফোলাতে পাঠাতে হবে। ভেবেছিলাম আমার মেয়ে পারবে না। কিন্তু তারপরও আমার মেয়ে অনেক চেষ্টা করে সেই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিল। আস্তে আস্তে বড়দের খেলা শুরু হয় বড়দের খেলা গুলো অনেক বেশি আনন্দদায়ক ছিল। চামচ খেলা দিচ্ছিল কেউ অংক দৌড় কেউ বা দড়ি লাফ। এরপর প্রতিযোগিতা চকলেট দৌড় এসব নানা রকম খেলা দেখে আমি নিজেও যেন ছোটবেলায় কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম।
যেদিন স্কুলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিভাবক উপস্থিত ছিল। কারণ বেশিরভাগ প্লেন নার্সারি ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের সাথে তাদের মা এসেছে। যাতে করে তাদের সন্তানরা ভালোভাবে খেলে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর স্কুলের শিক্ষকদের কথা কি বলব তারা এত বেশি ধৈর্যশীল তারা এত ধৈর্য নিয়ে সারাটা দিন খেলায় বাচ্চাদেরকে আনন্দ দিয়েছে মাতিয়ে রেখেছে।অনেক কৃতজ্ঞ থাকার প্রয়োজন। বাচ্চাদের খেলা বড়দের খেলা শেষে আবার ও ছোটদের খেলায় ফিরে এসেছিল কিন্তু আমার স্কুলে একটা নিয়ম করেছে যে কেউ যদি একটা খেলায় বিজয়ী হয় তাকে আর অন্য খেলায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। যাতে করে অনেকেই পুরস্কার পায় অনেকেই বিজয়ী হয় সবার যাতে মন খারাপ না হয় এই জন্য এই নিয়মটি চালু করেছে। তাই আমার মেয়ে আর কোন খেলা দিতে পারব না জন্য মন খারাপ করেছিল। আমি অনেক বুঝিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছি বলেছি তুমি তো একটাতে পুরস্কার পেয়েছ আর তোমাকে কোনটাতেই করতে হবে না তবে আমার মেয়ে পড়ে বুঝতে পেরেছে। আর পরে মন খারাপ করেনি। সবার বাচ্চাদের খেলা শেষ হলে এরপর অভিভাবকদের দুটো খেলার ছিল সেখানে কিন্তু আমি একটা খেলাতো অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কারণ আমার কোলে আমার ছোট ছেলে ছিল। অভিভাবকদের জন্য বালিশ খেলা ছিল আর হাড়িভাঙ্গা ছাড়া ছিল ইনজয় করেছি। খুব মজা লেগেছে যদি নিজেও অংশগ্রহণ করতে পারতাম তাহলে আরো অনেক বেশি ভালো লাগতো। যাই হোক আমার মেয়েরা যে একটা খেলায় বিজয়ী হয়েছে এতে আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছি। আমার মেয়েটা যাতে সব কিছুতেই এভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সবার কাছ থেকে আমার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া প্রয়োজন।আশা করি আপনারা সবাই অনেক অনেক দোয়া করবেন।
আজকের মতোএখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের টাস্ক প্রুফ -

টুইটারলিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট বাচ্চাদের সাথে মায়েরা না গেলে বাচ্চারা তো কান্না শুরু করে দিবে আপু। আপনাদের ভাইয়ের স্কুলেও দেখি বাচ্চাদের সাথে মায়েদের আসতে। স্কুলে ক্রীয়া প্রতিযোগিতা হলে আমি চেষ্টা করি গিয়ে দেখার জন্য। কেমন না ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। স্কুলটা দেখছি বেলুন দিয়ে দারুন ভাবে সাজিয়েছে। মেয়ের স্কুলের বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতায় অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।
আমার পোস্ট টি পড়ে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।