দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ সারা জীবনের কান্না ||by ripon40 by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ সারা জীবনের কান্না
- ০৯, জুলাই ,২০২৩
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ সারা জীবনের কান্না " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
মানুষের জীবনে চলার পথে কখন বিপদ আসবে কেউই জানে না। যে বিপদগুলো কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারে না তার সাথে ঘটে যাবে। ঠিক তেমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে গতকাল। যখন আপনি বিপদের সম্মুখীন হবেন তখন বুঝতে পারবেন বাস্তবতা সম্পর্কে জীবনের মূল্য কতটুকু নিজেকে কিভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
গতকাল সেই বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। আমি এর আগে কখনো বাইক এক্সিডেন্ট এর সম্মুখীন হয়নি কিন্তু এবার আর রেহাই হলো না। এমন কিছু এক্সিডেন্ট আছে নিজের ভুলের কারণে হয়ে থাকে আবার এমন কিছু দুর্ঘটনামূলক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে যেটা অন্যের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকান্ডের কারণে। গতকাল সন্ধ্যা টাইমে একটু শহরের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম আমার সাথে একজন ফ্রেন্ড এবং ভাতিজা ছিল। আমরা তিনজনই গাড়ি চালাইতে পারি কিন্তু আমার বন্ধু ভালো এক্সপার্ট গাড়ি চালাতে তাছাড়া ভাতিজা অনেক ভালো গাড়ি চালাইতে পারে।
গতকাল গাড়ি চালানোর দায়িত্বটা ভাতিজা নিয়ে ছিল সে খুব স্বাভাবিকভাবে ধীরে ধীরে গাড়ি নিয়ে আমরা শহরে উদ্দেশ্যে রওনা দেই। শহরে পৌঁছানোর পর আমাদের কাজগুলো কমপ্লিট করে তারপর আমার এক বন্ধুর বাসায় যাই সেখানে গিয়ে তার সাথে কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার পর আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। শহর থেকে আমাদের বাসা তিরিশ কিলোমিটার দূরে বাড়ি যেতে সর্বোচ্চ আধা ঘন্টা লাগবে। মাঝে মাঝে অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল বিভিন্ন দোকানে অবস্থান নিয়ে আবার যখন বৃষ্টি কমে যায় আবার রওনা দেই। হাইওয়ে থেকে যখন গ্রামের সাইড রাস্তায় প্রবেশ করি কিছুদূর যেতে না যেতেই দুর্ঘটনার স্বীকার হই। গাড়ির গতি কেমন একটা ছিল না সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পার হওয়ার।
আমি গাড়ির পিছনে বসে ছিলাম ভাতিজা গাড়ি চালাচ্ছিল স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু রাস্তার মাঝে ডিস লাইনের তার এমন ভাবে রেখে গিয়েছে দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নাই যেটা একদমই দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকান্ড। এমন সময় তার সাথে আমাদের গাড়ির টাইমিং হয় তখন আর কিছু করার ছিল না ভাতিজার গলায় তার পেঁচিয়ে আমরা ছুটে সাইটে পড়ে যাই। পাঁচ মিনিট আমার কোন সেন্স ছিল না বৃষ্টির পানি জমে আছে সেখানে আমি শুয়ে আছি এদিকে ভাতিজার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি আমাকে বাঁচাও। তখন তাড়াতাড়ি করে উঠে তার অবস্থা দেখে আমি তো অবাক তার হাত পা মুখ সব জায়গায় এমন ভাবে কেটে গিয়েছে রক্তে জর্জরিত ।
সেখান থেকে হসপিটাল এক কিলোমিটার দূরে ছিল ।সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দ্রুত তাকে সেখানে নিয়ে যাই গিয়ে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে সেখানে তাকে ভর্তি করি। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের জন্য যে দুর্ঘটনা টা ঘটেছে তার আইনগত ব্যবস্থা নেব। হসপিটালে ডাক্তার অনেকগুলো ছবি তুলে রাখলো তিনি আমাদের বলেছেন হ্যাঁ এর ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের বিবেক বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার করা উচিত কারণ একটি বুদ্ধিহীনতা কর্মকাণ্ডের কারণে একজন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে । ঠিক সেই রকম একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে গিয়েছি। আমার ভাতিজার এখনো হসপিটালে ভর্তি করে রেখেছি আমার শুধু হাতে কেটে গিয়েছে তার অবস্থা খুবই গুরুতর তার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
এক্সিডেন্ট টা অল্প স্বল্প পর দিয়েই গেছে বেঁচে গেছ তিন জনাই এটাই আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া।
বৃষ্টি হলে বা বৃষ্টির পরে গাড়ি চালানো এমনিতেই একটু রিক্স থেকে যায়। তবে ভাতিজার অবস্থা দেখলাম একটু বেশি খারাপ হাত পা মুখ সব জায়গায় একদম ছিলে গেছে 😂😂।
যাহোক আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করো তারপর পরবর্তীতে সাবধান হয়ে যাও।
এটা সত্যি বলেছেন ভাইয়া দ্বায়িত্ব ঙ্গানহীন কাজ সারাজীবনের কান্না। আর বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়েই আসে তখন আমরা যতই সচেতন থাকি না কেনো।দোয়া করি আপনারা দুজনেই তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রাস্তার মাঝে ডিস লাইনের তার রাখা এটা সত্যিই দায়িত্বহীনতার একটি কাজ। যা আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারতো। এরকম দায়িত্বহীন কাজের জন্য যারা প্রকৃতপক্ষে দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত খুব তাড়াতাড়ি। আপনাদের এই এক্সিডেন্টের বিষয়টা আমি ডিসকর্ডে কথা বলার সময় জানতে পেরেছিলাম। আপনার এবং আপনার ভাতিজার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই।