ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ভ্রাতৃত্বের-রক্তের-আত্মিক’ //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হোক ভ্রাতৃত্বের-রক্তের-আত্মিক’
- ০৩, ডিসেম্বর ,২০২৪
- মঙ্গলবার
বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে এরকম ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। একটি দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণ ও শ্রেণী পেশার মানুষ বসবাস করে। যখন প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি শুরু হয় তখনই দেখতে পাই বিভিন্ন ধর্মের উৎস কে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা। যেটা একটি দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে যথেষ্ট। যেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ যখন দেশের থেকে বড় হয়ে যায় তখন দেশের শৃঙ্খলা আর থাকে না।
বাংলাদেশে সরকার পতনের পর অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গিয়েছে। একটি দেশের সরকার কাঠামো যখন ধ্বংস হয় তখন সে দেশের মধ্যে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে বা রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য উঠেপড়ে লাগবে এটাই স্বাভাবিক। অজস্র মানুষ এই নোংরা রাজনীতির খেলায় জীবন দিয়েছে। এখনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কিন্তু একটি দেশের নাগরিক হিসেবে সচেতন হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা দেশেই কিছু উগ্রপন্থী মানুষ থাকে যাদের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আবার এমন কিছু লোক আছে না বুঝে না শুনে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এইতো কিছুদিন আগে তিনটা কলেজের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায় ১০ জন নিহত হয়। সরাসরি এই বিষয়গুলো দেখার পর আসলেই অনেক খারাপ লাগার বিষয় । মানুষ কতটা জ্ঞানহীন হলে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে। আর কিছু বলতে চাই না বললে শেষ হবেনা।
আমাদের দেশে মুসলমানদের পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থান। আমারও অনেক বন্ধু আছে যারা হিন্দু তাদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক কখনো মনে করি না তারা আমাদের থেকে আলাদা। বর্তমান রাজনীতি হয়ে গিয়েছে ধর্ম কেন্দ্রিক এটাই হলো মূল সমস্যা। একটি সময় ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ একই দেশ ছিল। সময়ের বিবর্তনে তিনটি দেশের সৃষ্টি হয়েছে। আজ আমাদের বড় পার্থক্য হলো মানসিকতার। প্রতিটা মানুষ যদি তার মনুষত্ববোধের পরিচয় দিয়ে থাকে তাহলে এত বিশৃঙ্খলা কখনোই তৈরি হতো না। আজ আমরা যদি ইউরোপের দিকে তাকাই তাদের ভ্রাতৃত্ব ঐক্য কতটুকু সেটা উপলব্ধি করলেই বুঝতে পারবেন। সমাজে সুশীলতার খুবই অভাব। সেজন্য যে কোন ঘটনাকে লেলিয়ে না দিয়ে নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক।
যখন আমরা এই কাজটি করতে পারব। আমাদের সমাজে যে সকল চক্রান্তকারী ব্যক্তিবর্গরা আছে তাদের পরাজয় ঘটবে। ভারত বৃহৎ বড় রাষ্ট্র তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকুক সেটাই প্রত্যাশা করি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় না রাখলে কখনোই শৃঙ্খলা ফিরে আসবেনা। তাই প্রতিহিংসার জালে পা না দিয়ে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হবে। দু'দেশের মধ্যে আগে যেমন ভ্রাতত্ব ভালোবাসা বন্ধুসুলভ আচরণ বজায় ছিল সেই রকম সম্পর্ক বজায় থাকুক সেই প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভারত-বাংলাদেশের মাঝে হঠাৎ করে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এটা সত্যি অনেক দুঃখজনক। আসলে আমরা সকলেই শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাই আমরা সবার সাথে মিলেমিশেই থাকতে চাই। অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া।
আমরা সব সময় চাই কিন্তু দেশের সম্পর্ক ভালো থাকুক। যেটা দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
তুই দেশের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব মূলক এই মেসেজটুকু দেওয়া খুব প্রয়োজন। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সেই মেসেজটা প্রদান করলেন। আসলে এই দুই দেশ অনেক পুরনো বন্ধুত্বের বন্ধনে জড়িত। আমাদের কখনোই উচিত না সেই বন্ধন ভুলে যাওয়া। শুধুমাত্র রাজনীতির কারবারীরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য দুই দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে।
অতীতের সকল কথা ভুলে গেলে চলবে না । সেজন্য সহযোগিতা মূলক কর্মকাণ্ডে আমাদেরকে লিপ্ত থাকতে হবে যেটা দু'দেশের জন্য অনেক ভালো হবে।