করলা দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আজ আমি আপনাদের এমন একটা রেসিপি দেখাবো যেটা অনেকের কাছে খুবই প্রিয় আবার অনেকের কাছে একদমই অপ্রিয়। আমি আজ আপনাদের সাথে করলা দিয়ে শুটকি মাছের একটি রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। করলা তেতো এবং শুটকি মাছ গন্ধ হওয়ায় অনেকেই এই খাবার দুইটা পছন্দ করে না। কিন্তু আমার রেসিপি ফলো করে করলা দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করলে গন্ধ ও তেতোভাব কোনটিই খাবারে আসবে না।
করলা কেটে লবণ দিয়ে ভালো করে চটকে নরম করে নিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।এতে করলার অনেকটা তেতোভাব দূর হবে।
এবং শুটকি মাছের গন্ধ দূর করার জন্য হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে মাছগুলো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে।তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
উপকরণ সমূহ :
১.করলা
২.পেঁয়াজ কুচি
৩.মরিচ কুচি
৪.রসুন বাটা
৫.তেল
৬.শুটকি মাছ
৭.আলু
৮.জিরা বাটা
৯.লবণ
১০.হলুদ
প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথম স্টেপে প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচ কুচি একসাথে দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে।
দুই মিনিট ভাজি করার পর শুটকি মাছ পেঁয়াজ ও মরিচের সাথে ভালো করে ভাজতে হবে। এভাবে তেলের উপর শুটকি মাছ ভাজার ফলে মাছের গন্ধ টা কিছুটা কম হয় এবং খেতেও ভালো লাগে।
পেঁয়াজ, মরিচ এবং শুটকি মাছ কিছুক্ষন ভাজার পর দিয়ে দিবো লবণ,হলুদ,জিরা বাটা এবং রসুনবাটা।
এখন এগুলা মিক্সড করে পরিমান মতো পানি দিয়ে দিবো।
তারপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভালো করে কষাতে হবে।
কষানো শেষ হলে এগুলার সাথে করলা মিক্সড করে অল্প পরিমানে পানি দিতে হবে।
এই রান্নায় ঝোলের থেকে শুকনা করে রান্না করলেই বেশি মজা হয়। তাই আমি করলা দিয়ে শুটকি মাছের এই রেসিপিটাতে ঝোল রাখি না।
অল্প সময়ের মধ্যেই খুব সহজেই করলা দিয়ে শুটকি মাছের রেসিপি তৈরি হয়ে গেলো।
যারা শুটকি মাছ পছন্দ করেন তারা অবশ্যই বাড়িতে রেসিপিটা ট্রাই করবেন। আজ আমি তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শুটকি অনেক ধরনের রেসিপি দেখেছি এবং খেয়েছি। কিন্তু আপনার কাছে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি দেখতে পেলাম করলা দিয়ে শুটকি রেসিপি দারুন হয়েছে। নিশ্চয়ই খেতেও অনেক মজা হয়েছে। আর আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো। রেসিপি দেখে বাসায় ট্রাই করব অবশ্যই। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
করলা ভাজি আমার অনেক পছন্দের তবে আপনার মত করে করলা রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি ।আপনার পরামর্শটি অনেক ভালো লেগেছে কমলার তেতু ভাব দূর করার জন্য ।এভাবে রান্না করে একদিন খাওয়ার চেষ্টা করব।
ভাইয়া দারুণ একটা আইডিয়া পেলাম, করলা এবং শুটকি আমায় খুবই প্রিয়, তবে আপনি ঠিকই বলেছেন করলার তেতোভাব আর শুঁটকির গন্ধ থাকার কারণে অনেকেই খেতে চায় না, তবে ভাইয়া আপনার এই সুন্দর পদ্ধতি অবলম্বন করলে কেউ আর এই সুস্বাদু রেসিপি থেকে বঞ্চিত হবে না, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এখন নিয়মিত তোর কাছ থেকে রেসিপি পোস্ট দেখতে পারবো। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে।
আমি করলা কখনো ভাজি ছাড়া রান্না করে খাইনি। তবে শুটকি মাছ আমার খুবই পছন্দ। ভাইয়া আপনার রেসিপিটা দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে এটি সম্পূর্ণ একটি নতুন রেসিপি।আমি অবশ্যই এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমি করলা খাই না ।কিন্তু ভাইয়া তোমার রেশেভিটি এত সুন্দর লাগসে জিভে জল এসে গেল। আমি আমার বাসায় একবার হলেও ট্রাই করবো।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর রেশেভি টি শেয়ার করার জন্য
ভাই দেখছি রান্নাও শিখে ফেলেছেন😁।
যাইহোক করলা আমার বেশ পছন্দের খাবার কিন্তু শুটকি মোটেও না😁।তবে রেসিপিটি খুব দুর্দান্ত বানিয়েছেন সে কথা বলতেই হয়।
এটা আপনি ধরুন ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া দুটো জিনিসেরই আলাদা আলাদা ভাবে সমস্যা রয়েছে যার কারণে প্রত্যেকটা মানুষ এটা পছন্দ করে না কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে দুটো জিনিসই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে করোল্লা দিয়ে শুটকি মাছ এর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে এমন চমৎকার একটা রেসিপি তৈরি করতে হয়।
ভাইয়া , করলা দিয়ে কখনও শুঁটকি মাছ খাওয়া হয়নি । দেখি, আপনার রেসিপি ফলো করে একদিন রান্না করে খাবো ইনশা আল্লাহ । অনেক ধন্যবাদ এত মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
কিন্তু ভাইয়া করলা তিতো হওয়ার কারণে আমি খেতে অনেক পছন্দ করি। শুটকি মাছ গন্ধ তাতে কি হয়েছে রান্না করার পরে আর গন্ধ থাকে না খেতে খুব মজাদার হয় আসলে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে এত সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।