কক্সবাজারের পথে যাত্রা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। গত ২৪ তারিখ ছিলো আমাদের আরও একটি ট্রাভেল ট্যুর বাস্তবায়নের দিন। আমি হাফিজ ভাই, আরিফ ভাই এবং আমাদের সাথে দুজন ছোট ভাই অঙ্কন এবং রায়হান এসেছে। ২৪ তারিখ রাত সাড়ে দশটায় ছিলো আমাদের ট্রেন। হাফিজ ভাই আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। আমরাও ট্রেন ছাড়ার ১ ঘন্টা আগেই স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই।
রাত সাড়ে দশটার সময় আমরা ট্রেনে উঠে বসি এবং আমাদের যাত্রা শুরু হয় ১০:৪০ মিনিটের দিকে। রাত্রে যাত্রাটা একটু কষ্টের ছিল। যদিও রাত যখন গভীর হয় তখন ট্রেনের জানলা খুলে বাহিরের দৃশ্যগুলো দেখে জার্নির কষ্ট নিমিষেই মুছে গেছে। আকাশের উজ্জ্বল চাঁদের উপস্থিতি, বিশাল বিশাল মাঠ আর মাঠের অপরপ্রান্তে কিছু মিনমিনে আলোর দেখা। ট্রেন ছুটে চলেছে দুর্বার গতিতে।
প্রায় সকাল হয়ে এসেছে। আমরা তখন চট্টগ্রাম স্টেশন। আসল সৌন্দর্য আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের মধ্যকার সময়টুকুতে। এত ভালো ভালো দৃশ্য চোখে পড়বে কখনো কল্পনাও করিনি। মনে হচ্ছিল যেন টিকিটের টাকা এখানেই উঠে গেল। হিহিহি।
সুন্দর সুন্দর অনেক ফটোগ্রাফি ক্যামেরাতে আছে সেগুলো ফটোগ্রাফি আকারে পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বান্দরবানের খুব কাছ দিয়ে চলেছিল আমাদের ট্রেন। বান্দরবনের উঁচু পাহাড় দেখা যাচ্ছিল ট্রেনে বসেই । আমি জানতামই না যে কক্সবাজারে যেতে সাঙ্গু নদীর উপর দিয়ে ট্রেন যায়। সাঙ্গু নদীর উপর দিয়ে যখন আমরা যাচ্ছিলাম তখন আমার বান্দরবানের কিছু সুন্দর স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। সাঙ্গু নদীতে আমরা গোসল করেছি, রেমাক্রি জলপ্রপাতে গিয়েছি, আর সেই জলধারাগুলো এ নদী দিয়েই বয়ে চলেছে।
গুগল ম্যাপে ঢুকে দেখলাম সাঙ্গু নদী কোন পাশ দিয়ে এদিকে এসেছে। দেখলাম খুব নিকটেই বান্দরবানের সেই পাহাড়গুলো। এই নদী ধরে এগুলো হয়তো বেশি সময় লাগবে না থানচিতে পৌঁছতে।
কক্সবাজারের রেল লাইনটা এত সুন্দর পথ দিয়ে বানানো হয়েছে যেন পর্যটকদের প্রথম সুন্দর অভিজ্ঞতা এই ট্রেনে বসেই হয়ে যায়। চোখ জুড়ানো মন জুড়ানো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের আমরা ছুটে চলেছি কক্সবাজারের পানে।
আমরা সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশনে পৌছালাম। আমাদের আগে থেকে হোটেল বুকিং দেওয়া ছিলো। তাই আর হোটেল খোঁজার কোন ঝামেলা ছিল না। একটা সিএনজি নিয়ে স্টেশন থেকে ডাইরেক্ট ডলফিন মোড়ে চলে আসলাম। ডলফিন মোড় থেকে একটা ইজিবাইকে চড়ে আমাদের হোটেলে চলে গেলাম। এরপর চেকইন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কয়েকদিন আগেই জানতে পেরেছিলাম আপনারা চারজন মিলে কক্সবাজারে ঘুরতে যাবেন। আজকের পোস্টের মাধ্যমে কক্সবাজারে যাওয়ার কিছু অনুভূতি এবং সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে রেললাইনের রাস্তাটা খুব সুন্দর এরিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। আর ট্রেনে করে যদি এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় তাহলে তো টিকিটের টাকা উসুল হয়ে যাবে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে কক্সবাজারের যাত্রাপথে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার জার্নিটা কতটা মনোমুগ্ধকর সেটা আপনি যেভাবে বর্ণনা দিয়েছেন সেটা যেন আমার চোখের সামনে ভাসছে। কারণ কিছু মাস আগে আমরাও ট্রেনে করেই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। কক্সবাজারের যত কাছাকাছি ট্রেন যাচ্ছে ততই যেন খুব সুন্দর পরিবেশ চোখে ধরা দিচ্ছে। আর কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন আন্তর্জাতিক লেবেলের একটি স্টেশন হয়েছে। দারুন ছিল সেটা, আর সামনের দিকের ঝিনুকটা বেশি আকর্ষণীয় ছিল।যাইহোক আপনার সাথে হাফিজ ভাই এবং আরিফ ভাইও গিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ইচ্ছে করছে আমরাও গিয়ে ঘুরে আসি তবে মূল কথা হলো এখন তো ঘূর্ণিঝড় আসছে সাবধানে থাকবেন।
বাহ্! প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে গিয়েছেন তাহলে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। ট্রেন জার্নি বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। এবারের ট্যুরে আপনারা বেশ মজা করতে পারবেন। আরিফ ভাই তো মনে হয় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার গিয়ে আপনাদের সাথে জয়েন করবে। যাইহোক পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ধরেছেন। আরিফ ভাই চিটাগং থেকে কক্সবাজারে চলে এসেছিলেন। এখান থেকে দেখা হয়েছে আমাদের।
আরিফ ভাইয়ের সাথে ইতিমধ্যেই দেখা হয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। সবাই মিলে মজা করুন তাহলে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
ট্রেন জার্নি কখনও করা হয়নি তারজন্য সেই বিষয়ে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমি গিয়েছিলাম গাড়িতে করে আর সারারাত ঘুমিয়ে ছিলাম বলে বাহিরের এত সুন্দর সৌন্দর্য উপভোগ করা হয়নি। আপনার কাছ থেকে রাতের ট্রেন দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার এত সুন্দর বর্ণনা শুনে ইচ্ছে করছে আবারও ঘুরে আসি। তবে কিছুদিন পর যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আর এবার গেলে ট্রেনেই যাবো। আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আরও বেশি ভালো লাগছে। ট্রেনে বসে বাহিরের খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এই দোয়া কামনা করি।
বেশ ভালো লাগলো আপনার ব্লগটি পড়ে। কারণ ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ভ্রমণের পুরো চিত্র আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করে নিলেন। চলতি পথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিশেষ করে রাঙ্গামাটি এরিয়ার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আর কক্সবাজার রেল স্টেশন টা অনেক সুন্দর হয়েছে। যে কেউ দেখলে সত্যি মুগ্ধ হয়ে যায় এই স্টেশন। আপনাদের ভ্রমন হোক নিরাপদ সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রায়হানের ভাইয়ের থ্রুতে জানতে পেরেছিলাম আপনারা কক্সবাজার যাচ্ছেন। কিন্তু আপনাদের সাথে যে আমাদের দুই এডমিন আছে সেটা পোস্ট পড়ে জানলাম। আমি আমার বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে নাকী দুই পাশে পাহাড় দেখা যায় এগুলো খুবই সুন্দর লাগে। আপনার পোস্টেও সেটা উঠে এসেছে এবং আপনি ফটোগ্রাফি গুলোও শেয়ার করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের পোস্ট গুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।