ক্রাইসিস।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে পোস্ট লিখতে আমার অনেক দেরি হয়ে গেল। আলসেমির জন্যই। আজকের ওয়েদার টা ছিলো অলস সময় পার করার মতোই। বৃষ্টি দেখে দুপুরে খিচুড়ি খেয়েছিলাম রান্না করে। খাওয়া শেষ করে দিয়েছিলাম বিশাল এক ঘুম। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বিকেল হয়ে গিয়েছিল।
আমি এখন ঢাকাতে আছি। ঢাকা তে থাকার কথা ছিল না। আমি গত পরশুদিন এসেছিলাম ঢাকায় ডক্টর দেখাতে। আগামী শুক্রবার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে। এই জন্যে আমাকে গ্রামেই থাকতে হবে কিছুুদিন, যার কারণে ঢাকা আসবোনা চিন্তা করে ছিলাম। কিন্তু ডাক্তার দেখাতেই আসতে হয়েছিল। প্ল্যান ছিলো আজকে বিকেলের দিকে রওনা দিব কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে বিকেল পর্যন্ত আমি কখনোই বৃষ্টির বিরতি দেখিনি। ক্যান্সেল হয়ে গেল আজকে আমার বাসায় যাওয়া দেখা যায় আগামীকাল যেতে পারি কিনা।
যাই হোক আজকে আমি অন্য একটা বিষয়ে আলোচনা করবো ভাবছি আপনাদের সাথে। এ ব্যাপারটা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে গত কিছুদিন যাবত। আমাদের এই মানব সভ্যতা কী ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে না প্রতিনিয়ত? আমরা নিজেরাই আমাদের নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রিসেন্টলি শুনতে পারলাম ২০২৩ সালে নাকি দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে । এর কারণ কি জানেন?? কেন দেখা দিতে পারে এ দুর্ভিক্ষ?? আমরা মানুষ হিসেবে কেমন যেন হিংস্র হয়ে যাচ্ছি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানব সভ্যতার জন্য এখন সবচেয়ে বড় একটি হুমকি। রাশিয়া-ইউক্রেন এ অনেকদিন যাবত যুদ্ধ চলছে আর এটার জন্য সারা বিশ্বেই সাধারণ মানুষ সাফার করছে। কিভাবে?? চলুন বলছি।
জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দি ইউনাইটেড নেশন এর মতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ৪৫ টি দেশের মধ্যে একটি, যে দেশে ফুড ক্রাইসিস দেখা দেবে অচিরেই। এটার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পুরো পৃথিবীতে ছয়টি ব্রেডবাস্কেট আছে। ব্রেডবাস্কেট হল ঐ সকল স্থানকে বুঝায় যেখানে এত পরিমান ফসল উৎপাদন করা হয় যা সারা বিশ্বের খাদ্য চাহিদা এক অংশ পূরণ করতে পারে। এগুলোকে খাদ্য উৎপাদনের হটস্পট বলা যেতে পারে। ব্রেডবাস্কেট গুলো রয়েছে ব্রাজিলে, ক্যানাডায়, আমেরিকায়, চায়নায়, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়।
উক্ত ব্রেডবাস্কেট এলাকাগুলোর মধ্যে ব্রাজিল এবং রাশিয়া ইউক্রেন অঞ্চলে বর্তমানে বিশাল সমস্যা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের কারণে কৃষকরা ফসলের জমিতে বীজ বপন করতে পারেনি গত সিজনে৷ এবারও পারবে না কারণ যুদ্ধ চলমান। আর এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে সার রপ্তানি করতে পারছেনা রাশিয়া ব্রাজিলের কাছে । তো ব্রাজিল এদিক থেকে অনেকটাই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল । তারা চাহিদা অনুযায়ী সার আমদানি করতে না পারায় উৎপাদন কমে গেছে। আর অন্যদিকে ক্যানাডায় শুনেছিলাম বন্যার কারণে তাদের ফসলের বহুৎ ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ তিনটি ব্রেডবাস্কেটে যদি খাদ্য উৎপাদন লিমিটেড হয়ে যায়, তাহলে সেই ইফেক্ট সারাবিশ্বেই পড়ে।
এই যুদ্ধ এর কারণে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষজনকে প্রতিনিয়তই সাফার করতে হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ প্রথমে লেগেছিল দুইটা দেশের মধ্যে। তারপরে সারা বিশ্বই জড়িয়ে পড়েছিল। মানুষ কেমন জানি সেই প্রথম থেকেই যুদ্ধ বাজ। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। এই চার বছরে এক কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল যারা এই যুদ্ধের সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। সামনে যদি সত্যি দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তাহলে সেটা কত ভয়াবহ হবে এবং কত মানুষ মারা যাবে সেটা সৃষ্টিকর্তাই ভাল জানেন।
সাধারণ মানুষ শান্তিতে বাস করতে চায়। একটা মানুষের জীবনে অনেক গল্প থাকে কিন্তু একটা যুদ্ধে এমন কোটি কোটি গল্পের নির্মম সমাপ্তি ঘটে। পৃথিবীতে সত্যি আর শান্তি নেই । বহুদিন যাবত ফিলিস্তিনে যুদ্ধ চলছে। নিরীহ মানুষগুলো সব সময় মার খেয়েই যায়। কিন্তু প্রকৃতি একদিন ঠিকই এর বিচার করে নেবে। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ্ হাফেজ৷
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমে আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে কালকে সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে এবং আমি গ্রামে ছিলাম যার কারণে একটু বাইরে বের হতে পারেনি। সারাদিন বৃষ্টি। আজকের দিনটা অবশ্য ভালো আর আমাদের পরিস্থিতি বর্তমানে খুবই খারাপ। কারণ খাদ্য সংকটের পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাই হোক আমাদের প্রত্যেকেরই বাসার আশেপাশে কিংবা ছাদে প্রয়োজনীয় খাদ্য চাষাবাদ করার পরামর্শ আমার ভালো লেগেছে। আসলে এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য ভালো হবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি ঢাকা আসলেও মন থাকে গ্রামে।ঢাকা আসা আপনার না পারতে আসা😂।যাই হোক আমরা মানুষেরাই কেমন জানি।কথায় আছে না সুখে, থাকলে ভূতে কিলাই।ছয়টি ব্রেডবাস্কেট মধ্যে যদি তিনটির অবস্থা এমন হয়, তাহলে খাদ্য চাহিদা কিভাবে পূরন করবে,মাঝে মাঝে ভাবলে কোন সমাধানই খুজে পাওয়া যায় না।সামনে যদি দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, কিভাবে কেমনে যে কি হবে, মানুষের এখনই যে অবস্থা, সামনে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে আমাদের।যাই হোক সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকল কিছুর হাত থেকে রক্ষা করুক, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। ধন্যবাদ
বৃষ্টির দিনে আলসেমিটা একটু বেশিই লাগে। এমন ওয়েদারে ঘুম দিলে আর খবর থাকে না 😁। যাক, আশা করি আপনি এখন সুস্থ্য আছেন, ডাক্তার দেখাতেও পারলেন না।
যুদ্ধ কখনোই শান্তি নিয়ে আসতে পারেনা। প্রতিনিয়ত ঘ্রাস করে লাখ লাখ মানুষের জীবন। সম্প্রতি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মাঝে যে যুদ্ধ চললাম আল্লাহ ভালো জানেন কবে জানি পুরো পৃথিবী সেটার মধ্যে জড়িয়ে পরে। ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হতে পারে এমনটা আমিও শুনেছি, সোস্যাল মিডিয়াতে এটা নিয়ে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যদি খাদ্য সংকট দেখা দেয় তাহলে না খেয়েই মারা যাবে অর্ধেক মানুষ 😐
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া জানাই আপনি যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। আর গতকালকের আবহাওয়াটা খুবই ভয়ঙ্কর ছিল আমি সারাদিন বাইরে ছিলাম কতটা বৃষ্টি হয়েছে সেটা লক্ষ্য করতে পেরেছি। আপনার পোস্টগুলো পড়লে সাধারণ নলেজ বৃদ্ধি পায় আর সব নিউজ চ্যানেলেই ২০২৩ সালের বিষয়টি বারবার দেখাচ্ছে এমনকি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছে ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট পড়তে পারে তাই আপনাদের বাড়ির আশপাশে খাদ্য সরষে চাষ করার চেষ্টা করুন। মূলত রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষ না বাধলে হয়তো আমাদের এরকম পরিস্থিতির সামনে আসতে হতো না।
সত্যি যদি এমনটা হয় ভাই, তাহলে বাংলাদেশের জন্য ক্রাইসিস হবে ভয়াবহতা। মানব সভ্যতা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশ্ব শান্তি কল্পে যে সমস্ত রাষ্ট্র আজকে মাথাচাড়া দিচ্ছে তারাই কিন্তু আন্ডারগ্রাউন্ডে এই যুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ করে যে কি হচ্ছে বুঝতে পারি না। কেন যে এরা যুদ্ধ শেষ করার কোন ইচ্ছাই পোষণ করছে না। ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা বিশ্ব কে জানে। এভাবে খাদ্য উৎপাদনের ব্যাঘাত ঘটলে তো দুর্ভিক্ষ হতে খুব সময় লাগবে না। না জানি সামনে কোন বিপদে আমরা পরতে যাচ্ছি ।
আশা করি আজকে বাড়িতে চলে গিয়েছেন। আজকের ওয়েদার টা খুব ভালো।
মনটা আমার এমনিতেই খারাপ ,আপনার পোস্ট পড়ে আরো খারাপ হয়ে গেলো ,আসলেই সত্যি বলেছে পৃথিবীর সাধারণ মানুষ গুলোর বেঁচে থাকার আর কোনো রাস্তা নেই, এই যুদ্ধ কি আদোও থামবে নাকি এর থেকেই রূপ নিবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ।