সেমিস্টার ভাইভা শেষে ইদবাড়ি
ইদ মানেই আনন্দ, আর এইবার সেই আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেছে, কারণ সামনেই ইদ, তারউপর আরেকটা সেমিস্টার শেষ করার খুশি এবং বাড়ি যাবার উত্তেজনা। এরই মধ্যে সারাদিনে তিনটা ভাইভা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, মনের মধ্যে কাজ করছে এক অনন্য উচ্ছ্বাস।
এইবারের ইদ আমাদের কাছে একটু বেশি বিশেষ। কারণ একদিকে ইদের প্রস্তুতি, অন্যদিকে ফাইনাল এক্সাম দিয়ে সেমিস্টারের শেষ দিকে এসে ভাইভা দেওয়ার চাপ।শুধু আজকেই তিনটা ভাইভা, সেটা শুধু সংখ্যা নয়, তার পেছনে লুকিয়ে থাকা পরিশ্রম আর উত্তেজনা ছিল অনবদ্য। আজকের এই তিনটা ভাইভা শেষ করলেই তো শুরু হবে ইদের আনন্দ, তাই মনটা সারাক্ষণ চঞ্চল ছিল।
ভাইভা দেওয়ার সময় পেট খালি থাকলেও, মনের মধ্যে ছিল ইদের ভাবনা। প্রথম ভাইভা শেষে একটু স্বস্তি পেলাম, দ্বিতীয় ভাইভায় একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলাম, আর তৃতীয় ভাইভা দেওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, সব কিছু যেন একটানে হয়ে গেল। কারণ জানতাম, এর পরেই বাড়ি যাবো, যেখানে অপেক্ষা করছে ইদের খুশি।
তিনটা ভাইভা শেষ করে যখন বের হলাম, তখন মনে হচ্ছিল যেন এক বিশাল বোঝা নেমে গেছে। বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে হেসে উঠলাম। সবার মুখেই ছিল ইদের আনন্দের ছাপ, কারণ সবারই বাড়ি ফেরার প্ল্যান। সারাদিনের পরিশ্রম আর উত্তেজনার পর এখন আমাদের মাথায় একটাই চিন্তা—কিভাবে বাসায় ফিরব এবং ইদ কিভাবে উদযাপন করব। বন্ধুরা সবাই মিলে রুমে বসে গল্প শুরু করলাম।
প্রথমেই শুরু করলাম, কে কোন পরিবহন ব্যবহার করবে। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে, আবার কেউ লঞ্চে করেও নাকি যাবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আমি ঘুরতে পছন্দ করি জন্য খুলনা হয়ে যাওয়ার জন্য ১৪ তারিখের টিকিট কেটেছিলাম। কেননা আমাদের ভাইভা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ১৩ তারিখ ২ টায়, তাই এমনটি করা। আমার মতো আরো অনেকেই ১৪ তারিখের টিকিট কেটেছে। কিন্তু স্যাররা ভালোবেসে আমাদের মতো দুর পাল্লার ছাত্রদের কথা ভেবে দিনে ২-৩ টা করে ভাইভা নিয়ে কষ্ট করে হলও আজ তার সমাপ্তি ঘটালো। সেই সাথে আমরাও পার হয়ে গেলাম আরো একটি সেমিষ্টার।
আমার এক বন্ধু বলল, "আমি বাসে যাব, তোমরা যারা বাসে যাবে, চল একসাথে যাই।" তার কথা শুনে অনেকেই যারা এখনো টিকিট কাটেনি তারা তার সাথে যাওয়ার চেষ্টা করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করলো।
আমি বললাম, "আমার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেছে, তোমরা যারা ট্রেনে যাবে, তাদের সাথেই আছি।" ট্রেনে ভ্রমণের মজাও আলাদা, বিশেষ করে যখন বন্ধুরা একসাথে থাকে। আর সব থেকে মজার বিষয় হলো আমার রেল-ভ্রমন এটাই হবে প্রথম রোমাঞ্চকর জার্নি। যদিও এর আগে ছোট্ট একটা জার্নি ছিলো আর কোনো জার্নি করা হয়নি। তাই প্রকৃতির সুন্দর্য উপঘোগ করার জন্য দিনের টিকিট কেটেছি।
সবাই মিলে প্ল্যান করলাম, যে যেখানেই যাই না কেন, সাবধান যেনো সবসময় থাকি। সেমিস্টার শেষ করে ফেলার খুশি, তিনটা ভাইভা শেষ করার পর শান্তি এবং বাড়ি ফেরার উত্তেজনা—এই সবকিছু মিলে সবার মুখে হাসি, মনের মধ্যে ইদের আনন্দ নিয়ে। সবাই বিদায় নিলাম।
আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।
পরীক্ষা শেষে সব বন্ধুরা মিলে একসাথে বাড়িতে যাওয়ার যে কি মজা ভাইয়া বলে বোঝানো যাবে না। এমনিতে পরীক্ষা শেষ হলে আমাদের আনন্দটা বেড়ে যায়। যাইহোক আপনারা বন্ধুরা মিলে কেউ বাজে কেউ ট্রেনে অথবা কেউ লঞ্চে তাদের বাসায় পৌঁছাবেন বলে ভেবেছেন। তবে একটা কথা আপনি ঠিকই বলেছেন ট্রেনে ভ্রমণ করে অনেক মজা। পরীক্ষা শেষ সামনে ঈদ সত্যি অনেক মজা। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ, আপু! আমি আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই আনন্দিত হয়েছি। পরীক্ষা শেষে বন্ধুরা মিলে বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। সবার সাথে ট্রেন, বাস, বা লঞ্চে ভ্রমণ করার মজা অতুলনীয়। সামনে ঈদ, পরীক্ষার চাপ শেষ, তাই আনন্দটা যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের ঈদটা যেন অনেক আনন্দময় ও সুখময় হয়, এই কামনা রইলো। শুভকামনা!
পরীক্ষা শেষ হলে আমাদের এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। পরীক্ষা শেষ হলো মানে আমাদের মাথা থেকে একটা বোঝা নেমে গেল এমনটাই মনে করি আমরা স্টুডেন্টরা।
ঈদ মানেই আনন্দ। আর যদি সেটা হয় কোন টেনশন মুক্ত তাহলে তো আরো বেশি আনন্দের হয়ে ওঠে। এখন পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল কোন টেনশন ছাড়াই সুন্দরভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দটি আমাদের সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু! পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সত্যিই এক ধরনের মুক্তি অনুভব করছি। ঈদটা এবার নিশ্চিন্তে এবং পুরোপুরি আনন্দে উপভোগ করতে পারব, এই ভাবনাটাই অনেক সুখের। আপনাকেও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা!" শুভ ঈদ!"
তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তোমার সাথে দেখা হচ্ছে আমার। আসলে ঈদের সময় বাড়িতে আসার সময় একটি টেনশন থাকে মনের মধ্যে। তুমি দেখছি তোমার বন্ধুদের সাথে বাড়িতে আসার জন্য আলোচনা করেছো।
হ্যাঁ, খুব শিঘ্রই আড্ডা হবে তোমার সাথে। আর একটা জিনিস একদম ঠিক বলেছো, ঈদের সময় বাড়িতে আসা সবসময়ই একটা টেনশনের বিষয়। বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এতে যাত্রাটা আরো আনন্দদায়ক হবে।ন্ধুরা সাথে থাকলে যাত্রাটাও মজার হয়। খুব শীঘ্রই দেখা হবে, অপেক্ষায় রইলাম।