কৃষকের সোনালী স্বপ্নের মাঠে হারভেস্টারের জাদু।
আজকে শহর থেকে একটু দুরে মাঠে এসেছে একটি বিশেষ যন্ত্র—হারভেস্টার। সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল কাটার এই মুহূর্তে প্রযুক্তির এই সহায়তা আমাদের মতো কৃষকের জীবনে এনে দিয়েছে মুখ ভরা হাসি।
মাঠের সোনালী ধানগাছগুলো দুলতে থাকে বাতাসে, আর হারভেস্টার এগিয়ে যায় সেই ধান কাটতে। এক সময় যেখানে ধান কাটতে দিনের পর দিন লেগে যেত, এখন সেখানে হারভেস্টার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করে দেয়। কৃষকরা মুগ্ধ নয়নে দেখতে থাকে, কিভাবে এই যন্ত্রটি দ্রুত ও নিখুঁতভাবে ধান কেটে মাড়াই করে। হারভেস্টার মিশিনের কল্যাণে আমাদের দেশের কৃষকদের পরিশ্রম কমেছে, তাই তারা বিশ্রামের সুযোগ পায়। তাছাড়া, পরিবারের সাথে কাটানোর সময় পায়, যা তাদের জীবনে এনে দিয়েছে এই হারভেস্টার ।
শুধু ধান কেটে দেয় ? না, ধান কেটে তা একমদ সুন্দর করে ঝাড়াই করে সুন্দর চকচকে ধান আমাদের সামনে এনে দেয় ।তাই আমার কেনো জানি বলতে খুব ইচ্ছে করছে হারভেস্টার শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি কৃষকদের জন্য এক আশীর্বাদ। ফসল কাটার পর মাঠে যে সোনালী ধান গুলো জমা হয়, সেগুলো যেন কৃষকদের মনের সোনালী স্বপ্ন।
হারভেস্টার তাই শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি কৃষকের মুখে হাসির কারণ, যা আমাদের সবার জীবনে নিয়ে আসে সোনালী ধানের সুরভিত চাল। সত্যি এ যেনো সোনালী স্বপ্নের মাঠে হারভেস্টারের এক জাদু। তাইতো আজকের আমার এই ব্লগটির নাম ছিলো “ কৃষকের সোনালী স্বপ্নের মাঠে হারভেস্টারের জাদু”।
আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।
নতুন এই মেশিনগুলো মাঠে আসার পর খুব সুবিধা হয়েছে মাঠ থেকে ধান সংরক্ষণ করার। তবে লেবার শ্রেণীর মানুষের কিন্তু কাজ কমে গেছে এই কারণে। আরেক দিকে গরুর খাবার হিসেবে যে খড় ব্যবহার করা হতো সেগুলোও কিন্তু বেশিরভাগ নষ্ট হচ্ছে। তবে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখে ভালো লেগেছে।
নতুন মেশিনগুলো আসার ফলে মাঠ থেকে ধান সংরক্ষণ করা অনেক সহজ হয়ে গেছে, যা কৃষকদের জন্য বড় সুবিধা। তবে, লেবার শ্রেণীর মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত খড় নষ্ট হওয়াটাও একটি উদ্বেগের বিষয়। এই বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে আমলে নিয়ে মেশিনগুলো ডিজাইন করা শুধু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
কৃষকের জন্য হারভেস্টার একটি জাদুর যন্ত্র। এক মেশিনেই সবকিছু হয়ে যায়। সরকার ভর্তুকি দিয়ে এই মেশিনটি কৃষকদের মাঝে দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ হারভেস্টার মেশিন নিয়ে একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।