শহরের রাত, নতুন বইয়ের গল্প আর ফুসকার স্বাদ
গত রাতে নিজের শহর রংপুরে নতুন সেমিস্টারের বই কিনতে বের হয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর শহরের রাস্তা যখন একটু ফাঁকা হতে শুরু করে, তখনই আমি রওনা দিই। শহরের বাতাসে একটা পরিচিত স্নিগ্ধতা ছিল, যা অনেকদিন পর উপভোগ করলাম। স্টেশনারি দোকানে পৌঁছানোর পর, আমি নতুন বইগুলোর গন্ধে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পৃষ্ঠাগুলোর টাটকা গন্ধ আমাকে আবারও পড়াশোনার প্রতি অনুপ্রাণিত করল।
বই কেনার পর, একটু হাঁটাহাঁটি করতে ইচ্ছা হলো। তাই আমি শহরের প্রধান সড়ক ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। পথের ধারে ছোট ছোট দোকানগুলোতে সন্ধ্যার আলোয় একটা বিশেষ আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে শহরের ফুসকার দোকানগুলোর দিকে চোখ পড়ল। বহুদিন পর ফুসকার স্বাদ নেওয়ার জন্য মনটা যেন উতলা হয়ে উঠল।
একটা ছোট্ট ফুসকার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। দোকানদার খুব আন্তরিকভাবে স্বাগত জানালেন। তিনি তাড়াতাড়ি ফুসকা বানিয়ে দিতে শুরু করলেন। ফুসকার মুচমুচে পুরি আর টকঝাল পানি, সাথে একটু আলুর মিশ্রণ – পুরো বিষয়টাই ছিল একদম অসাধারণ। প্রথম ফুসকাটা মুখে দিতেই সব ক্লান্তি আর বিষণ্ণতা যেন উধাও হয়ে গেল। এমন আনন্দময় মুহূর্ত যেন বহুদিন পাইনি।
ফুসকা খেতে খেতে দোকানদারের সাথে একটু গল্প করলাম। তিনি জানালেন কিভাবে বছরের পর বছর ধরে ফুসকা বানিয়ে আসছেন, এবং তার এই ছোট্ট দোকানের গল্প। তার আন্তরিকতা আর কথা বলার ধরণে একটা আলাদা প্রশান্তি পেলাম।
রাত বাড়তে শুরু করছিল, তাই আমি বাড়ির পথ ধরলাম। রাতের নিস্তব্ধতা আর ফুসকার স্বাদ মিলিয়ে এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হলো। নিজের শহরের এই সহজ আনন্দগুলোই জীবনকে সুন্দর করে তোলে। নতুন সেমিস্টারের বই আর ফুসকার স্বাদ নিয়ে মনটা ভরে গেল।
আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।