🍛 সুস্বাদু মজাদার ফুচকা রেসিপি🍛আমার বাংলা ব্লগ // @rayhan111🍛 [১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।🤝
প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @rayhan11🇧🇩
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে। ফুচকা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে আমার ছোট বোন ফুচকা খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই আজকে আমরা সবাই মিলে বাসায় ফুচকা তৈরি করলাম। বাসায় তৈরি ফুচকা খেতে খুবই মজা। এই ফুচকা রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি।
বাসায় তৈরি ফুচকা যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি খেতে অনেক মজা লাগে। বাইরের ফুচকা গুলো স্বাস্থ্যকর নয়, এগুলো খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
👇 সুস্বাদু মজাদার ফুচকা রেসিপি👇🍛
আমার ছোট বোনের ফুচকা খুবই পছন্দ। তাই আমি ছোটবোনকে খাওয়ানোর জন্য আমি এবং বাসার সবাই মিলে ফুচকা তৈরি করলাম।
আমি এই মজাদার ফুচকা রেসিপি তৈরি করতে যেসকল উপকরণের ব্যবহার করেছি এবং কিভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছি তা নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ🍛👇
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
১) সাদা আটা | ২৫০ গ্রাম |
২) বেকিং পাউডার | ৫০ গ্রাম |
৩)আলু | ৪টি |
৪) ধনে পাতা | পরিমানমতো। |
৫) লবণ | (অল্প পরিমানে)। |
৬)মটরশুঁটি | ১০০ গ্রাম। |
৭) কড়াই | ১ টি। |
৮) একটি ছাকনি | ১টি। |
৯) কালোজিরা | (অল্প পরিমানে)। |
১০)সয়াবিন তেল | ৩০০ গ্রাম। |
১১)তেঁতুলের টক | পরিমানমতো। |
১২)কাঁচা মরিচ | পরিমানমতো। |
১৩)ডিম | ২ টি। |
১৪)শসা | ২ টি। |
১৫)পিঁয়াজ | ১০০ গ্রাম। |
ধাপ👇🍛১
ফুচকা তৈরীর জন্য প্রথমে আমি সাদা আটা বেকিং পাউডার এবং অল্প পরিমাণে লবণ নিয়ে তেল দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
ধাপ👇🍛২
এই আটা ময়দার মধ্যে আমি কিছু সরিষা দিলাম এবং কিছু কালোজিরা দিলাম।
ধাপ👇🍛৩
এই ময়দার ভিতরে হালকা গরম পানি দিলাম এবং এই পানিটা ছিল পরিমাণমতো
ধাপ👇🍛৪
তার পরেও ওর হালকা গরম পানি দিয়ে আটা গুলো সুন্দর করে মাখিয়ে বলের মত করে নিলাম।
ধাপ👇🍛৫
তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম, তারপরে এই গোলানে আটা দিয়ে সুন্দর করে গোল পিঠা বানিয়ে নিলাম।
ধাপ👇🍛৬
এই বড় গোল পিঠা থেকে ছোট ছোট সুন্দর করে গোল গোল করে, কেটে নিলাম।
ধাপ👇🍛৭
এক মাপে সুন্দর করে ছোট ছোট গোল করে কেটে নিয়ে আমি একটি পাত্রে রেখে দিলাম।
ধাপ👇🍛৮
তারপরে কড়াই এর ভিতর আমি সোয়াবিন তেল দিলাম, এই তেল দিয়ে তাপ দেওয়া হয়ে গেলে এর ভিতরে আমি ফুচকার টুকরোগুলো দিয়ে ভাসতে লাগলাম।
ধাপ👇🍛৯
ফুচকার টুকরাগুলো আমি তেলের ভিতরে খুবই ভালো করে ভাসতে লাগলাম।
ধাপ👇🍛১০
সুন্দর করে ভাজা হলে, এগুলো আমি একটি পাত্রে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে রেখে দিলাম।
ধাপ👇🍛১১
ফুচকা তৈরীর প্রথম ধাপ শেষ হলে, আমি দ্বিতীয় ধাপে পেঁয়াজ কুচি কুচি, আলু সিদ্ধ এবং ডিম ও ধনে পাতা সুন্দর করে গুছিয়ে নিলাম।
ধাপ👇🍛১২
ধনেপাতা পেঁয়াজ কুচি কুচি লবণ এবং আলুর সুন্দর করে মাখিয়ে আমি ফুচকার ভর্তা তৈরি করতে লাগলাম।
ধাপ👇🍛১৩
ফুচকার জন্য আলু ভর্তা এবং টক আমি তৈরী করে নিলাম।
শেষের ধাপ👇🍛👇
ফুচকা তৈরি শেষ ধাপ এসে পৌঁছেছি। শেষের ধাপে এসে পৌঁছাতে পারে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। এখন আকাঙ্ক্ষা আমরা এই ফুচকা পরিবেশন করব। তাই ফুচকার ভিতরে আলু ভর্তা দিয়ে দিলাম এবং সাথে টক রাখলাম।
🍛👇পরিবেশন👇🍛১২
ফুচকা তৈরি করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আজকে আমার ছোট বোন এসেছে, আমার ছোটবোনকে আমি ফুচকা খাবো। ফুচকা রেসিপি আমি অনেকদিন আগেই শিখেছি। তাই তাদের নিজের হাতে বানিয়েছে এই ফুচকা রেসিপি খাওয়াতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি ফুচকার ভিতর সুন্দর করে আলুর ভর্তা এবং উপর দিয়ে ধনেপাতা দিয়ে সুন্দর করে পরিবেশন করে তাদের সামনে দিলাম।
আমার হাতে বানানো এই ফুচকা রেসিপি দেখে সবাই অনেক খুশি হল। বিশেষ করে আমার ছোট বোন অনেক খুশি হল। আমার সুন্দর পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছে, সে বলল ভাইয়া কিভাবে এত সুন্দর ফুচকা রেসিপি বানানো শিখেছে। আমার খুবই ভালো লাগছে আমার প্রশংসা করল। তাই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম কেমন হয়েছে আপনারা জানাবেন।
আমার পোস্টটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি সামনে আরো ভালো ভালো রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | 🍛 সুস্বাদু মজাদার ফুচকা রেসিপি🍛 |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
দেখে তো জিভে পানি চলে এসেছে ভাইয়া, খুবই চমৎকার ভাবে বানিয়েছেন ফুচকা রেসিপিটি, আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ফুচকা 😍! দাদা আপনার ফুচকা রেসিপি দেখে তো রীতিমতো লোভ লাগছে। মনে হচ্ছে এখনই যদি খেয়ে আসতে পারতাম😑। যেমন আলুর ভর্তাটা তৈরি করেছেন, তেমনভাবে টক টা তৈরি করেছেন 😛। দারুন একটি রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়ে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু🌹
আপনি অনেক সুন্দর করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফুচকা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর ফুচকা কমবেশি সব লোকের পছন্দ। তাই এরকম ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।🌺
বাহ ভাইয়া আজকে সত্যি লোভনীয় রেসিপি একটা শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আপনার রেসিপি দেখে সত্যি পানি চলে আসলো খাওয়ার জন্য। নিজেকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না। তবে কি বলবো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
দারুণ দেখতে লাগছে ভাইয়া আপনার ফুচকার রেসিপিটি।ফুচকা,চটপটি আমার পছন্দের খাবার।বাইরে গেলে প্রায়ই খাওয়া হয়।তবে শরীর খারাপ হবে বলে একটু ভয় লাগে।সেই ভয়টাও এবার দূর করে দিলেন ভাইয়া।আপনার পোস্টটি ফলো করে এবার ঘরোয়া পদ্ধতিতেই তৈরি করে নিতে পারবো এই মুখরোচক খাবারটি।চমৎকার হয়েছে ভাইয়া আপনার ধাপে ধাপে বর্ণনাসহ ফুচকা তৈরির পদ্ধতিটি।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার ফুচকার রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে ।দোকানের ফুচকার থেকেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। চেহারাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।প্রতিটি ফুচকা ফুলে ফুলে টইটুম্বুর হয়ে আছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনি খুবই দক্ষতার সঙ্গে কাজটি করেছেন ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
ফুচকা আমারও খুবই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু কখনো ফুচকা বানানোর কথা চিন্তা করিনি। সব সময় মনে হত যে এটি বানানো একটু ঝামেলা। কিন্তু আপনার আজকের ফুচকা বানানোর পদ্ধতি দেখে মনে হল যে আমি যত ঝামেলা মনে করেছিলাম একটি আসলে এত ঝামেলা না। খুব সুন্দর করে আপনি সেটি উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমিও বাসায় একবার বানানোর চেষ্টা করব। আসলে বাসায় বানালে স্বাস্থ্যকর হয়। বাইরেটা স্বাস্থ্যকর না একদমই। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি ফুচকা রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আমার ফুচকা বানানোর রেসিপি দেখে আপনি ফুচকা বানানোর চিন্তা করেছেন, এটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাসায় বানানো ফুচকা আর দোকানের ফুচকার মধ্যে রাতদিন পার্থক্য।বাসায় বানানো ফুচকা স্বাস্থ্যকর ও খেতে অনেক মজাদার হয়। আপনার ফুচকাগুলো কত সুন্দর ফুলে উঠেছে দেখতে খুবই ভালো লাগছে আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। কত সুন্দরভাবে আপনি ফুচকা বানিয়ে ফেললেন। ফুচকা বানানো কঠিন আছে কিন্তু আপনার বানানো দেখে মনে হচ্ছে চেষ্টা করলে পারা যাবে।ফুচকার কালারটা যা হয়েছে না ভাইয়া না খেয়ে তো পারাই যায় না কি আর করার একা একাই খান।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারণে আমার খুবই ভালো লেগেছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমিও কিন্তু ভাই ফুচকা খুব বেশি পছন্দ করি। তবে মাঝে মাঝে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে খেতে ভয় লাগে।
অনেক পরিশ্রমী পোস্ট করেছেন ভাই। ফুচকা তৈরি করতে অনেকগুলো উপকরণ এবং অনেক সময় ব্যয় করেছেন। তার পরেও কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসা দেখেছেন অনেক ভাবে। এটা সত্যিই চমৎকার।
খুব ভালো লেগেছে আপনার ফুচকা তৈরীর রেসিপি। অবশ্যই চেষ্টা করব তৈরি করার
প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে, আপনার মুখে আমার প্রশংসা শুনে খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
প্রশংসার কিছু নাই ভাই। মূলত সুন্দর কিছু উপহার দিলে সবাই ভালো মতামত প্রদান করে সেটাই স্বাভাবিক। আমি শুধু আপনার সুন্দর কাজের প্রশংসা করেছি। যা সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল
ওয়াও ফুচকা😋? ফুচকা দেখে তো জিবে জল এসে যাচ্ছে।ভাইয়া, আপনার ফুচকা তৈরি একদম দোকানের তৈরি ফুচকার মত সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগছে। ভাইয়া, ফুচকা খেতে খুবই পছন্দ করি ফুচকা অস্বাস্থ্যকর ভাবে তৈরি করে সেটা জানার পর থেকে কিছুটা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।তবে ঘরে তৈরি করা ফুচকা হলে একটিও বাদ দিতে রাজি নয়। ফুচকা তৈরীর প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা সহ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করেছেন, সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।