শীতের রাতে ভূত দেখার গল্প//পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগ9 hours ago

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আজকে আপনাদের মাঝে একটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম। আসলে শীতকালে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দ মজা করতাম। আর এই শীতকাল আসলেই স্মৃতিময় এই গল্পটি মনে পড়ে যায়। আসলে আমরা শীতের রাতে একটি ভুত দেখেছিলাম। এই স্মৃতিময় গল্পটি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি, বন্ধু-বান্ধবের সাথে গ্রামের কাটানো দিনগুলো খুবই আনন্দময় ছিল। তাই তো সেই দিনগুলোর কথা মনে করলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে তাই আপনাদের মাঝে গ্রামের বাড়িতে ভূত দেখা নিয়ে একটি স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করতে আসলাম। তো বন্ধুরা চলুন গল্পটি পড়া শুরু করা যাক।


lamp-2903830_1280.jpg

source

শীতকালে আমাদের গ্রামের বিভিন্ন ফসলের জমিতে খিরার আবাদ করা হয় আর এই খিরা হলো শসার মতোই। আসলে এই খিরা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। আর শীতকালে সকাল বেলা এই খিরা গুলো তুলে বাজারে বিক্রি করে। তাই তো আমাদের গ্রামের ফসলের মাঠে দেখতে পেলাম অনেকগুলো ফসলের জমিতে সেবার খিরার চাষাবাদ করা হয়েছে। আর এই খিরা গুলো খাওয়ার জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে একটি পরিকল্পনা করলাম। একদিন বিকেল বেলা খিরা খাওয়া জন্য আমার চাচাতো ভাইদের ফসলের জমিতে গিয়েছিলাম।তখন আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু খিরা তুলেছিলাম, এটা নিয়ে আমার চাচাতো ভাই অনেক বোকা দিয়েছিল, তাই বন্ধুরা মিলে রাগ করেছিল যে রাতের বেলায় এসে এই খিরা জমি থেকে আমরা অনেকগুলো খিরা তুলবো।


তাই আমরা তখন রাত দশটার দিকে এই ফসলের জমিতে খিরা গুলো তোলার জন্য আসলাম। আসলে গ্রামের বাড়িতে রাত দশটা মানেই অনেক কিছু, কারণ গ্রামের মানুষ এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায়। আসলে গ্রামের মানুষ আটটা সাড়ে আটটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। তাই তো বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম দশটার দিকে আমরা ফসলের জমিতে গিয়ে খিরা তুলব। তাই আমরা একটি বড় ব্যাগ নিয়েছিলাম, আর আমরা তিন বন্ধু মিলে এই ফসলের জমির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম খিরা তোলার জন্য। তো আমার বন্ধু সুজনকে দেখতে পেলাম মরিচের গুড়া আর লবণ দিয়ে বিতলবণ বানিয়ে এনেছে। কারণ লবন দিয়ে খিরা খেতে অনেক মজা লাগে।


fantasy-2847724_1280.jpg

source

তাই রাত দশটার দিকে আমরা বন্ধুরা মিলে এই চাচাতো ভাইয়ের ফসলের জমিতে খিরা তুলতে আসলাম। এখানে এসে আমরা বন্ধুরা মিলে লাইট জ্বালিয়ে খিরা গুলো তুলতে লাগলাম। আসলে এত রাতে এই ফসলের জমিতে আর কেউই ছিল না। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে খিরাগুলো তুললাম। আর সেই বার এই ফসলের জমিতে অনেক বেশি খিরা ছিল। আমরা তুলতে তুলতে আমাদের অর্ধেক ব্যাগ পুরো হয়ে গেল, তারপরে বন্ধু বলল যে এত বেশি খিরা তোলার দরকার নেই। কারণ এখন ঠান্ডার সময় আমরা বেশি খেতেও পারবো না। এমনিতেই ঠান্ডা লেগে। যায় কারণ শসার মতোই এই খিরাতে যেন শুধু পানি আর পানি।তাই আমরা তিন বন্ধু মিলে রাস্তার পাশে আসলাম, আসলে সেই জমির পাশেই একটি রাস্তা ছিল। আর সেই রাস্তার পাশে একটি আম গাছ ছিল। আমরা সেই আম গাছের নিচে বসে,খিরা খাওয়া শুরু করে দেবো, সেই জন্য আমরা আম গাছের দিকে রওনা দিলাম।


আসলে তখন ওরা রাত দশটা বাজে, আর এই রাত দশটার সময় রাস্তায় ঘাসের ওপরে যেন কুয়াশা পড়ে একদম পিচ্ছিল হয়ে গেছে। তাই আমরা যখন ব্যাগ নিয়ে রাস্তার উপরে উঠতে ছিলাম তখন যেন আমার বন্ধু সুজন ধপাস করে নিচে পড়ে গেল। আসলে তখন অনেক হাসাহাসি হচ্ছিল। আর এত কুয়াশা ছিল আমাদের সামনে যেন কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। তবে এত রাতে আমরা যে খিরা চুরি করেছি, তখন যেন আমাদের মনে ভূতের কোন ভয় হচ্ছিল না। তো তারপর আমরা সেই গাছের নিচে বসে খিরা খাওয়া শুরু করে দিলাম এবং কুয়াশার কারণে দূরের কোন রাস্তায় দেখা যাচ্ছিল না। তারপরে সাদাকি যেন সরিষার ফসলের মাঠের উপর দিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আছে। এটা দেখে যেন আমার মনের ভিতর ভয় আসলো, তো বন্ধুরা তারপরে কি হয়েছিল সেই অংশটুকু আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।🙏🤲🙏

আমার পরিচয়

IMG_20211018_182622.jpg

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 47 minutes ago 

GridArt_20250112_001818396.jpg

 6 hours ago 

খিরা তোলার সময়ের মজাদার অভিজ্ঞতাটি খুবই আনন্দদায়ক ছিল। বন্ধুরা মিলে হাসি-ঠাট্টা এবং খিরা খাওয়ার দৃশ্য খুবই প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। তবে কুয়াশা আর অন্ধকারে ভূতের মতো কিছু দেখতে পাওয়ার গল্পটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ! পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।

 6 hours ago 

ঠান্ডার সময় খিরা খাওয়া বিষয়টা শুনেই যেন অন্যরকম একটি ফিল আসলো। পুরো গল্পটাই খুবই মজা করে পড়ছিলাম আর উপভোগ করছিলাম কিন্তু শেষে যখন সরিষা ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে সাদা কাউকে আপনাদের দিকে আসতে দেখেছেন বললেন ঠিক তখনই একটু ভয় অনুভূত হলো। অত্যন্ত আগ্রহ সৃষ্টি হলো মনে দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি ঘটতে চলেছে।

 5 hours ago 

এমন জায়গায় গল্প শেষ করলেন! পরবর্তী পর্ব জলদি দিয়েন! আর গ্রামের এই মজা গুলো আসলেই দারুণ স্মৃতি হয়ে থাকে জীবনের! যদিও আমার জীবনে এমন দুঃসাহসিক কোন স্মৃতি নেই, তবে আপনাদের এমন গল্প গুলো পড়লেও ভালো লাগে!

 3 hours ago 

আহ,এটা কি হলো, মাত্র সাদা কিছু আসছে আর উত্তেজনা শুরু হয়েছে তখনই শেষ করে দিলেন। তাড়াতাড়ি বাকি পর্ব শেয়ার করে দিয়েন। কারণ আমার যেনো তর সইছে না সাদা জিনিসটা কি হতে পারে সেটা জানার। কোন একটা মিশনে গেলে প্রথম কিন্তু খুব সাহসী মনে হয়। কিন্তু যখনই সামনে ভয় পাওয়ার মতো কিছু চলে আসে তখন সেই সাহস উধাও হয়ে যায়। আপনাদের অবস্থা হয়ে ঠিক সেইরকম। দেখা যাক পরবর্তীতে পর্বে কি অপেক্ষা করছে।

 2 hours ago 

রাতের শিশির কুয়াশা পড়ে তো এজন্য অনেক জায়গা পিছলা হয়ে থাকে। আর এই পিছলা অনেক সময় পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। যাইহোক সুজনের পড়ে যাওয়াটা একটু ভয় লাগার কারণ হবে। অনেক ভালো লাগলো বিস্তারিত গল্প পড়ে। এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 hours ago 

ভাই আমি মনে করি ভূত বলে কিছু নেই। তবে জিন পরী রয়েছে। অনেক সময় মানুষ বিভিন্ন কারণে ভয় পায় এবং মনে করে ভূত দেখলাম। যাইহোক গল্পটা বেশ ভালোলাগার ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.24
JST 0.040
BTC 94080.13
ETH 3267.99
SBD 6.38