সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ঐতিহ্যবাহী মসজিদের কিছু মুহূর্ত
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অনেক সুন্দর একটি মসজিদ রয়েছে। আর এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির নাম আল-আমান বাহেলা খাতুন মসজিদ। আসলে এই মসজিদটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিরাজগঞ্জ মানুষসহ অন্য অন্য জেলার মানুষও এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই আসে। আর মসজিদে চারপাশের সুন্দরময় পরিবেশ মানুষকে যেন আরো আকৃষ্ট করে তুলেছে।যার কারণে এই মসজিদের সৌন্দর্যময় মুহূর্ত আমাদের অনেক ভালো লাগে তাই আমি এই মসজিদের সুন্দরময় পরিবেশ উপভোগ করার জন্য বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। তাই আপনাদের মাঝে সেই ভ্রমণের মুহূর্তেই শেয়ার করতে আসলাম।
তো আমি আর আমার বন্ধু মিলে এসেছিলাম এই বেলকুচির মসজিদ পরিদর্শন করার জন্য। আসলে অনেকদিন হলো মসজিদে আসবো এটা আমরা বলতেছিলাম, কিন্তু আসা হচ্ছিল না। আমাদের সিরাজগঞ্জ থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা সময় লাগে। তাও যেন আসা হচ্ছিল না। দূর দূরান্ত থেকে আমার বন্ধুরা এসে দেখে গিয়েছে। যার কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিকেল বেলা আমরা যাবই, তাই দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই মসজিদের দৃশ্য দেখার জন্য গিয়েছিলাম।চোখের সামনে এই মসজিদের সুন্দর দৃশ্য দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। কারণ এত সুন্দর আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল চারপাশের দৃশ্য দেখে যেন আনন্দিত হলাম।
মসজিদটি খুবই সুন্দর ভাবে ডিজাইন করে তৈরি করা হয়েছে। আর এই মসজিদের মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যা অনেক দামী পাথর। আর এই মসজিদের ডিজাইনটি খুবই সুন্দরভাবে করার, তাই এলাকার মধ্যে যেন মসজিদটির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। আসলে এরকম ব্যয়বহুল মসজিদ আমাদের সিরাজগঞ্জে খুবই কমই রয়েছে। বলতে গেলে এটাই প্রথম। আর এই মসজিদের চারপাশে দৃশ্য অসাধারণ ছিলো। বিশেষ করে মসজিদে ভেতরের আরো সুন্দরময় দৃশ্য রয়েছে। তবে ভেতরের ফটোগ্রাফি আমি করিনি। আর মসজিদে চারপাশের দৃশ্যের মাঝে রাতের বেলার দৃশ্য গুলো আরে সুন্দর।
মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে উন্নত লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কারণে ভেতরের সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো চোখ এড়ানো যায় না। আর রাতের বেলা চারপাশে আরো অনেক সুন্দর লাগে। কারণ এত সুন্দর ভাবে লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছে, দিনের চাইতে রাতের বেলা দৃশ্যগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আগে আমি একবার রাতের বেলা এসেছিলাম। তখন আমি দেখেছি রাতের বেলা চার পাশে দৃশ্য এবং মসজিদের দৃশ্যটি আরো অনেক সুন্দরভাবে ফুটে উঠে।
তারপরে মাগরিবের নামাজের টাইম হলো সকলেই দেখলাম মসজিদে প্রবেশ করছেন নামাজ পড়ার জন্য। আসলে এই মসজিদে নামাজ পড়লে অনেক শান্তি লাগে কারণ এত সুন্দর পরিবেশ আর প্রতিদিনই নতুন নতুন হুজুরদের দিয়ে নামাজ পড়ানো হয়। এই বিষয়টি যেন এলাকাবাসী এবং অন্য অন্য এলাকার মানুষকে আরো আকৃষ্ট করেছে, এই মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য। তাই আমি এই মসজিদে চারপাশে দৃশ্য এবং নামাজ পড়ার মুহূর্তটা আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। আর ফটোগ্রাফি করেছি সত্যি চারপাশে দৃশ্য এবং পরিবেশটা অসাধারণ ছিল।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi Note 6 Pro |
---|---|
ধরণ | রাইটিং |
ক্যামেরা.মডেল | Note 6 Pro |
ক্যাপচার | @rayhan111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |
https://x.com/rayhan111s/status/1870815813651067199?t=im1USHXA28Rgrb5uOHqQTQ&s=19
সিরাজগঞ্জের বেলকুচির ঐতিহ্যবাহী মসজিদে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মসজিদটা আসলেই খুব সুন্দর দেখতে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লেগেছে। এই মসজিদ সম্পর্কে আগে তেমন কিছু জানা ছিল না। আজকে অনেক কিছু জানতে পারলাম এই মসজিদ সম্পর্কে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কোন একদিন ভিডিওতে আমি এই মসজিদটা দেখেছি। তবে সঠিক বলতে পারছি না সেই ভিডিওটা এই মসজিদের কেনা। যাহোক ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা মসজিদ ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।