ভালোবাসা তখনই সুন্দর হয়ে ওঠে যখন সেই ভালোবাসাটি পূর্ণতা পায়। কিন্তু মিথ্যে ভালোবাসার কারণে অনেক সময় ভালোবাসার পূর্ণতা পায় না। আর মিথ্যে ভালোবাসার কারণে জীবনে যেন অনেক কষ্ট নেমে আসে। আসলে মিথ্যে ভালোবাসার কারণেই সত্যি ভালোবাসা যেন আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আর ভালোবাসা পবিত্র, ভালোবাসা দুটি আত্মার বন্ধন।এই ভালোবাসা নিয়ে যারা অভিনয় করে এবং মিথ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে মজা করে। তাদের কারণেই এই সমাজ থেকে সত্য ভালবাসা হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে ভালোবাসার নামক বেদনা নিয়েই যেন মানুষ বেঁচে রয়েছে। আর এভাবেই ভালোবাসার প্রতি ঘৃণা জন্মায়। তো বন্ধুরা অপূর্ণতা ভালবাসার একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

রনি ভাই যখন নদীর পাড়ে সেই সাদিয়ার খালাতো ভাইকে নিয়ে আড্ডা দিতেছিল এবং আড্ডার শেষে, ভাই তখন সাদিয়া খালাতো ভাইকে বলে আপনি কি সাদিয়াকে সত্যি ভালোবাসেন কিনা। তখন রনি ভাইকে না বলেছিল। তাই রনি ভাই তখন সাদিয়াকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন সাদিয়ার খালাতো বলে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি আমরা বিয়ে করবো। যদি ওদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে তাহলে রনি ভাইয়ের সাথে সাদিয়ার কি সম্পর্ক ছিল। কথাটি শুনে রনি ভাই কোন কথাই বলল না। তারপরে রনি ভাই আমাকে বলল ঠিক আছে,চল বাসাই যাই,সেই ভাইকে বললো আপনি থাকেন আমরা চলে যাই। রনি ভাই তখন আমাকে সাথে নিয়ে নদীর ওপারে নৌকা পার হয়ে একটা গাছের নিচে বসলো।

আমি তখন রনি ভাইয়ের বিষয়টা বুঝতে পারছিলাম। কোন কথাই বলতে পারছিলাম না। আসলে রনি ভাই আর ছাদিয়ার ভালোবাসার মাঝখানে তো আমি ছিলাম। সকল তথ্য আদান-প্রদান আমি করতাম রনি ভাই সাদিয়াকে ভীষণ ভালোবাসতো। আর এভাবে সাদিয়ার রনি ভাইকে ঠকাবে, এটা ভেবে আমি যেন কিছুই বলতে পারছিলাম না। তখন রনি ভাই শুধু একটা কথাই বললো,সাদিয়া আসলেই আমার সাথে এরকম নাটক করল ও কিভাবে পারলো। ওকে আমি আমার সবটা দিয়ে ভালবেসেছি। আমার ভালোবাসার মধ্যে তো কোন অভাব ছিল না। তাহলে কেন আজ মিথ্যে ভালোবাসায় আমাকে ও ঠকিয়ে গেল। এটার প্রশ্ন আমাকে জানতেই হবে। তুই শুধু একটা কাজ কর, তুই শুধু সাদিয়ার সাথে আমার নিরিবিলি দেখার একটা ব্যবস্থা করেদে।

তখন আমি একটা কথাই বললাম ঠিক আছে ভাই। আমি সকল বিষয় দেখতেছি, তুমি ভেঙে পড়ো না। তোমার ভালোবাসা সত্যি আর তোমার এই ভালোবাসা হারিয়ে যাবে না। তখন রনি ভাই বলল ভালোবাসা হারানোর আর কিছু বাকি নেই। যে ভালোবাসার মধ্যে মিথ্যে লুকিয়ে রয়েছে। সেই ভালোবাসা আমার আর দরকার নেই। ওর কাছ থেকে শুধু আমি একটা বিষয়ে জানতে চাইব, ও আমার সাথে কেন এত বড় নাটক করল। তুই শুধু এই ব্যবস্থাটা কর। আমি বললাম ঠিক আছে ভাইয়া, আমি কালকে সাদিয়া আপুর সাথে কথা বলে তোমাকে জানাবো। তোমার সাথে দেখা করবে কিনা, তখন রনি ভাই আমার হাত ধরে বলল যেভাবে হোক একবার হলেও রাজি করাবি।

আসলে রনি ভাই অনেক বেশি কষ্ট পাচ্ছিল। তার মুখের ভাষা তার চোখের ভাষা আমি বুঝতে পারছিলাম। প্রকৃতভাবে যাকে ভালোবাসা যায় সেই ভালোবাসার মানুষটি যদি কষ্ট দেয়, তাহলে এই কষ্ট সহ্য করা সবচাইতে বড় কঠিন তাই রনি ভাই অনেক কষ্ট নিয়ে সন্ধ্যা বেলা বাড়িতে আসলো। সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে আসার পরে রনি ভাই যেন কারো সাথে কথা বলতেছিল না,আগের মত। যে মানুষটা হাসি খুশি আনন্দ মজা নিয়ে সবসময় থাকতো। সেই মানুষটা যেন মিথ্যে ভালোবাসার কারণে একদম নিরিবিলি চুপচাপ হয়ে গেল। তারপরে আমি আর কিছু বললাম না। বাসার দিকে চলে আসলাম এবং ভাবলাম কাল সকালেই সাদিয়া আপুর সাথে আমার এই বিষয়ে কথা বলবো।

তারপরের দিন সকাল বেলা আমি সাদিয়া আপুর বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি সাদিয়া আপু অনেক হাসিখুশি সবার সাথে কথা বলছে। তার মনের ভিতর বিন্দুমাত্র কষ্ট নেই। তারপরে আমি সাদিয়া আপুকে বললাম, আপু তোমার সাথে আমার পার্সোনাল কিছু কথা রয়েছে, রনি ভাইকে নিয়ে। তখন বলল যে কি কথা বলবা এখানেই বলো,আমি বললাম যে পার্সোনাল ভাবে তোমার সাথে রনি ভাই একবার দেখা করতে চাই এবং তোমার সাথে কথা বলতে চাই। তখন বলব যে এখন তো বিয়ের অনুষ্ঠান পরে দেখা করব। তখন বললাম যে রনি ভাই তোমার সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলবে। আসলে রনি ভাই যে ওর খালাতো ভাইয়ের কথা জানতে পেরেছে, এটা সাদিয়া আপু বুঝতেই পারিনি। তাই বলল যে ঠিক আছে বিকেলবেলা আমি দেখা করবো।