বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আজ আমাদের মহান বিজয় দিবস। বিজয় মানে উল্লাস আনন্দ হাসিখুশি এবং মুক্তভাবে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। প্রত্যেকটা জাতি মুক্তভাবে বেঁচে থাকতে চায়। কোন জাতি পরাধীন হয়ে থাকতে চায়না। আসলে বিজয় যেন অন্যরকম একটা মুহূর্ত। প্রত্যেকটা বিজয়ী আনন্দের সাথে মুক্তভাবে বেঁচে থাকতে চায়। এই বিজয়টা যেন সবচাইতে মূল্যবান, আজ আমাদের বিজয় দিবস। এই দিনে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। আমরা বিজয় লাভ করি। নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়। বিশ্বের বুকে এবং মানচিত্রে সৌন্দর্যময় একটি লাল-সবুজের পতাকা স্থান পায়, এই দিনটা আমাদের কাছে মহান দিন। আসলে বিজয় উল্লাসের সাথে আনন্দের সাথে আমরা মুক্ত হয়েছিলাম। আমরা ছিলাম পরাধীন জাতি, সেই পরাধীন থেকে যখন আমরা বিজয় অর্জন করি। তখন যেন হাজারো দুঃখ ভুলে গিয়ে আমরা সুখের দেখা পাই। তাই আজ আমাদের মহান বিজয় দিবস আর এই বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। বিজয় দিবসের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইল।
আমরা ছিলাম পরাধীন জাতি। আসলে পরাধীন জাতিরা বোঝে কতটা অসহায় তারা। কারণ তাদের অন্যের উপরে নির্ভর করতে হয়। আর যাদের উপরে নির্ভর করতে হয় সেই সব মানুষ যেন আমাদের সাথে নির্মম ব্যবহার করে। বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা সব সময় পূর্ব পাকিস্তানদের উপরে অন্যায় অত্যাচার করতো। তারা সব জায়গাতেই বৈষম্য করতো। এমনকি তারা মাতৃভাষা কেউ কেরে নিতে চেয়েছিলো।সেই মাতৃভাষার আলোকেই বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ডাক দেয়। সেখান থেকেই স্বাধীনতার প্রেরণা জাগে। হাজার হাজার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে ঝাপিয়ে পরে।বিজয় কখনো এমনি এমনি আসে না। বিজয় অর্জন করতে হয় ত্যাগের বিনিময়ে। আমার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে এবং আমার মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের এই স্বাধীনতা, আমাদের এই বিজয় হাজারো মা বোনের রক্তের এবং আমার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়।
পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে আমরা পরাধীন ছিলাম। তারা যেন আমাদের বন্দি করে রেখেছিল। আমাদের কথা বলার ভাষা তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিলো। আসলে কোন জাতি পরাধীন ভাবে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে না। তারা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই, মুক্ত আকাশে পাখির মত উড়ে বেড়াতে চাই। তাই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা বাঙালি জাতির মধ্যে জেগে ওঠে। আর এই অনুপ্রেরণায় যেন বিজয় স্বপ্ন দেখায়। আসলে এই বিজয়ের পেছনে লাখো শহীদের রক্ত রয়েছে। আমার বোনের ইজ্জত রয়েছে। আর ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের বন্ধু হয়ে সর্বোচ্চ সাহায্য করেছে।যার কারণ তারা যৌথ বাহিনী গঠন করে, এই বিজয় অর্জনের পিছনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যার কারণে আজ আমরা স্বাধীন। আজ আমরা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের কোন বাঁধা নেই। আমরা যেন আনন্দে উল্লাসের জীবন যাপন করছি। এই স্বাধীনতার পিছনে আমার ভাই এবং বোনদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি বন্ধু ভারতের অবদান রয়েছে। কারণ তাদের অবদানের বিনিময়ে আজ আমরা খুব সহজেই বিজয় দিবস পেয়েছি।
স্বাধীনতার পেছনে এবং বাইরে অনেক অবদান রয়েছে ভারতের। বিশেষ করে তারা বাঙ্গালীদেরকে নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।বাঙ্গালীদেরকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তারা নিজ হাতে এসে যৌথ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছে। আর এই যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা যেন স্বাধীনতা, আমরা যেন বিজয় দিবস পেয়েছি। আসলে প্রত্যেকটা জাতি তাদের বিজয়ের পেছনে অন্যর সাহায্য পেয়ে থাকে।বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে সেটাই পেয়ে ছিলো।সব জাতিই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। আর স্বাধীন হয়ে যেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে তারা মুক্ত। তারা যেন নিজের মতো করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মুক্তভাবে সুন্দরভাবে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারছে। লাল সবুজের সৌন্দর্যময় একটি পতাকা হয়েছে। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক সুন্দর একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে, এই বিজয়ের মাধ্যমে।
আমরা বিজয় দিবস পালন করছি, আজ আমরা বিজয়ের সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছি। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। একদল শত্রু আমাদের মাঝে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। তারা যেন আমাদের চিরশত্রু। যারা আমার মা বোনের ইজ্জত নিয়েছে, যারা আমার ভাইয়ের রক্ত চুষে খেয়েছে, তাদের সাথে আজ মিলিত হতে চাচ্ছে। আসলে যারা আমার ভাইয়ের রক্ত কেড়ে নিয়েছে, যারা রক্ত খেয়েছে, তাদের আমরা কিভাবে বুকে টেনে নেব।সঠিক দেশ প্রমের মন মানসিকতা নিয়ে যদি আমাদের মধ্যে থাকে তাহলে আমরা আর ঐ সকল হানাদার বাহিনী সাথে হাত মেলাতে চায়বো না। শহীদের রক্তের কেনা আমাদের এই জন্মভূমি, আমরা যদি তাদের সাথে আবারো মিলেমিশে চলি তাহলে আমার ভাইয়ের রক্ত এবং আমার মা বোনদের ইজ্জত বৃথা যাবে। তাই আমরা আমাদের অতীতকে ভুলে যাবো না, আমরা যেন অতীতের স্মৃতি মনে রেখেই বর্তমানকে আগলে ধরে রাখি।কারণ অতীতের মধ্যেই বাংলাদেশের ইতিহাস রয়েছে, বাংলাদেশের জন্ম রয়েছে।
আপনাকেও আমি আমার তরফ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি আজকের সুন্দর এই দিনটা বেশ আনন্দের সাথে উদযাপন করার চেষ্টা করেছেন।
https://x.com/rayhan111s/status/1868673866530459802?t=4d48SeLPKdwLj0ta7Z6Nkw&s=19
বিজয় দিবসের অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। যদিও এ সম্পর্কে আমরা সবকিছুই জানি। তারপরও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়ে আরো ভালো লাগলো। সত্যি কেউই পরাধীনতায় বাঁচতে চায় না সবাই স্বাধীনভাবে চলতে চায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি আপনার তরফ থেকে আমাদের মাঝে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রদান করেছেন। আজকের দিনটা আমাদের সবার জন্য অনেক আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালের দীর্ঘদিন রক্তখই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দিনটা অর্জন করা হয়েছে। তাই আমরা স্বাধীন বাঙালি জাতি। বারবার ফিরে আসুক হাসি আনন্দের মাঝে এই দিনটা।
ভাই প্রথমে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিজয় দিবস সম্পর্কে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমাদের দেশ যুদ্ধে জয়লাভ করে। আর জয়লাভ করার পরে আমরা সুন্দর একটি স্বাধীন দেশ পায়। তাই এখন আমরা স্বাধীন বাঙালি জাতি। আমরা কারোর পরাধীনতায় জন্য তাই বাঁচতে চাই না সবাই সাধারণভাবে বাঁচতেও চলতে চাই।
পরাধীন জাতি থেকে স্বাধীন জাতি হওয়ার যে আনন্দ সেটা আমরা লাভ করেছি। আমরা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পরে বিজয় অর্জন করেছি। মহান বিজয় দিবসে সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও জানাচ্ছি বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিদায় দিবস জাতির জন্য অনেক বড় একটি গৌরব। এই বিজয় দিবসের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি।