আমি ভালোবাসি আমার আমিকে (10% beneficiaries for @shy-fox)
প্রিয় বন্ধুরা,
"আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং সালাম-আসসালামু ওয়ালাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আমার নিজের সম্পর্কে কিছু কথা নিয়েই আপনাদের সামনে এসেছি। মানুষের জীবনে কত স্বপ্ন,কত ইচ্ছা থাকে আর তা পূরনের জন্যই আমরা জীবনের অনেক মূল্যবান সময় ব্যয় করি। আমরা সবাই এমনি ভালোকিছুর উদ্দেশ্যে আমরা শুধু সময় কেন,সবকিছু করতে পারি। তেমনি আমার নিজের জন্য,আমার নিজেকে টিকিয়ে রাখতে আমি যুদ্ধ করে এসেছি। আজকের আমার গল্পটা একটু ভিন্নরকম। চলুন শুরু করা যাক......
আমি
আমার সাথে অবিচার করা হয়েছিলো
আমার সাথে সেদিন অবিচার করা হয়েছিলো, কারন আমি সৎ চিন্তাভাবনার ছিলাম। পড়াশুনা শেষ করে অভাবের সংসারে আমি এক বেকার যুবক যখন চাকুরীপেলাম সবার জানে যেনপানি চলে আসলো। আমাকে নিইয়ে ছিলো সবার টেনশন। আমার চাকুরী যখন ৩ মাস চলে তখন অফিসের সিনিয়র পার্সন একটা পরিস্থিতিতে আমাকে ঘুস অফার করে। কারন, আমি তার সম্পর্কে এমন কিছু জানতাম যা তার চাকুরী চলে যাওয়ার জন্য যথেস্ট। এ ব্যাপারে আমি কাউকেই কিছু বলার বা শেয়ার করার প্রয়োজনবোধ করিনি। সে নিজের থেকে এসে আমাকে ঘুস দিতে চাচ্ছে, আমি তাকে বললাম-প্রয়োজন নেই, আমি কাউকে বলবো না,বিশ্বাস রাখতে পারেন। কারন আমিও চাচ্ছিলাম না তার সদ্য বিবাহিত জীবন অশান্তি তে ভরে যাক। সে আমাকে উপস্থির সবার সামনে অপমান করে এবং আমার চাকুরী ছাড়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করে। আমাকে চাকুরী ছাড়ার নোটিস দেয়ার আগেই আমি চলে এসেছি ওই অফিস ছেড়ে। এসে সেই ঘুসদাতাকে আমি কল করলাম আর বল্লাম,ব্যাপার টা কিন্ত আমি এখনো জানি। আমি চাইছিলাম না খারাপ কিছু হোক,তার কূকর্মের ভিডিও টা আমাদের অফিসারকে মেইল করলাম। এক সপ্তাহ পর জানতে পারি তার আর চাকুরী নেই,সেও আমার মতো বেকার। আজ ৪ বছর পর দেখা,অনেক টা বয়সের ছাপ পড়ে গেছে তার চোখেমুখে ,জানতে পারি সে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কোনো কাজকেই ছোট করে দেখতে নেই। কিন্ত আজ সে আরও ভালো জায়গায় নিজেকে রাখতে পারতো যদি সে নিজের জায়গা থেকে সৎ থাকতো। উপরওয়ালা আমাকে ভালোই রেখেছে আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন তার জন্য আমার জীবনের প্রথম চাকুরী চলে গিয়েছিলো,আমার জায়গা থেকে আমি সৎ ছিলাম তবুও। এটা আমার সাথে আমি অবিচার মনে করি। আর সেই চাকুরী চলে যাওয়ার কারনে নিজের খুব কাছের মানুষ কেও চোখের সামনে অন্যের হতে দেখেছি।কারন, আমার একটায় দোষ ছিলো-আমি বেকার।
তবুও ভালো ছিলাম
আমি তবুও ভালো ছিলাম,কারন আমি আমার জায়গা থেকে পজিটিভ ছিলাম। আমার নিজেকে ভালো রাখতে আমার পজিটিভিটিই আমার কাছে অনেক মনে হয়। জীবনে এম্ন অনেক ধাক্কা খাওয়ার পর নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় যখন অবস্থান করাইলাম তখন খুব পরিষ্কার বুঝতে পারলাম যে আমি বোকা ছিলাম। আমার সরলতা যেন বোকামি এমন টায় ভাবতো আশেপাশের সবাই। এখন আমি নিজের ১৬ আনা বুঝে নিতে জানি,১ আনাও ছাড়তে রাজী নাই। এখন আমি সবার চোখে খুব চালাক মানুষ। হ্যা আমি এমনি,আর আমার এমনকেই আমি ভালোবাসি। আমার নিজেকেও আমি পরিস্থিতির একটা চাপে পরিবর্তন করে ফেলেছি। যখন বুঝলাম আমার আমি ছাড়া আমার নিজের বলতে কেউ নেই ঠিক তখন থেকেই নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করি।
আসলেই নিজেকে ভালোবাসা ছাড়া উন্নতি করা অসম্ভব।আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে, নিজের ভেতরে থাকা সৎ চিন্তার উন্নতি করতে হবে, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে তাহলেই সবকিছুর জয় সম্ভব। তাই নিজের যত্ন নিন,নিজের কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে শিখুন, নিজেকে ভালোবাসুন ব্যক্তিত্ব এমনিই তৈরী হয়ে যাবে।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা আমার খুবই ভালো লাগে সব সময় অন্যের খুশির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে আর অন্যকে দেয়ার ভিতরে কি প্রশান্তি কাজ করে। আপনি বেশ উদার মনের মানুষ। আসলেই ধাক্কা খাবার পরেই আপনি বুঝতে পারলেন যে বোকা ছিলেন। আসলে দুনিয়ায় কেউ কারো না। সবাই স্বার্থপর।🥺
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই পৃথিবীর জীবন যুদ্ধ টা আসলেই খুব নিষ্ঠুর। আপনি যত কাউকে প্রশ্রয় দিবেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন ততই সে আপনাকে পেয়ে বসবে। আর যখন তার পালা আসবে আপনার পাশে দাঁড়ানোর তখন সে আর আপনাকে পাত্তাই দিতে চাইবে না। কিন্তু দিন শেষে আপনার কর্মের ফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে। আপনি কাউকে ঠকালে একদিন আপনিও ঠিকই কারো কাছ থেকে ঠকে যাবেন। এটাই বাস্তবতা, এটাই নিয়ম।
জ্বি ভাইয়া একদম ঠিক কথা বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার কথাগুলো অনেক দামী ছিলো আমার কাছে।