আত্মসম্মান তথা "পাত্তা"
শুভ সন্ধ্যা,
"আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদ্যদের শুভেচ্ছা ও সালাম-আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আত্মসম্মান তথা পাত্তা এই বিষয় নিয়ে মোটামুটি একটা ধারনা উপস্থাপন করছি, আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আত্মসম্মান তথা "পাত্তা"
আমি আজকে বলতে চাই-দয়া করে কাউকে দেখে হিংসা করবেন না, ও এইটা,ও সেইটা, সে ওইটা কিনতেছে,তার ওইটা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই হিংসাতে আপনি কিছুই করতে পারবেন না বিশ্বাস করুন। নিজেকে একটা জায়গায় দাড় করাতে হলে শান্তির ঘুম আর নরম বালিস ত্যাগ করতে হবে। পৃথিবীতে কোনো ব্যাক্তিই অলসতাকে সাথী করে জীবনে কিছু করতে পারেনি, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই-দুনিয়ায় যত সম্মানী ব্যাক্তি আছে,তাদের প্রত্যেকের অতীতে ঘটে যাওয়া বিশাল কর্মকান্ড আছে। তারা কিছু করেছেন বলেই আজ তারা মহান , উনারা কিছু করেছেন বলেই আজ তারা ক্ষমতাশালী। খুব সাধারণ হয়ে বর্তমান দুনিয়ায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। আপনার মাথায় সবসময় একটা কাজ করাতে হবে-যেকোনো দিক দিয়ে আপনাকে একটু অসাধারণ হতে হবে। যেকোনো দিক দিয়ে অন্য দশ জনের থেকে আপনাকে একটু আলাদা হতে হবে। একটা জিনিস কখনোই ভুল করা যাবে না ,সেইটা হলো শুধুমাত্র আজকের দিনে থেমে থেকে চিন্তা না করা। আমি একটা কথা বলবো, চিন্তা করবো অফিসে বসে,স্কুলে বসে, বাসায় বসে, সেই কথার আগে কি হবে আর পরে কি হবে সেইটার উপর বেজ করে চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে,অবশ্যই সেইটা আপনাকে হতাশ করবে না।
প্রশ্ন আসতে পারে-এত চিন্তা করে কি আর জীবন চলে ভাই? ভাই এত চিন্তা করে তো জীবন চলে না,জানি আমরা সবাই। কিন্ত চিন্তা করেও কি উপায় আছে? আপনি একটা সিদ্ধান্ত ভেবে চিন্তেই না নিয়ে হুটহাট করে ফেলেন সেখানে হতাশা হওয়াটা আপনার স্বভাবে মিশে যাবে। আমরা যেটাই করি না কেন, লক্ষ রাখতে হবে অটুট। আজ আমাকে কেউ জনগনের মাঝে অপমান করছে, লোকজনের কাছে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে, সবার মাঝে নিজেকে তুলে ধরে বোঝাতে চাচ্ছে আমার কাছে আপনি কিছুই না। আসলে কি তাই? এত আত্মবিশ্বাস আসে কোথাথেকে? আজ আপনি আমাকে অপমান করলেন -কাল যদি আমি একটা ভালো পজিশনে যাই তখন ঠিকই মিস্টি কথা বলার চেষ্টা করবেন। মানুষের কাছে পাত্তা পাওয়া অনেক কঠিন যদি আপনার কোনো বিশাল কর্ম না থাকে। আর তাছাড়া আমরা বাঙালী বিশেষ করে অতিরিক্ত আত্মসম্মান নিয়ে চলি। আমি সর্বশেষ একটা মেসেজ দিতে চাই সেইটা হলো-জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে আর অনেক বড়কোনো স্বার্থ হাছিলের ক্ষেত্রে আত্মসম্মান কে দূরে রাখবেন।
জীবনে সুখী হতে চাই কঠোর পরিশ্রম।পৃথিবীতে যে জাতি যত পরিশ্রমী, সেই জাতি তত উন্নত।
সুন্দর একটা ফুল গাছ থেকে তুলতে গেলে আপনাকে সেই গাছের কাঁটা বিধবে,তারপর তা তা হাতে পাবেন।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কথাগুলো বাস্তবসম্মত কথা, আসলেই এমনটা হওয়া উচিত। অলস জীবন যাপনে কোনো স্বার্থকতা নেই। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জ্বী, আপনার সুন্দর মতামত ও সহমত এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই, সত্যিই আজকাল পাত্তা পাওয়া টা পুরোটাই নিজের উপর নিজের স্থান ঠিক থাকলে মানুষ এমনি পাত্তা দেবে। আর জীবনে ভালো কিছু করতে হলে আমাদের অবশ্যই অলসতাকে দূর করতে হবে, আরামের ঘুম আর নরম বালিশের মায়া ত্যাগ করতে না পারলে সত্যিই কেউ জীবনে উন্নতি করতে পারবে না।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আত্মসম্মান তথা "পাত্তা"টাইটেল টি দেখে গল্পটি পরলাম।আপনার কিছু কথা যেন আমার মনের কথা বলেছেন অর্থাৎ ভালো কিছু পেতে গেলে শান্তির ঘুম হারাম করতে হবে নরম বিছানা নরম বালিশ ছেড়ে কাজ করার অভ্যাস থাকতে হবে এবং অন্যকে দেখে কখনোই ঈর্ষা বা হিংসা করা যাবেনা।আসলে নিজের আত্মসম্মান বোধ নিজেকেই তৈরি করতে হবে নিজেই নিজেকে পাত্তা দিতে হবে।এবং কাজের মাধ্যমে আমার আজকের আমি তাকে কালকে পরিবর্তন করতে হবে♥♥♥
আপনি সঠিক বলেছেন আপু, অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি। সুখী মানুষকে মানুষ পাত্তা বেশি তা হোক হিংসা করেই কিন্তু দেয়। ব্যাপারটা জানতাম কিন্তু আপনার মতো করে মাথায় আসেনি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার এই অসাধারণ পোস্টটি পড়ে আমি এটাই বুঝেছি পরিশ্রম ছাড়া কখনো সফলতা আসবে না ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বুঝেছেন আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু, শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি
ধন্যবাদ ভাই।