চরে জীবন যাপন
শুভ রাত্রি,
@amarbanglablog-এর বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সকলে আল্লাহ তাআলার অশেষ কৃপায় অনেক ভালো আছেন। মাশাল্লাহ অনেক ভালো লাগে যখন আপনাদের লেখা গল্প ,কবিতা এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন কিছু তৈরি, অংকন দেখি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি নতুন একটি গল্প নিয়ে আপনদের সামনে হাজির হয়েছি । জানিনা আজকের গল্পটুকু কতটা আপনাদের মন কাটতে পারবে। চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।
চরে জীবন যাপন
নদীর বাঁকে বাঁকে অনেক কাটিয়েছি বহুকাল রমিজ,রামনাথ, নসির আলী ও কাসেম চৌধুরীর সাথে। মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতা চেপে আসে কালো আঁধারের মতো ভাবনার সম্পূর্ণটা জুড়ে তাই বসে চিন্তা করি কবে যেন নাবীক নামে চন্দ্র হয়ে আকাশে ওঠে আমার নাম!
তোকে ভরসা,,,
করে স্বপ্ন দেখি লেবুর চরবাসিদের নিয়ে কবে মিলবে শিক্ষার পরিস্ফুটন, কবে যে মানুষ তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে মাছের বাজারে। একমাত্র অবলম্বন মাছ ধরা এটাই জীবীকার একমাত্র অবলম্বন কিন্তু মেম্বার কেরানির জন্য সে মূল্য জোটে না তাদের। শহরের বাজারদর সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখার উপায় নাই,সেবার কাসেম চৌধুরীর ছেলে পাভেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাবসায় শিক্ষায় পড়ার সুযোগ পেয়েছি। কাসেম চৌধুরীর নামে 'শুধু চৌধুরী' সে বার আমরা মাছুয়ারা টাকা চাদা দিয়ে পাভেলকে ঢাকার বড় বিদ্যালয়ে পরিক্ষার জন্য উৎসাহিত করেছিলাম যাতে সে বড় হয়ে আমাদের পাশে দাড়াতে কিন্তু একজন জেলের কপাল যেমন তেমনি থেকে গেলো। অন্যদিকে কাসেম চৌধুরী'ই হয়ে আমাদের ছেড়ে
শহরে বাসা বাধলো। আশার শেষ ভরসা পাভেল!
কিন্তু
"পাভেলের আশায় শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া বাদ দিয়ে মাস্টারের ফরমাসে মাস্টারের ছেলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে চরে ফিরেছে সকলের মাঝে সচেতনতা বারাবে বলে।" চরের সকল।মানুষ অনেক দোয়া করলো মাস্টারের ছেলের জন্য।
তবে অনেকে তাকে প্রশ্ন করেছিলো তুমি ১ কেজি বাদামের দাম বলতে পারবে এইভাবে নেগেটিভ ভাবনার মানুষেরা তোষামোদ করা শুরু করেছিলো!
তানভির কিছুক্ষণ তার বাবার দিকে তাকিয়ে থাকলো এবং বাবা ছেলের চোখের ইশারাই কি যে হলো তারা জানে, তখন তানভির বলতে শুরু করলো আমি ১ কেজি বাদামের দাম জানি না কিন্তু কিভবে ১ কেজি বাদাম থেকে ২০ কেজি বাদাম উৎপাদন করা যায় এটা যানি। আমি বাদামের দাম জানি না কিন্তু বিশ্বের কোন কোন দেশে বাদাম চলে এটা জানি, আমি ১ কাজি বাদামের দাম বলতে পারবো না কিন্তু কিভাবে আপনারা বাদাম চাষ ছেড়ে দিয়াছেন এর কারণ বলতে পারবো!
আর কিছু শুনবেন?
তুমি আমাদের থেকে কি কি নিয়া পালাবে!
হুম আমি আপনাদের থেকে দোয়া নিয়ে পালাবো দিবেন?
চলো চলো ভন্ড দিয়ে চর ভরা!
আমি কিছু বীজ এনেছি আপনারা আমার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন। পাছে লোকে কিছু বলে!
৬ মাস পরে সকেলর মুখে হাসি এবং আনন্দের ঢেউ যেন প্লাবনে নদীর গতি।
সকলের দুঃখ দূর্দশা কমে গেলো বেচা-কেনার কাজও ভালোই চলছে দালাল ধরতে হচ্ছে না।
মাস্টারের জন্য সকলেই গর্বিত।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। চরের মানুষ আসলেই খুব মানবেতর জীবন যাপন করে। তাদের কৃষিকাজের কথা তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপু
আপনার পোস্টের মাধ্যমে চরের মানুষের জীবন যাপন অনেকটাই তুলে ধরেছেন ভাই। খুবই ভাল লিখেছেন। শুবেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
চরে জীবন যাপন সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিলো না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
চরে জীবন যাপন সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিলো না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।শুভকামনা রইলো ভাইয়া।