💥 শুভেচ্ছা সবাইকে 💥

---

আশা করছি @amarbanglablog এর সকল মেম্বাররা ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। সবাইকে আমার সালাম, আদাব এবং নমস্কার জানিয়ে আজকের পোস্টটি লেখা শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ভ্রমণ ডায়েরি থেকে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।গতবছর ভ্রমণকৃত বহুল আলোচিত নিকলী হাওর সম্পর্কে আজকে লিখবো।আশা করছি আমার এই ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।

---

w3w location

---

গতবছর ঠিক এমন সময় আমার আমার স্কুল বন্ধুরা সবাই মিলে প্ল্যান করে নিকলি হাওর যাওয়ার। তার কিছুদিন আগেই আমি টাঙ্গুয়ার হাওর(সুনামগঞ্জ) ঘুরে আসার কারণে আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না।তবুও ছোটবেলার বন্ধুদের অনেক অনেক রিকুয়েস্টের পর আসলে আর না করতে পারলাম না। যাওয়ার ঠিক আগের দিন আমি কনফার্ম করলাম যে আমি সবার সাথে যাচ্ছি। সবার প্রথমে আমরা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করলাম নিকলী হাওর যাওয়ার জন্য। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে দিয়ে মাইক্রোবাস ভাড়া করে আমরা ঠিক রাত ১ টার সময় রওনা হলাম নিকলি হাওড় এর উদ্দেশ্যে। সারারাত মাইক্রোবাসে খুব সুন্দর রিলাক্স একটি জার্নি হলো।খুব ভোর বেলায় আমরা কিশোরগঞ্জের বালিখোলা ঘাটে পৌঁছে গেলাম।

---

w3w location

---

বালি খোলাঘাট থেকেই মূলত নিকলী হাওরে শুরু। খুব সকাল সকাল সেখানে পৌঁছে ঠান্ডা বাতাসে মনটা একদম ভরে গেল। ভোর বেলায় কোন রোদ নেই তাপ নেই শুধু হাওরের বাতাস আর বাতাস। আমরা সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি এবং ঘুরাঘুরি করে সময় পার করছিলাম। কারন তখনও কোন দোকানপাট কিছুই খোলেনি। কিন্তু আমাদের সকালের নাস্তার জন্য পেট চোঁ চোঁ করতে লাগলো। পরে সময় কাটানোর জন্য আমরা সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে ছবি তুলতে লাগলাম।

---

w3w location

---

কিছুক্ষণ পর নাস্তা খেয়ে আমরা একটি ট্রলার ঠিক করলাম, যার মাধ্যমে আমরা নিকলী হাওর প্রধান আকর্ষণ হাওরের মধ্যে রাস্তা দেখতে যাব। ট্রলারে যেতে যেতে এক অন্যরকমের অভিজ্ঞতা হলো আমাদের। নদী বা সাগরের মত হাওড়া কম বিপদজনক নয়। আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন প্রচন্ড ঢেউ ছিল হাওড়ে। যার কারণে ট্রলারটি অস্বাভাবিক ভাবে দুলতে ছিল। অনেকটাই ভয়ে ভয়ে কেটেছে পুরোটা সময়। যাক অবশেষে বুঝতে পেরেছি নিকলি হাওড় এর প্রধান আকর্ষণ সেই ব্রিজ এবং রাস্তায়।

---

w3w location

---

স্থায়ী ব্রিজ দেখার জন্য এত কষ্ট!!! মেনে নিতে পারি নাই।প্রচণ্ড গরমে খুবই অস্বস্তিকর লাগছিল কিন্তু কোথাও যাওয়ার ঠাঁই নেই। ঐদিন এত রোদ ছিল যে মনে হচ্ছিল চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। গরম সহ্য করতে না পেরে আমরা সবাই মিলে পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি করি এবং গোসল সেরে নেই। তারপর সবাইকে একটু বিনোদন দেয়ার জন্য আমি গান ধরলাম।গানটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছিঃ

---

---

গানের নামঃওরে নীল দরিয়া
মূল শিল্পীঃআব্দুল জব্বার

প্রচন্ড রোদ গরম এবং পোকার আক্রমণে আমরা বেশিক্ষণ সেখানে বসতে পারিনি।আর গরমে ক্লান্ত হয়ে আমাদের ক্ষিদা লেগেছিল খুব।খাবার জলের খুবই অভাব বোধ করেছি আমরা। সে জন্য তাড়াহুড়া করে আবার আমরা বালি খোলার দিকে ফিরে এসেছি। সেখানে এসে খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। তারপর বিকাল হতে হতেই আমরা রওনা দিয়ে দিলাম কুমিল্লার উদ্দেশ্যে। রাত ১২ টার দিকে বাসায় এসে পৌঁছলাম।

---

w3w location

---

নিকলী হাওর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা খুব বেশি ভালো না হলেও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আসা-যাওয়ার পথে যে মজা হয়েছে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। যদিও স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে এর থেকে ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভ্রমণ আশা করা যায় না। খুব সুন্দর এবং ব্যস্ততম একটি দিন পার করেছি তাতেই আমরা অনেক খুশি ছিলাম। এই ছিল আমার নিকলী হাওর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। আশাকরি আপনাদের ব্লগ টি ভালো লেগেছে। আবারও কথা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ সবাইকে 🙏 💛