পারিবারিক আনন্দঘন মুহূর্ত || রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া|| ১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
♨️ শুভেচ্ছা সবাইকে ♨️
আশা করছি @amarbanglablog এর সকল মেম্বাররা ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। সবাইকে আমার সালাম, আদাব এবং নমস্কার জানিয়ে আজকের পোস্টটি লেখা শুরু করছি।আজকে আমি পরিবারের সাথে বাইরে ঘুরতে যাওয়া এবং খাওয়া দাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আমার এই ব্লগ টি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
পরিবারের সবাই মিলে একসাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা কোথাও খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। নরমালি আমরা যে যার যার মতো ব্যস্ত তাই দিন কাটাই।সারাদিন ব্যস্ততা শেষে রাতের বেলা সবাই বাসায় একসাথেই থাকি।কিন্তু একই ছাদের নিচে ঘুমিয়েও ব্যস্ততার জন্য কারো সাথে কারো যোগাযোগ বা দেখা হয়না। যার কারণে একটু বাইরে ঘুরতে বের হলে পরিবারের সাথে একটা ভালো সময় কাটানো যায়।
আমার বড় মামা বিগত ৩ মাস যাবত ঘরে বসা ছিল।করোনার কারনে চাকুরী চলে গিয়েছিল।পরে মনের মত চাকুরী না পাওয়ায় ঘরে বসেই সময় পার করেছে।হঠাৎ করেই পাইওনিয়ার কোম্পানি থেকে ইন্টারভিউ কল পেলো মামা।মামার চাকুরী টা হয়ে গেল।তার পর দিনই আমার ইন্টারভিউ ছিল গাজী গ্রুপ এ। আমাকেও দু দিন পর কনফার্ম করলো গাজী গ্রুপ।এক সাথে মামা ভাগ্নের চাকুরী পাওয়ার খুশি তে পরিবারের সবাই মিলে কে এফ সি আদাবর এরিয়া তে গেলাম খেতে।
সল্প সময়ে ভালো খাওয়া দাওয়ার জন্য কে এফ সি বেস্ট মনে হয়েছে আমার কাছে। তাদের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন খুবই জোশ।পরিবেশ টাও খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। খাবার মান নিয়ে তো কোনো কথাই নাই। তাদের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এর কিছু ছবি শেয়ার করছি নিচেঃ
কিছুক্ষণ ছবি তোলে আমরা খাবার অর্ডার করলাম।কেএফসি তে পে ফার্স্ট সিস্টেম তাই আগে অর্ডার অঅনুযায়ী পে খাবার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে।আমরা যেহেতু অনেক গুলো খাবার অর্ডার করেছি তাই আমাদের খাবার আসতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। আমাদের অর্ডারকৃত খাবারের লিস্টঃ
- চিকেন ফ্রাই
- বার্গার বান
- ফ্রেঞ্জ ফ্রাই
- কোল ড্রিংস
কে এফ সি আমার সবসময় প্রিয় কারন কখোনই হতাশ হই নাই। যাক সবমিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করলাম।পরিবারের সাথে এত সুন্দর দিন পার করাটা খুবই আনন্দের। সবাই মিলে আমারা যেই কাজ টাই করিনা কেনো সেটা আনন্দের ই হয়। আমার মতে সবাই তার নিজ নিজ পরিবার কে সময় দেওয়া উচিত।জীবিকার খাতিরে আমরা সবাই ব্যাস্ত থাকি কিন্তু তার মধ্যেই যতটুকু সময় পাওয়া যায় সেই সময় আমাদের পরিবার কে দেওয়া উচিত। পরিবারের সবাই মিলে মিশে থাকার মধ্যে অনেক আনন্দ।এভাবেই আনন্দে কাটুক সবার দিন কাল। এই আশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।শেষে আমাদের ৩ ভাইয়ের একটি ছবি শেয়ার করলামঃ
আপনার মামা এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আর কেএফসির খাওয়া-দাওয়ার হাইফাই বিষয়।নামিদামী ব্রান্ড। আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আসলেই ব্যাস্ততার কারনে আমরা একই ছাদের নিচে থেকেও কেউ কারো সাথে ঠিক ভাবে কথা বা যোগাযোগ রাখতে পারি না। পরিবারের সাথে কাটানো সময় গুলো অন্যান্য যেকোনো সময়কে হার মানায়।সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভ কামনা
আপ্নাকেও ধন্যবাদ ভাই।ভালোবাসা রইল
খুব আনন্দ ঘন মুহূর্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই।পরিবারের সাথে এরকম মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর হয়।খাবার এর ছবিটা খুব লোভনীয়😋।আপনাদের তিন ভাইয়ের জন্য রইলো শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে শুভকামনা। এবং পরিবারের সাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা। এরমধ্যে চিকেন ফ্রাই টাই আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
আপানাকেও ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য
🙂🙂
তোমার ও তোমার মামা দুজনের জন্যই শুভকামনা থাকলো। করোনার সময়ে চাকরি চলে যাওয়ায় কতোটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হয়েছে তা চিন্তাতীত। আশা করছি এইবার থেকে মামা ভাগ্নে দুজনেই মানসিক শান্তি নিয়ে ঘর থেকে বেরোতে পারবে
প্রচুর মানসিক শান্তিতে আছি দাদা এখন। আসলে খুব বাজে একটা সময় গিয়েছে মাঝখানে। দুঃখের পরে সুখ আসে এটাই আসল নিয়ম
আসলেই,ব্যস্ততা খুব প্রয়োজনের সাথে সাথে খারাপ জিনিষ ও। একসাথে থেকেও সবাই দূরে সরে যাই একমাত্র ব্যস্ততার কারণে। তাই আমি পার্সোনালি পরিবারের সাথে সময় কাটানোটা অনেক বেশি পছন্দ করি। আর তা যদি হয় খাওয়া-দাওয়াময় তাহলে তো কথাই নেই আর কোনো।দারুণ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পরিবার সবসময় ভালোবাসা এবং আবেগের জায়গা
কাছের মানুষদের সাথে চমৎকার মুহূর্ত কাটানো। সুস্বাদু খাবার খাওয়া। দুর্দান্ত আপনার কন্টেন্ট। শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া
ধন্যবাদ দাদা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য