ঠান্ডা মাথার হুমকি
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমার ইউনিভার্সিটির একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। কারণ প্রায় সময় বিভিন্ন ঘটনা আপনাদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই শেয়ার করা হয়। কিন্তু নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কিছুটা কম শেয়ার করা হয় না।তো তাই ভাবলাম আজকে তেমন একটা ব্যাপারই আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করা যাক।
বেশ কয়েকদিন আগে থেকে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে অনেক বড় সমস্যা হচ্ছিলো অর্থাৎ বলা চলে যে বিভিন্ন রকমের লেখালেখি হচ্ছিলো। বিভিন্ন অনিয়ম এর কারণে। অর্থাৎ লেখালেখি করার মূল একটি উদ্দেশ্য ছিলো যে সবাই যেনো, অর্থাৎ বিশেষ করে অথরিটি যেনো একটু নড়েচড়ে বসে এবং অথোরিটি যেনো আসলে তাদের ভুলগুলো বুঝতে পারে এবং সবকিছু ঠিক করে নেয়।
কিন্তু আজকের ক্লাসে এসে একজন শিক্ষক যেটা বললেন। সেটা এতো বেশি ঠান্ডা মাথায় হুমকি দেওয়ার মতন ছিলো তা বলাই বাহুল্য। অর্থাৎ আমি কথাটি বললে আপনারাও বুঝতে পারবেন। সেই শিক্ষক আমাদের রুমে এসেই একটি কথা বললেন যে, তিনি কয়েকদিন আগে প্রায় রাতের একটা থেকে দুটো পর্যন্ত থানাতে ছিলেন এবং কারণ জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন যে, বিভিন্ন পেইজের এডমিন মডারেটর সকলকে থানায় ডাকা হয়েছে এবং ওই পেজগুলোতে যারা অথরিটির বিরুদ্ধে এনোনিমাস হয়ে পোস্ট দিয়েছে। সবার আইডি গুলো বের করা হয়েছে।
আপনারা কি এই কথাটি মানে বুঝতে পেরেছেন? এই কথাটির মাধ্যমে আসলে আমাদের ওই স্যার আমাদের এটাই বলার চেষ্টা করলো যে, আমরা যতোই অ্যানোোনিমাস হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করি না কেনো৷ আমাদের সকলকেই ধরা স্যারদের দ্বারা একেবারে ১০০% সম্ভব। অর্থাৎ উনার কথাতে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে, অথোরিটি নিয়ে যেনো অহেতুক লেখালেখি না করি কারণ এতে করে ওনারা আমাদেরকে যে কোনো রকম ভাবে হেনস্থা করতে পারে। চিন্তা করুন, কি পরিমাণ বুদ্ধি খাটালে আসলে এই ধরনের ঠান্ডা মাথার হুমকি দেওয়া সম্ভব। কারণ মিষ্টি কথাতেই উনি আমাদের হুমকি দিয়ে গেলেন।