যৌতুক
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে যৌতুক সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
যৌতুক আমাদের সমাজে একটা সামাজিক ব্যাধি। এই যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া দুটো একটা সমান অপরাধ। আসলে পূর্বে এই যৌতুকের প্রচলনটা অনেক বেশি ছিল। আসলে তখনকার সময়ে একজন মেয়ের বাবাকে তার মেয়ের বিয়ে দিতে হলে তার সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে হতো। আসলে এসব লোকেরা সমাজের জন্যই বড়ই নিরুপায় হয়ে যেত তখনকার সময়ে। আসলে তখনকার সময়ে একটা কন্যা সন্তান মানে তখন তার বাবাকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ জোগাড় করে রাখতে হতো তার কন্যার বিবাহ দেওয়ার জন্য। আসলে এসব সমস্যা তখনকার সময় সব থেকে বেশি ছড়িয়ে ছিল। তখন কিন্তু মানুষ কখনো এসব যৌতুকের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসতো না। কেননা সমাজের লোকজন গুলো এই যৌতুককে সমর্থন করত। কেননা তখনকার সময় এগুলো প্রচলন ছিল।
আসলে কোন সাহসী ব্যক্তি তখনকার সময় ছিল না যারা কিনা এই যৌতুকের প্রচলন বন্ধ করে দেবে। আসলে যারা এই যৌতুকের সমর্থন করত তারা কখনো একজন শিক্ষিত ব্যক্তি ছিল না। আর যৌতুকের জন্য অনেক পরিবার একদম ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছে। কেননা সেই পরিবারকে তার সন্তানদের বিবাহ দেওয়ার জন্য কিন্তু প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম করতে হতো। এমনকি অনেক পরিবার ছিল যারা তাদের মেয়েদের বিয়ের জন্য তাদের সর্বস্ব বিক্রি করে দিত। আসলে একটা সময় পর যখন মানুষ অসহ্য হয়ে গেল এই যৌতুকের জন্য তখন আস্তে আস্তে কিন্তু মানুষের যৌতুকের বিরোধিতা করতে শুরু করল। আর এভাবে বিরোধীতা করতে করতে একটা সময় সবাই এই যৌতুকের ক্ষতিকারক দিকগুলো জানতে পারল এবং সমাজ থেকে এই যৌতুককে চিরতরে না বলে দিল।
কিন্তু এখন সবার মধ্যে এই যৌতুকের কুফল এখনো বের হতে পারেনি। কেননা সমাজের সবাই কিন্তু এখনো শিক্ষিত হতে পারেনি। শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই যৌতুকের কুফল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে এবং এই যৌতুকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তারা সবসময় জানতে পারেন। আর যারা সমাজের কাপুরুষ তারা সব সময় যৌতুকের সমর্থনে যায়। যৌতুকের জন্য কিন্তু সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর যারা যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া করে তারা কিন্তু অবশ্যই সরকারের কঠিন শাস্তি পেয়ে থাকেন। আর এর জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যে যারা সমাজে যৌতুক দেওয়া নেওয়া করে তাদেরকে সব সময় সরকারের কাছে ধরিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার যাতে করে তাদের দেখে আর কেউ এই ধরনের যৌতুক প্রথা চালু করতে না পারে।
আর এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা একটা সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারবো যে সমাজে আর যৌতুক কখনোই থাকবে না। আসলে এভাবে যদি সবাই যৌতুককে না বলেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা একটা সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারবো। যে সমাজে নারী-পুরুষের সবার সমান অধিকার থাকবে। কেননা বর্তমান সময়ে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে এবং কোন অংশে পুরুষদের থেকে নারীরা পিছিয়ে নেই। আর আমরা কিন্তু সব সময় চেষ্টা করব যে সমাজটাকে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং সমাজে যারা এখনো পিছনের দিকে পড়ে রয়েছে তাদেরকে এসব যৌতুকের খারাপ দিক সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য। আর এর মাধ্যমে আমরা একটা যৌতুক বিহীন দেশ গঠন করতে পারব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাহ, আমি মনে করি এটি খুব আকর্ষণীয়, আমি সত্যিই আপনাকে অভিনন্দন জানাই, নতুন অনুসরণকারী।
এটা সত্যিই যৌতুকের খারাপ দিকগুলো সামনে আনতে হবে তাহলে এই যৌথ প্রথা আস্তে আস্তে বাদ হয়ে যাবে। আগেকার দিনে অশিক্ষিত মানুষেরা এই যৌতুক প্রথা চালু করেছিল। এখনো সমাজে যৌতুক প্রথার প্রচলন রয়েছে। আধুনিক সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হলে যৌতুক প্রথা বাদ দিতে হবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।