কলেজ ক্যাম্পাসে কিছুটা সময় কাটানো
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
গতকাল কলেজ গিয়েছিলাম ল্যাব ক্লাস ছিল এজন্য।এবার বেশ আগে থেকেই ল্যাব ক্লাস শুরু হলো আমাদের।এটা বেশ ভালো একটি বিষয়।আগে থেকেই প্রিপারেশন গুলো কমপ্লিট করা যাবে।যেহেতু ফাইনাল ইয়ার প্রচুর প্রেসার রয়েছে আমাদের সাব্জেক্টে।তো গতকাল সকাল ৮ টার দিকেই বেরিয়ে পড়লাম কলেজের উদ্দেশ্যে।ওই সময় যেহেতু ট্রেন থাকেনা তাই বাসে করেই গিয়েছিলাম।অনেকদিন পর বাসে করে যাওয়া হলো কলেজে।বেশিরভাগ ট্রেনে করেই আমার কলেজে যাওয়া হয় ।কিন্তু গতকাল আগে ক্লাস শুরু হওয়ায় বাসেই যেতে হলো।
ক্যাম্পাসে ঢুকতেই কয়েকটি দেয়ালের স্থিরচিত্র চোখে পড়লো।তাই ভাবলাম ফটোগ্রাফি করি।আর অনেকদিন কোনো ফটোগ্রাফি ও করা হয়না বাইরে না যাওয়ার জন্য।কোথাও ঘুরতে গেলে ভালো ভালো ফটোগ্রাফি করার সুযোগ থাকে।আমার যেহেতু বাসা আর কলেজেই যাওয়া হয়।তাই খুব একটা ফটোগ্রাফি করতে পারিনা।ওই একই জায়গা বারবার চলে আসবে তাই। দেয়ালের স্থিরচিত্র গুলো আমাদের কলেজের ইন্টারমিডিয়েট এর শিক্ষার্থীরা করেছে।জুলাই ২০২৪ এর দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর এই আর্ট গুলো করা হয়েছে।যেদিন এই আর্ট গুলো করা হচ্ছিল সেদিন কলেজে উপস্থিত থাকায় দেখতে পেরেছিলাম।শিক্ষার্থীরা নৈপুণতার সহিত ভালোবাসার সাথে আর্ট গুলো করছিল।আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম কয়েকশ শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে।
ফটোগ্রাফি গুলো করছিলাম আর ভাবছিলাম একটি মাস আমাদের জীবনে কত পরিবর্তন এনে দেয়।আমাদের যাতে আর কখনোই এরকম বিভৎস জুলাই মাস না দেখতে হয়।এই ২০২৪ এর জুলাই মাস বাঙালিদের স্মৃতির পাতায় থাকবে । রং তুলির সাথে করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি সুন্দর লাগছিল।প্রতিবাদের সুর ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে শিক্ষাথীরা।
ফটোগ্রাফি গুলো করেই চলে গেলাম ক্লাসে।দুই ঘণ্টা ক্লাস শেষ করে বান্ধবীরা সবাই মিলে একটু ঘুরতে গেলাম পুকুর পাড়ের দিকে।আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের সবচেয়ে নিরিবিলি এরিয়া পুকুর পাড়।তাই সবাই মিলে খোলা আকাশের নিচে একটু শান্তির খোঁজে যাওয়া।যেহেতু শীতকাল এসে পড়েছি তাই বেশি দেরি করিনি আমরা কারণ বাতাস ছিল প্রচুর ।তাই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় ছিল।স্থিরচিত্রের ফটোগ্রাফিগুলো কেমন লাগলো আপনাদের বন্ধুরা!
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -18th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
X-Promotion
বাইরে ঘুরতে না যাওয়া হলে ফটোগ্রাফি খুব একটা করা হয়ে উঠে না এটা খুব সত্যি কথা।আপনার শেয়ার করা চিত্র গুলো জুলাই মাসের কথা আবার মনে করিয়ে দিল।নতুন ভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।এ রকমের চিত্র গুলো স্কুল,কলেজে খুব বেশী দেখা যায়। এটা সত্যি ই বলেছেন '৭১ না দেখলে ও '২৪ দেখেছি।আর কিছুটা অনুভব করতে পেরেছি '৭১ কে।
আপনার ছবিগুলো দেখে সেই নৃশংস দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ভয়ানক দিন কাটিয়েছেন আপনারা প্রত্যেকে। আশা করি এখন সবকিছু কেটে গেছে এবং আপনারাও ভালো আছেন। এই ছবিগুলোই পরবর্তীকালে ইতিহাস হয়ে টিকে থাকবে। ছবিতে মুগ্ধ নামটা দেখে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো।
কলেজ ক্যাম্পাসে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং সেইসাথে কিছু দেয়াল লিখন এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বর্তমানে কমবেশি সব জায়গাতেই দেয়াল গুলোর মধ্যে এই ধরনের আর্ট গুলো দেখা যায়। এগুলো আমাদের ২৪ শে জুলাইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয় সব সময়। যাইহোক আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সব জায়গাতেই এখন এই ধরনের চিত্রগুলো দেখা যাচ্ছে আপু। দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন রকমের চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আপনি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন আর এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
বাহ। ছবিগুলো খুব সুন্দর করে ক্যাপচার করেছেন তো। আসলে রাজনৈতিক বিষয়ে দেওয়াল লিখন বহু পুরনো একটি কালচার। এই ছবিগুলি ও খুব ভালো লাগলো। দেওয়াল লিখন বরাবর জনচেতনায় একটি বড় ভূমিকা নিয়ে এসেছে। কলকাতাতেও এই দেওয়াল লিখন নিয়ে অনেক ঐতিহ্য আছে। সব রাজনীতি বাদ দিয়ে শুধু ছবি হিসেবে বিষয়গুলি আকর্ষণীয়।