নাটক রিভিউ - মাস্তান||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আপনাদের মাঝে নাটকের রিভিউ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি বন্ধুরা।মুশফিক আর ফারহান এর নাটকগুলো অনেক ভালো লাগে আমার।বিশেষ করে ওনার অভিনয় গুলো একদম রিয়েল লাগে।মনে হয়না যে অভিনয় করছে।যেকোনো চরিত্র সে পারফেক্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।আজকে যখন নাটকটি দেখছিলাম বেশ ভালো লাগছিল আমার ।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি রিভিউ পোস্টটি।
নাটকের নাম | মাস্তান |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | রুবেল আনুস |
লেখা ও স্ক্রীপ্ট | আব্রাহাম তানিম |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান,তানিয়া বৃষ্টি,মনিরা মিঠু ,জয়নাল জ্যাক আরও অনেকে |
চিত্রগ্রহণ | রফিক মোহাম্মদ |
প্রযোজক | এস কে সাহেদ আলী |
ইডিট এবং কালার | আগুন শুভ |
মুক্তির তারিখ | ১৫-০৬-২০২৪ |
দৈর্ঘ্য | ৫৬ মিনিট ৩০সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই নাটকটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রাখা হয়েছে কুরবানির ঈদের গরুকে।আর মূলত তার নামই মাস্তান।আর গরুটি পালন করেন যিনি তার বাম মাসুম।এই গরুটি মাসুমের জীবনের সব।নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে গরুটিকে সে।নাটকটির প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয় যে,একটি লোককে মাসুম মারছে কারণ সে তার মাস্তানের গায়ে হাত দিয়েছে।তারপর লোকটি মাস্তানের কাছে এসে ক্ষমা চাই মাস্তান ক্ষমা চাওয়ার পর মূলত তাকে ক্ষমা করে মাসুম।এরপর একটি নদীতে মাসুম তার গরুকে গোসল করাতে যায়।সেখানে তার প্রেমিকা মালা যায়। মালা মাস্তানকে জেলাস করে কারণ মাসুম তাকে বেশি সময় দিতে পারেনা মাস্তানের জন্য।মাসুম এগুলো বলতেই মালা এসে শুনে ফেলে।
রাতে পিকনিক সেরে মাসুম খাবার নিয়ে যায় মালাকে খাওয়াতে।।যে মুরগি চুরি করে তারা পিকনিক করেছিল সেটা মূলত মালার বাড়ির মুরগি ছিল।মালা মাসুমকে তাদের মুরগি হারানোর ব্যাপারে বললে,মাসুম বলে বকা দিও না।কিন্তু স্বীকার করেন না যে মুরগি তারাই নিয়েছিলেন না।তারপরের দৃশ্যে মাসুমের বাবা মাসুমকে তার মা জন্য গ্রামের লোকের নালিশ শুনতে শুনতে পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম তার সেগুলো বলতে থাকে।মাসুম সেগুলো কানে না নিয়ে হেসেই উড়িয়ে দেয়।প্রের দৃশ্যে দেখা যায়,মালার বাবা মালার জন্য পাত্র ঠিক করছে।বিদেশে থাকে মালার ছবি দেখে তার ভালো লেগেছে এলাকার বেশ পরিচিত ব্যক্তিবর্গ তারা।যেই ঘটক প্রস্তাবটি এনেছেন তিনি ৩৫০ টা বিয়ে দিয়েছেন কিন্তু নিজে বিয়ের সময় পাননি।মাসুম সেই ঘটককে শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি মাছের ঘেরের সামনে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয় ঘটককে তার বন্ধুরা মিলে।এরই মধ্যে মাসুমের মায়ের শরীর খারাপ দেখা দেয় তাকে ডাক্তার দেখতে নিয়ে যায় তার বাবা।বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন তার মায়ের চিকিৎসার জন্য।
তারপরের দৃশ্যে দেখা যায় মাসুম একটি লোকের সামনে দাড়িয়ে তার সাথে কথা বলছে।আর তার বন্ধুরা সেই লোকটির মাথায় রাখা ঝুড়ি থেকে হাঁস নিয়ে ইট রাখছেন।লোকটির থেকে হাঁস নিয়ে বন্ধুরা পিকনিক করবে তার জন্য।মালা এবং মাসুমের ভালোবাসার কিছু দৃশ্য দেখানো হয়।তাদের প্রেমের সুন্দর মুহূর্ত জেনে যায় মালার বাবা।তারপর মালার থেকে মোবাইল নিয়ে বাড়িতে বন্দী করে রাখেন বিয়ের জন্য।মালা মাসুম এর কথা বললে তাকে ধমক দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেন ভদ্রলোক।এরই মধ্যে গ্রামে একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা হয় গরুর লড়াই নিয়ে সেখানে মস্তানকে অংশ নেওয়ানো হয় ১০,০০০ টাকা পুরস্কারের আশায় মাসুম।কারণ ওই টাকাটা দিয়ে মাসুম তার মায়ের চিকিৎসা করাবে।প্রতিযোগিতায় মাস্তান জিতে যায় আর তখন সেটা নিয়ে আনন্দ করে মাসুম আর তার মধ্যেই মালার বিয়ে হয়।মালা অনেকবার ফোন করে মাসুমকে পায়না।কারণ মাসুম খুশিতে ফোন কেটে দিচ্ছিল অপরিচিত নম্বর সেজন্য ফোন ধরেনি মূলত।তারপর মালার বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা এক বন্ধু এসে মাসুমকে বলে।তখন দৌড়াতে দৌড়াতে এসে মালার বিদায় বেলা দেখত পাই মাসুম এবং টাকা আর ফোন তাকে দেখায়।দুজনেই কেঁদে ফেলে আবেগে।
মালার শ্বশুরবাড়ির লোকরা কুরবানীর ঈদ এ মাস্তনকে কিনতে চায় ।বড় গরু হওয়ায় তাদের পছন্দ হয়ে যায়।আর বাড়িতে নতুন অতিথি মালা এসেছে।মাসুমের বাবাকে গরুর দাম একটু বেশি বাড়িয়ে দিয়ে হলেও মাস্তানকেই নিতে চায় তারা।এই মুহূর্তে মাসুমের মায়ের হার্ট এ ব্লক ধরা পড়ে অনেকগুলো টাকার দরকার।তাই কোনো উপায় না দেখে মাসুম রাজি হয়ে যায় বিক্রি করতে । মাস্তানকে বিক্রি করে মাসুম ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনা।পরপর তার প্রিয় জিনিস গুলো হারিয়ে মাসুম খুব অসহায় অনুভব করে।ঈদের দিন মাস্তানকে দেখতে চলে যায় মাসুম। মাস্তান এর জন্য প্রচুর কান্নাকাটি করে।নিজে হাতে পালন করা পশুকে যাতে আস্তে করে কুরবানী দেয় সেটা বলতেই আসে এখানে মাসুম। তখনই মালার সাথে দেখা হয়ে যায় এবং এখানেই নাটক শেষ হয়।
সবগুলো স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
নাটকটি দেখার সময় অনেকটা খারাপ লেগেছিল।আসলে টাকার কাছে মানুষ কতটা অসহায় এই বিষয়টাই মূলত হাইলাইট করা হয়েছে।আমাদের দেশে যারা পশু পালন করেন তারা একটু মধ্যবিত্ত হয়েই থাকেন।অর্থের আশায় মূলত পশু পালন করেন।কিন্ত একপর্যায়ে গিয়ে উক্ত পশুর উপর মায়া চলে আসে।আর টাকার কাছে সেই মায়াগুলো বিসর্জন দিতে হয়।নাটকে মাসুম তার মাকে ভালো করতে গরুকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন যাতে কিনা টাকা দিয়ে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারেন।আর সেই মুহূর্তে তার প্রেমিকার ও বিয়ে হয়ে যায়।শেষে গিয়ে গরুটাকে বিক্রি করে দিতে হয় তার।এখানে টাকার কাছে তার সমস্ত ইমোশন বিসর্জন হয়।প্রতিবার কুরবানির ঈদে আমরা পশু কিনে থাকি কিন্তু তার পিছনের গল্প গুলো আমাদের জানা থাকেনা। নাটকটিতে সেই পিছনের গল্পগুলো দেখানো হয়েছে।
এই নাটকটিতে আমি ৯/১০ রেটিং দিলাম। |
Post by-@rahnumanurdisha
Date-26th June,2024
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু যখন কোন অভিনয়শিল্পী অভিনয় করে তখন তাদের অভিনয়গুলো বাস্তব মনে হয়। এই নাটকটি দেখা হয়নি। তবে নাটকটির রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো আপু। সময় পেলে দেখার চেষ্টা করবো।
জি আপু,ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর নাটক এর রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং এখানে আপনি রিভিউ এর মাধ্যমে অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে অবশ্যই সময় করে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
জি ভাইয়া দেখতে চেষ্টা করবেন।
মাস্তার নাটকটি আমি দেখেছি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকটিতে পশুর প্রতি মানুষের ভালোবাসার আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। অসাধারণ একটি নাটক ছিলো।
আমারও অনেকটা ভালো লেগেছিল।
আপু সেম আপনার মত আমিও মুশফিক আর ফারহানের নাটক গুলো অনেক ভালোবাসি।তার অভিনয় গুলো দেখে মনে হয় বাস্তব অভিনয়। যাই হোক এই ঈদে এই নাটকটি অনেক ভালো লাগছে আমার কাছে। এই নাটকে মুশফিক আর ফারহান খুবই সুন্দর অভিনয় করছে। আপনার শেয়ার করার নাটকটির রিভিউ পড়ে আরো অনেক ভালো লাগলো । আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। মাস্তান এই নাটকটি আমি দেখেছিলাম। নাকটকের গল্প আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিলো। বিশেষ করে ফারহান এর নাটক গুলো সবসময় আমার কাছে ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে পুরো নাটকটি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
নাটকটি আমার ভালো লেগেছিল,বাস্তবিক ছিল নাটকটি।