নাটক রিভিউ - তোকে খুঁজে বেড়াই ||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আপনাদের মাঝে নাটকের রিভিউ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি বন্ধুরা।এখন থেকে সপ্তাহে একদিন আমি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করব ভেবেছি তাই ভাবনা অনুযায়ী আমার আজকের পোস্টটি।বাংলা নাটকগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে।স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটকগুলো অনেকটা বাস্তব কে কেন্দ্র করে লেখা হয়ে থাকে।তেমনি আজকের নাটকটি।আমাদের সমাজে এধরনের ঘটনাগুলো অহরহ দেখা যাচ্ছে ।নিম্নবিত্ত শ্রেনীর যারা রয়েছেন তারা বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে করতে একসময় পরাজিত হন।তো বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি নাটকটির রিভিউ ।
নাটকের নাম | তোকে খুঁজে বেড়াই |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | জুবায়ের ইবনে বকর |
টাইটেল সম্পাদনা ও বর্ণবিন্যাস | সালাহ উদ্দীন |
অভিনয়ে | খায়রুল বাশার,সামিরা খান মাহি,মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন,জাবেদ গাজী,সাজ্জাদ |
চিত্রগ্রহণ | নাঈম ফুয়াদ |
প্রযোজক | খোরশেদ আলম |
আবহ সঙ্গীত | আপেল মাহমুদ এমিল |
মুক্তির তারিখ | ২৯-০৬-২০২৪ |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট ৪৮সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকটিতে প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয়েছে একটি লাশের পাশে বসে কান্না করছে মেয়েটির নাম আলতা বানু। আলতা বানুর দুনিয়ায় একমাত্র তার বাবা ছিল।একটি পিকআপ ভ্যানে করে তার বাবার লাশ কফিন করে নিয়ে যাচ্ছেন সেলিম এবং রতন মিস্ত্রি।রতন মিস্ত্রি বয়স্ক লোকটি আলতা বানুর বাবার বন্ধু।আর সেলিম তার শীর্ষ। রতন মিস্ত্রি কফিন তৈরি করে তার কারখানা রয়েছে।আর কফিন তৈরিতে সাহায্য করেন সেলিম।আলতা বানুর বাবা মারা যাওয়ায় তাকে রতন মিস্ত্রি তার বাড়িতে যেতে বলেন যাতে কিনা কোনো লোকজন তাকে বিরক্ত না করে।যেহেতু অল্প বয়স্ক তরুণী আলতা তাই মানুষের কুনজর পড়তে পারে এটা স্বাভাবিক একটি ব্যপার।যেহেতু তার গার্ডিয়ান এখন আর নেই।পরের দৃশ্যে রতন মদ খেয়ে মাতলামি করছিল আর তার দুঃখের কথা বলছিল তার বউরা সবাই তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।সেলিম এটা শুনে বলে নিজের সব বউকে এত মারলে একটাও কি করে টিকবে।তিনি আসলে তার বাবা হতে না পারার দুঃখে সব বউকে মারতেন আরকি।
তারপরের দৃশ্যে দেখা যায় আলতা রতন মিস্ত্রির বাড়ি চলে আসে আশ্রয়ের জন্য।কারণ তাকে তার বাড়ির আশেপাশের ছেলেরা সবাই খুব জ্বালাতন করছিল।সেলন বারবার নিষেধ করেছিল তাকে আসতে তাছাড়া তারা দুইজন ছেলে মানুষ যেহেতু।এজন্য পরের দিন গ্রামের মেম্বার আসেন এবং মেয়েটির থাকা নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন।তখন রতন মিস্ত্রি আলতা বানুকে বিয়ে করতে চান।সেলিম বিয়ে করতে চাইলে তার টাকা পয়সা না থাকায় বিয়েটা করতে দেয় না গ্রামের লোকজন।সেলিম এর আগেও আলতার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন সেখানেও তিনি নাকচ করেছিলেন।কিন্তু আলতাও মনে মনে সেলিমকে ভালোবাসতো।তারপর বিয়ে হয়ে যায় আলতার।পরের দিন রতন মিস্ত্রি বাইরে চলে যায় কাজে।সেলিম তখন আলতাকে এখানে আসতে নিষেধ করেছিলেন সেটা না শোনার জন্য অনেক কথা শোনায়।
রতন মিস্ত্রি বাড়ি না থাকায় সেলিম আর আলতার মধ্যে প্রেমের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং আলতা সন্তানসম্ভবা হয়।কিন্তু রতন মিস্ত্রি এই খবরে মোটেও খুশি নয় কারণ তিনি জানতেন তিনি বাবা হতে পারবেন না।তারপর আলতা কে মারধর করেন।আর সেলিমকে মেরে ফেলার প্ল্যান করেন।কারণ সেলিম আলতার বাচ্চার বাবা।রতন মিস্ত্রি স্পেশাল কফিন তৈরি করতে বলেন সেলিমকে ।যেটা আসলে সেলিমের জন্যই।নিজের হাতে কোনো সাহায্য ছাড়াই তৈরি করেন কফিন সেলিম।তারপর ভাল মন্দ খাওয়া দাওয়া করায় এবং নতুন পোশাক কিনে দেয় সেলিমকে রতন মিস্ত্রি।বছরে একবার নতুন পোশাক দিয়ে থাকেন তিনি কিন্তু আবারও দেওয়ায় সেলিম সন্দেহ করেন।
আলতার থেকে ঘটা করে বিদায় নিতে বলেন সেলিমকে ।একটি মাঠে গিয়ে রোদে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন দুজন।সেলিম হালকা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমের ভান ধরেন।আর তখন রতন মিস্ত্রি ছুরি চালিয়ে দিতে যান সেলিমের গলায়।তখন সেলিম ছুরি ধরে নেন এবং তার প্ল্যান বুঝতে পারার কথা বলেন।আলতার দিকে কুনজর দেওয়া নিয়ে বলেন যে কিনা তার মেয়ের বয়সের ছিল।ইচ্ছাকৃত ভাবে গ্রামের লোক নিয়ে এসে আলতা কে বিয়ে করে তার জীবনটা নষ্ট করেছে সে এগুলো বলে সেলিম রতন মিস্ত্রিকে মেরে ফেলেন এবং নাটক এখানেই শেষ হয়।
সবগুলো স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে
নাটকটি একটি বাস্তবমুখী নাটক ছিল।এধরনের ঘটনা গুলো হরহামেশা দেখতে পাওয়া যায় আমাদের সমাজে।নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা আপনজনকে হারানোর পর নিরাপত্তার অভাবে বিয়ে করে থাকেন রতন মিস্ত্রির মতো বয়স্ক লোকদের।আর তারপর অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পছন্দের মানুষের সাথে।আর যেটার জন্য তাদের জীবনে চলে নানান সমস্যা।সমাজ ও পরিস্থিতির চাপে পড়ে বয়স্ক লোককে বিয়ে করাটা আলতা বানুর জীবনে ভুল ছিল।তিনি যদি সেলিমের কথা শুনে বাড়ি থেকে না আসতেন তাহলে হয়তো দুর্দিন তাকে দেখতে হতনা।নাটকটি বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।
এই নাটকটিতে আমি ৯/১০ রেটিং দিলাম। |
Post by-@rahnumanurdisha
Date-3rd July,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু। অনেক সুন্দর একটি নাটক। এই নাটকটি আমি দেখেছি। ঠিক বলেছেন আপু। আমাদের সমাজে অসহায় পরিবারের মেয়েরা নিরাপত্তার অভাবে বিয়ে করে থাকেন রতন মিস্ত্রির মতো বয়স্ক লোকদের। নাটকের রিভিউটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাটকটির মতো বাস্তব উদাহরণ অনেক আছে আপু ।
নাটক দেখা আমার এখন কম হয়।তাই অনেক নাটকের ভিড়ে এই নাটকটিও আমার দেখা হয়নি।তবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে করা নাটকটি বেশ দারুন হয়েছে। আপনি চমৎকার ভাবে নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। সময় সুযোগ হলে নাটকটি দেখবো আশাকরি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত এর জন্য।
সামিয়া খান মাহির অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি । তবে নাটকের রিভিউ টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সময় পেলে নাটকটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউ টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
যদিও নাটকটি আমার দেখা হয়নি, তবে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে যে নাটকটি বেশ ভালোই ছিল। এবং একটি বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি নাটকটিতে আমরা দেখতে পেয়েছি। আসলে বর্তমান সমাজেও মেয়েরা বেশ অসহায়। যার কারনে আলতা সুন্দীরীর মত মেয়েদের এমন সমস্যায় পড়তে হয়। ধন্যবাদ আপু নাটকটি রিভিউ করার জন্য।
খুবই চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু। নাটকের গল্পটি আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নাটক দেখতে আমি অনেক পছন্দ করি৷ যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার চেষ্টা করি৷ আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে সুন্দর নাটক এর রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনা এখানে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য৷ অবশ্যই সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷