মজাদার কাকরোল ভাজি||
আজ-২৮ই,জ্যৈষ্ঠ ||১৪৩০ বঙ্গাব্দ,গ্ৰীষ্মকাল||
আসসালামুআলাইকুম/আদাব। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগবাসি? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলাম বন্ধুরা।আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকে বাসায় রেসিপিটি করেছিলাম, তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।তো যেমন ভাবা তেমন কাজ।আমার আজকের রেসিপি মজাদার কাকরোল ভাজি।কাকরোল একটি সবজি,আমরা সবাই মোটামুটি সবজিটির সাথে পরিচিত।এটি দেখতে কিছুটা করলার মতো মনে হলেও,স্বাদে একেবারেই ভিন্ন। অনেকে করলার তিক্ততার জন্য খেতে অপছন্দ করলেও এই সবজিটি পছন্দ করে থাকে।এটি করলার অপশনাল বলা যায়,তিক্ততা নেই এই সবজিতে।এছাড়াও এতে ভিটামিন এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে।যেকোনো সবুজ শাক সবজি আমাদের দেহের ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে থাকে,যেটা আমরা সবাই জানি।আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি আমার রান্নার প্রক্রিয়া।আমি রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করেছি নিম্নে সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাকরোল | ৫ টি |
পেঁয়াজ | ৩ টি |
রসুন | ৫ কোয়া |
কাঁচা মরিচ | ৬টি |
জিরা | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
প্রথমে কাকরোল চাক করে কেটে নিয়েছি,সাথে পেঁয়াজ,রসুন,মরিচ কুচি করে কেটে নিয়েছি।তারপর এগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জিরা এবং কেটে রাখা কাকরোল দিয়ে নিয়েছি।তারপর খুন্তির সাহায্যে নেড়ে নিয়েছি।
এবার পেঁয়াজ,মরিচ,রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে নিতে হবে।তারপর হলুদ গুড়া,লবণ দিয়ে দিয়েছি।
এবার অল্প পরিমাণ পানি দিয়েছি, যাতে করে কাকরোল তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।এবার ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে উপকরণ গুলো মিশিয়ে নিয়েছি।
এবার ১০ মিনিট মতো কাকরোল ভাজি করতে হবে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে চেড়ে।
এবার কাকরোল ভাজি হয়ে আসলে চুলা অফ করে দিয়েছি।
এপর্যায়ে রেসিপিটি একটি প্লেটে পরিবেশন করতে হবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।আমার রেসিপিটি কেমন লেগেছে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন বন্ধুরা।আবার নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।
রেসিপি ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
VOTE @bangla.witness as witness

OR
কাঁকরোল দেখতে করলার মত হলেও খেতে একদম আলাদা। কাঁকরোল ভাজি আমার খুবই প্রিয়। গরম ভাতের সাথে কাঁকরোল ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি তো মাঝে মাঝেই বাসায় কাঁকরোল ভাজি রেসিপি তৈরি করি। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
কাকরোল ভাজি আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার।আমার বাসায় কাঁকরোল ভাজি রান্না করে।আপনি তো দারুণ ভাবে রান্না করছেন।আপনার রান্নার কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে রান্না।আপনি দারুণ ভাবে ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাজি জাতীয় খাবার গুলো আমার খুব ফেভারিট। বিশেষ করে রুটি 🍞 অথবা পরোটা দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো।। আপনার কাঁকরোল ভাজির রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।।
মজাদার কাকরোল ভাজি খুবই চমৎকার হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কাঁকরোল ভাজি গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই মজা হবে এমনিতে আমি কাঁকরোল খুব বেশি খাই না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগছে।
আপু আপনার এই কাকরোল ভাজি রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। কাকরোল ভাজি খেতে আমার কাছে মুটামুটি ভালোই লাগে। আপনার কাকরোল ভাজি রেসিপির ধাপগুলি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাকরালের ভালো একটা নামই দিয়েছেন আপনি। করলা আমার একদমই পছন্দ না। তবে কাঁকরোল ভাজি আবার খাওয়া হয়। ভালই লাগে কাকরোল ভাজিটা। তবে আপনার কাঁকরোল ভাজি করার পদ্ধতিটা একদমই ভিন্ন। আমার কাছে এ পদ্ধতিটি নতুন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কাকরোল ভাজি বেশ মজার একটি রেসিপি। বর্ষাকালে বেশ সুন্দর সুন্দর কাকরোল পাওয়া যায় বাজারে। বেশ মজার করে কাকরোল ভাজি তৈরি করেছেন এরকম ভাজি বিশেষ করে বর্ষাকালে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে গরম ভাতের সাথে খেতে অসাধারণ লাগে। আপনার ভাজি দেখেই বেশ মজার মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাকরোল ভাজি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কাঁকরোল ভাজি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে মাঝেমধ্যে সবজি খেলে আমাদের জন্য অনেক ভালো কারণ আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবটা পূরণ করে। সত্যি বলতে এই ধরনের ভাজি দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক মজা লাগে। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাকরোল ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।