সিলেটের জনপ্রিয় প্রাকৃতিক নিলাভুমি লালাখাল ভ্রমণ(পর্ব-৩)[10% beneficiary @shy-fox]
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।গত পর্বে আপনাদের সাথে সিলেটের অনেক জনপ্রিয় একটা স্থান লালাখালের ভ্রমণের গল্প আপনাদের সামনে প্রথম এবং দ্বিতিয় পর্ব তুলে ধরেছিলাম।এরই ধারা বাহিকতায় আজকে আপনাদের সাথে তৃতীয় পর্ব তুলে ধরবো।গত পর্বে আমি লালাখালের প্রথম পয়েন্টাকে তুলে ধরেছিলাম।আজকে আপনাদের সাথে লালাখালের সব চেয়ে সুন্দর জিরো পয়েন্ট যেখানে রয়েছে ২ রঙের পানি । আজকে এই সুন্দর জায়গাটার বর্ণনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।আমার এর আগের আরও দুইটা পর্ব রয়েছে এই লালাখালের সৌন্দর্য নিয়ে,আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন। আমি এই পোস্টের শেষে লিঙ্ক দিয়ে দেবো।আজকে আর বেশি কথা না বাড়াইয়ে চলেন শুরু করি লালাখাল ভ্রমণ পর্ব-৩।
আসলে সিলেটের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না।সিলেট হচ্ছে অপার সৌন্দর্যের নীলাভুমি।আর লালাখালের কথা না বললেই নয়।যেখানে রয়েছে অপার সৌন্দর্যের নিল পানি।যা দেখলে চোখ জুরিয়ে যায়।আসলে সৃষ্টিকর্তার কতোই না সৃষ্টি।সূক্ষ্ম হাতে তৈরি করেছেন তার প্রকৃতিকে।যা আসলে দেখে বর্ণনা করার মতো না।এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আপনাদের সাথে আমি লালাখাল ভ্রমনের পর্ব-৩ নিয়ে হাজির হয়েছি লালাখালের জিরো পয়েন্ট নিয়ে।যেখানে রয়েছে দুই রঙের পানি। যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর। আপনাদের চোখ জুরিয়ে যাবে।
আমার ছবির পিছনে যে দুইটা পাহাড়ের মাঝখানে কিছু নৌকা দেখতে পাচ্ছেন ওই জায়গাটা হচ্ছে জিরো পয়েন্ট।হয়তো ছবিতে এতটা ক্লিয়ার না।আমি এখন দাড়িয়ে আছি জিরো পয়েন্ট থেকে একটু দূরে একটা পাহাড়ের উপরে যেখানে উটতে অনেক বেগ পেতে হয় ।কিন্তু ওঠার পর আসলে আমার সব কষ্ট চলে গেছে।কারন ওখানে ওঠার পর প্রকৃতির মায়ার পরে গিয়েছিলাম। আসলে প্রকৃতি কতোই না সুন্দর।
এরপর পাহার থেকে নেমে আমরা নৌকা করে রউনা দিলাম জিরো পয়েন্টের উদ্দেশে।যাওয়ার সময় একটা ছবি তুলে নিলাম।নীল পানি,নৌকা এবং পাহাড়ের।যা এক কোথায় অসাধারণ।আমার কাছে প্রকৃতি যেন হাতের কাছে এসে ধরা দিয়েছিল।
জিরো পয়েন্টে যাওয়ার পর দেখলাম ওখানে আরেকটা নৌকা করে একদল ঘুরতে গিয়েছে।আমি আমার সুন্দর এই মুহূর্তটাকে আমার ক্যামেরায় বন্দি করে নিলাম।নৌকাটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছিল।
বলেছিলাম যে দুই রঙের পানি দেখাবো এই দেখে নিন।দুই রঙের পানি।যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।নিল এবং কাদামাটির কালালের পানি।দেখলে যেন মনটা জুরিয়ে যায়।এখানেই সৃষ্টিকর্তার নীলা খেলা।তার অপার সৃষ্টির এই পৃথিবী। যার সৌন্দর্য কখনো শেষ হবার নয়।
জিরো পয়েন্টে যখন নৌকাকে দার করে রাখা হয়।দুই রঙের পানি মহনায় অবিরাম দাড়ায় আছে আমাদের নৌকা।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আমাদের নৌকা যেখানে থেমে ছিল ওখানে পানি একটু কম।তবে সামনের দিকে পানি বেশি ছিল।আমাদের গোসল করার ইচ্ছা ছিল না তাই হাটু অব্দি প্যান্ট জরাইয়ে পানিতে নেমেছিলাম।আর পায়ের নিচ থেকে তখন বালি গুলো সরে যাচ্ছিল তখন অসাধারণ একটা অনুভূতি হচ্ছিল।যা বলে বুঝানো সম্ভব না।এই জন্য আমরা সবাই হাতে হাত ধরে আমরা একটা সেলফি তুলেছিলাম। কিন্তু আমার বন্ধু তনয় ঘুমাইপরেছিল।
এরপর আমি আবার আমার নিজের একটা ছবি তুলে নিলাম দুই রঙের পানির মাঝ খানে।আমিও ইতিহাসের একটু সাক্ষী হতে চাই। এই জন্য এই ছবিটা তোলার আমার।
এরপর হঠাৎ করে আমার চোখ থমকে গেলো।আমি দেখলাম এই ছেলে এখানে হাওয়ার মিঠাই নিয়ে আসছে।আমি রীতিমত অবাক হয়ে ছিলাম।ওর সাথে অনেক বেপারে কথা হইলো।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে,দাম অনেক বেশি নিবে।কিন্তু আসলে হাওয়ার মিঠাই ৫ টাকা করেই নিল।সবাই আমরা একটা করে হাওয়ার মিঠাই নিয়ে নিলাম।
একবার চিন্তা করেন যে এইখানে আপনি পানির ভিতরে দাড়িয়ে থেকে হাওয়ার মিঠাই খাচ্ছেন আসলে আমি আমার অনুভূতি বুঝিয়ে বলতে পারবো না।এক কথায় অসাধারণ।ধন্যবাদ সেই এই ছেলেটাকে যে এতো দূরে এই পানির ভিতরে হাওয়ার মিঠাই নিয়ে আসছে আমাদের জন্য।
এরপর আমি আবার বালি হাতে তুলে নিয়ে ফটোগ্রাফির প্রচেষ্টায় তবে ভালো হয় নাই পরে বুঝতে পেরেছিলাম। যাই হোক তবু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।কারন একবার না পারিলে দেখ শতবার।
মাঝে মাঝে সবাই যখন ছবি তুলতেছিল আমি আবার প্রকৃতির মায়ায় পরে গিয়েছিলাম।কারন আসলে প্রকৃতির অনেক মায়া যদি একবার কেউ প্রেমে পরে গেলে ওখান থেকে ফিরে আসার উপায় নাই।
আর এরই মাঝে আমাদের জিরো পয়েন্টের যাত্রা শেষ হয়ে গেলো।আমরা সবাই এক সাথে একটা ছবি তুলে নিলাম।ছবিটি তুলে দিয়েছিল অন্য গ্রুপের একজন মেম্বার।আজকে আপনাদের মধ্য থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।এর পরের পর্বে আরও অনেক চমক থাকবে।সিলেটের সুন্দর চা বাগান নিয়ে সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করবো।এর পরের পর্ব দেখার আমন্ত্রন রইল সবাইকে।
Note:প্রথম এবং দ্বিতিয় পর্ব যারা মিস করেছেন তারা চাইলে দেখে আসতে পারেন।
এপিসোড | পোস্ট লিংক |
---|---|
০১ | লিংক |
০২ | লিংক |
আর এখানেই আমি শেষ করলাম আমাদের লালাখালের ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব।এর পরের পর্বে আমরাসিলেটের সুন্দর একটি চা বাগান নিয়ে কথা বলবো। দেখার জন্য আমন্ত্রন রইল সবার।আমি জানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে ৩য় পর্বে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
ফটোগ্রাফি | রবিউল ইসলাম |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7 Pro |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

জাস্ট ওয়াও অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করেছেন আমাদের সঙ্গে। আপনার পোস্টটি পড়ে ও ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার আগের দুই পর্ব ও পড়েছিলাম আমি খুব ভালো লেগে ছিলো। খুব সুন্দর ভাবে সব কিছুর বিবরণ দিয়েছেন আপনি। সাথে লালাখাল এর ছবি গুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত দিয়ে আমার পাশে থাকার জন্য।
ভাই আপনার ভ্রমণ করতে খুব ভালোবাসেন। আপনার ভ্রমণ কাহিনীর পোস্টগুলো আমার কাছে বরাবরের অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার লালাখালের ছবিগুলো দেখে আমার মনে হচ্ছিলো এখনই রওনা দিই। এই গরমের ভেতরে এমন শান্ত নীল সুন্দর পানিতে শরীরটা ভিজিয়ে নিতে ইচ্ছা করছে। এই নদীটা আমি যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই। আশা করি খুব দ্রুত আবার সেখানে যেতে পারবো। আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গার ছবি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আসলে আপনাদের ভাল লাগাই আমার সার্থকতা। ঘুরে যাবেন আমাদের সিলেটের লালাখাল। আমন্ত্রণ রইল আপনার জন্য।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে, প্রকৃতির বর্ণনা দেওয়ার বিষয়টি অনেক সুন্দর ছিল। ভাললাগতে বাধা থাকল না।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
🌹🌹
ভাই লালাখালের বিচিত্র রকমের সৌন্দর্যময় উপাদানগুলো আমায় মুগ্ধ করলো।লাল খানে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে অনেক ইনজয় করেছেন। আসলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা আড্ডাগুলো অনেক মধুর হয়। আপনাদের ভ্রমণকাহিনী তিনটি পর্বের মাধ্যমে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।