বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
"আসসালামুয়ালাইকুম"
"আসসালামুয়ালাইকুম"
সবাইকে শুভেচ্ছা 🌺 সকলেই কেমন আছেন। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
বন্ধুরা" আজ আমি আপনাদের জন্য একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি।
আমার যেখানে সেখানে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। সব বন্ধুদের নিয়ে ভাবতেছি কোথায় যাওয়া যায়। হঠাৎ মনে পড়ে গেল আমাদের নওগাঁ জেলায়। দর্শনীয় স্থান পাহাড়পুর। তখন সব বন্ধুদের নিয়ে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গেলাম।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
৩-৪ বছর আগে আমি সেই পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গিয়েছিলাম।
পাহাড়পুরে টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। প্রতিটি টিকেটের মূল্য মাত্র ৩০ টাকা করে। আমরা সব বন্ধুরা টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। চারিপাশটা ঘিরানো আছে লাল রংয়ের ইটের দেয়াল দিয়ে।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
হাজারো মানুষের সমাগম চারপাশে তাকালে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। চারিপাশে সবুজে ঘেরা। তবে ৩-৪ বছর আগে যেমনটা দেখেছিলাম। এখন তার থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। সুন্দর ছোট ছোট রাস্তা বানিয়েছে হাঁটার জন্য। সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগিয়েছে। নানা রকমের ফুলের গাছ আছে সেখানে।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
প্রতিদিন সেখানে হাজার হাজার মানুষ আসে। তবে ছুটির দিন আরো বেশি মানুষের ভিড় জমে। বিভিন্ন রকমের দোকান পাঠ সেখানে বসে।
আর আমরা সবাই গিয়েছিলাম ঠিক দুপুর দুইটার সময়। অনেক রোদ এবং গরম ছিল। কিছুক্ষণ হেঁটে হেঁটে দেখার পর। আমাদের অনেক গরম লেগেছে ছিলো। তারপর আমরা সবাই মিলে এক জায়গায় বসলাম একটা গাছের ছায়ার নিয়ে। আমাদের পাশে আরো অনেক মানুষ বসে আছে। এমনকি প্রেমিক প্রেমিকারও সেখানে বসে রেস্ট নিতেছেন।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সবাই উঠে। ঠান্ডা পানি খেয়ে। আবার হাঁটতে শুরু করলাম চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার এর নাম ছিল সোমপুর বৌদ্ধ বিহার।
কিন্তু এর মাঝখানে পাহাড়ের মত উঁচু থাকার কারণে। নাম" হয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
পাহাড়পুরের প্রস্তর গ্রাত্রে ৬৩টি মুর্তি দেখা যায়। মন্দির গ্রাত্রেও বহু জীব-জন্তুর মুর্তি পাওয়া যায়। মূল ভূমি থেকে বিহারটির উচু প্রায় ৭২ ফুট। পাহাড়পুরকে প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি সংস্করণ হিসেবে চিহিত করা যায়। প্রতি বছর এখানে বহু দেশী-বিদেশী পর্যটক ও সাধারণ মানুষের সমাগম হয়।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
এতটাই সুন্দর যে সেখানে না গেলে বোঝা যাবে না।
এর আগে যখন এসেছিলাম তখন পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছিলাম। আসলে সেটা কিন্তু একটা রাজপ্রসাদ।
কিন্তু এবারে গিয়ে দেখি সেখানে ঘিরে রেখেছে। উপরে আর উঠতে দেয় না। কিন্তু এর আগে দেখেছিলাম সেটা আরও উঁচু ছিল। এখন সেটা একটু তলিয়ে গেছে।
পাশে অনেক ছোট ছোট ঘরের মতো দেখা যায়। সেগুলো মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। শুধু ওয়ালগুলো দেখা যায়।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
সেখানে গেলে দেখা যায় সৌন্দর্যে আরেক নাম পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। সত্যি যেন চোখ জড়িয়ে মন জুড়িয়ে যাওয়ার মত দৃশ্যগুলো দেখা যায়।
এই মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ করা ছিল। যা এখনও বিদ্যমান আছে। কেন্দ্রীয় মন্দির ও কক্ষগুলো ছাড়াও স্নানাগার। শৌচাগার সন্ধ্যাবতীর ঘাট উন্মুক্ত অঙ্গন সত্যপীরের ভিটা। গন্ধেশ্বরী মন্দির ক্ষুদ্রাকৃতির অনেকগুলো।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
ইমারাত রন্ধনশালা ভজনশালা কূপ পাকা নর্দমা। বিভিন্ন মূর্তি ইত্যাদির সমন্বয়েই সোমপুর বৌদ্ধবিহারটি। তখনকার সময়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থাপনা হিসেবেই পরিচিত ছিল। যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। আর এই ধ্বংসাবশেষ দেখতেই প্রতিদিন ভিড় করে অসংখ্য দর্শনার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন গবেষক ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
বর্তমানে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জাদুঘর। বিহারটির প্রবেশ মুখ থেকে শুরু করে মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের বাগান। যা দর্শকদের সহজেই মোহিত করে। আবার দেখতে পাবেন প্রাচীনকালে নির্মিত লাল রংয়ের ছোট ছোট ইটের প্রশস্ত দেওয়াল দেখে যায়।
Device: oppo A15
https://w3w.co/paradoxical.introductory.carries
এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। এটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইউনেস্কো ইতিমধ্যেই এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও এই স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নানাবিধ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলছে।
এই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে। এমনকি এই পাহাড়পুরের ইতিহাস বই পুস্তকেও আছে। বন্ধুরা' আপনারাও সুযোগ পেলে এসে ঘুরে যাবেন।
বন্ধুদের নিয়ে দর্শনীয় স্থান পাহাড়পুর ঘোড়ার অনুভূতি খুবই চমৎকার ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। যা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আপনার অনুভূতি শুনে আমি অভিভূত হলাম। আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।♥♥
এতো সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।❤️❤️
বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করার ব্যাপার টাই আলাদা।আর পাহাড়পুর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা টি দারুন ছিল।বিশেষ করে লেখা গুলো বেশ দারুন গুছিয়ে লিখছেন।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ঘুরতে যাওয়ার জন্য আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গায় বেছে নিয়েছেন ভাইয়া। সত্যি কথা বলতে বন্ধুদের সাথে বাইরে যেতে যে কোন জায়গায় অনেক ভালো লাগে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার আমি আগে কখনো যাইনি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর আমাদের নওগাঁ জেলার মধ্যে সবচাইতে সুন্দর জায়গা এই পাহাড়পুর। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে বৌদ্ধবিহারে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন যদিও এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি তবে খুব ইচ্ছে আছে সেখানে যাওয়ার। আপনার মাধ্যমে আগে থেকেই কিছু দেখে নিলাম খুবই ভালো লাগলো ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই বন্ধুদেরকে নিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলাম সেখানে। সুন্দর একটি জায়গা ছিল দেখার মত। অবশ্যই আপনি আসবেন দেখে যাবেন। খুবই সুন্দর যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ধন্যবাদ
৩০ টাকায় এইরকম একটা ঐতিহাসিক জায়গার টিকিট বাহ দারুণ। বইয়ে জায়গাটা সম্পর্কে অনেক পড়েছি। কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। দারুণ ছিল আপনার ভ্রমণটা। এবং ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ ভাই মাত্র ৩০ টাকায় টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। খুবই চমৎকার একটি জায়গা। ছোটবেলায় আমিও বয়ে পড়েছি অনেক বার। আপনি এসে ঘুরিয়ে যান খুবই সুন্দর একটি জায়গা। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। ধন্যবাদ ভাই।