ভ্রমণ পোস্ট : লালন শাহের মাজার ভ্রমণ। (পর্ব-১)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২০ শে নভেম্বর , বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই বেরিয়ে পড়ি একটু ঘোরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে। বেশি যেদিন আগে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে চলে গিয়েছিলাম লালনের মাজারে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাই। আজ আমি আপনাদের সাথে লালনের মাজার ভ্রমণের সমস্ত মুহূর্ত শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে শুরু করি।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। লালন ধর্ম, বর্ণ এবং জাতিগত ভেদাভেদ সবকিছুর উপরে মানবতার স্থান দিয়েছেন। তার কাছে ছিলো মানবধর্ম সবথেকে উপড়ে।তার এই অসাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকেই তিনি অসংখ্য গান রচনা করেন। তার রচিত গানগুলো দর্শককে যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া নামক গ্রামে লালনের মাজার অবস্থিত। এই মাজার দর্শনে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ভিড় করে।আমিও চলে গিয়েছিলাম মানবতার কবি লালন শাহের মাজার ভ্রমণ করতে। তার লেখা পড়তে একটি গান আমার হৃদয় কি স্পর্শ করে।
আমরা তিন চার জন মিলে ঠিক করেছিলাম লালনের মাজার ভ্রমণ করতে যাবো।যেমন কথা তেমন কাজ। আমাদের এখান থেকে লালনের মাজারে যেতে ২০ মিনিট মতো সময় লাগে। দুপুর তিনটা নাগাদ আমরা সবাই রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি মানবতার কবি লালন শাহের মাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।আমরা প্রথমে নতুন একটি জায়গা বটমূল ক্যাফে সেখান থেকে ঘুরে আসতে চেয়েছিলাম। সেজন্য আমরা দুইটা রিক্সা নিয়ে চলে যায় সেখানে। সেখানে গিয়ে জায়গাটা পছন্দ না হওয়ায় আমরা সেই রিকশাই চলে যাই লালনের মাজারে। লালনের মাজারে ঢুকতেই আমরা মেইন গেটের উপর একটি সুন্দর লেখা দেখতে পায়। লেখাটি হলো,
"মানুষ ভোজলে সোনার মানুষ হবে"
লেখাটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছিলো তাই সেটি ক্যামেরা বন্দি করে ফেলেছি।
তারপর আমরা লালনের মাজারের মধ্যে প্রবেশ করি। সেখানে অনেক দর্শনার্থী। পরিবেশটা খুব শান্ত। মাজারের চারিপাশটা সবুজে ঘেড়া বেশ মনোরম পরিবেশ। খানিকটা সময় উপভোগ করার জন্য দুর্দান্ত জায়গা। ভিতরেক প্রবেশ করার রাস্তার দুই ধার দিয়ে সুন্দর সবুজ সবুজ গাছ লাগানো। এই গাছগুলো দেখতে খুবই সতেজ এবং সুন্দর লাগছিলো।চারিপাশে বেশ কিছু ফুলের গাছও আছে। বেশ কয়েকটি রঙ্গন ফুল এবং জবা ফুলের গাছ।
হাঁটতে হাঁটতে আমার দুচোখ একটি সুন্দর কারো কাজে আটকে যায়। জানিনা কাজটি কে করেছে তবে অসম্ভব ভালো হয়েছে। ছোট্ট একটি গাছের ডালে মানবতাবাদী কবি লালন শাহের সুন্দর ছবি কারো কাজ করেছে। কি অপূর্ব ভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছে। দেখে আমার চোখ জুড়িয়ে যায়। তাই ছবিটি ক্যাপচার করে রাখি।
তারপর আমরা লালন শাহের সমাধি স্থানে প্রবেশ করি। সেখানে অনেক মানুষ ভিড় করেছিলো।তারপর আমরা প্রবেশ করি তার সামনে অবস্থিত একাডেমি ভবনে। সেখানে লালন শাহের ভক্তরা গান-বাজনা করে থাকে। একজন খুব সুন্দর কন্ঠে লালন শাহের নিজের গানগুলো গাছ ছিলো।আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে তার গান গাওয়া শুনছিলাম। লালনের গানগুলো একেবারে বাস্তবমুখী। কি সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি বাস্তবতা তুলে ধরেছে। গানগুলো শুনে মন জুড়িয়ে যাচ্ছিলো।
তারপর আমরা একাডেমী ভবন থেকে বেরিয়ে সামনে দেখতে পাই লালনের একটি সুন্দর ছবি। সেই ছবিটি ও আমি ক্যাপচার করে রেখেছিলাম। লালনের মাঝারের মধ্যে লালনের কয়েকটি ছবি রয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। তারপর আমরা একাডেমি ভবনে প্রবেশ করি। একাডেমি ভবনে আমি এর আগেও গিয়েছিলাম। একাডেমি ভবনে প্রবেশ মূল্য কত নিয়েছিলো আমার ঠিক মনে নেই। একাডেমী ভবনের প্রবেশ করে লালন শাহের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসের সাথে পরিচিত হয়।
তারপর আমরা একাডেমি ভবন থেকে বেরিয়ে আসি। তারপর আমরা চলে যাই মেলার মাঠে। মেলার মাঠ সব সময় জাগ জন্ম পূর্ণ থাকে তবে মেলার সময় অনেক বেশি জাবজমকপূর্ণ থাকে। সেখানে গিয়ে কি কি করলাম পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০২অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আমি তিনটি ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।
লালন শাহের মাজার ভ্রমণের প্রথম পর্ব টা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা তো দেখতে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন এই মাজারে গিয়ে। আশপাশের দৃশ্যগুলোকে আপনি এত সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকলাম এখন পরবর্তী পর্বটা দেখার জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।
লালন শাহের মাজার দেখার অনেকদিনের শখ। আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হল আমিও ঘুরছি। ভালো লাগল। ওই কাঠের ওপর লালনের মুখ বানানোটা খুব সুন্দর লেগেছে৷ পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
লালন শাহ এর মেলায় এবছর যাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেক। আপনি দেখছি লালন শাহের মাজারে গিয়েছিলেন।এতো দিন মানুষের মুখে এবং ভিডিও দেখেছিলাম লালন শাহ মাজার। আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে লালন শাহ মাজার পরিদর্শন করার বেশ কিছু জনপ্রিয় জায়গা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো।
লালন শাহের মাজারে যখন তিন দিনব্যাপী মেলা হয় ।সেই সময় এত পরিমান মানুষের ভিড় সেখানে পা দেয়ার মত জায়গা থাকে না। একান্ত নিরিবিলি অন্যান্য টাইমে গেলে সেখানকার পরিবেশ ভালোই উপভোগ করা যায়। আপনি দেখছি দারুন সময় পার করেছেন । আমি অনেকবার গিয়েছি যেহেতু আমার বাসা কুষ্টিয়াতে আপনার কাটানো মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণের- ১ম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এটা সত্যি বলেছো লালন সাঁইজির গানগুলো একদম বাস্তবসম্মত সব সময় বাস্তবতার কথাই বলে। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথম দৃশ্যটা দেখেই বুঝে ফেলেছিলাম এটা লালন শাহের মাজার। আগের মত এখনো সেই রূপ রয়ে গেছে মাজারটা। যাইহোক অনেক সুন্দর একটা স্থান যেখানে সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষের আনাগোনা উপস্থিতি গান বাজনা সবকিছু এখানে হয়ে থাকে। আজ থেকে চার পাঁচ বছর আগে বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম সেখানে। তবে দিনগুলো যেন স্মৃতি হয়ে রয়েছে।
অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। লালন শাহের মাজার ভ্রমণে গিয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। গাছের ডালে করা এই কাজ দেখে আমি তো জাস্ট মুগ্ধ। অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে এটি। দ্বিতীয় পর্বের জন্য এখন অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি পরবর্তী পর্বটা সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করে নিবেন।
গাছের মধ্যে লালন শাহের ছবিটা তৈরি করা হয়েছে। এই কাজটা যে করেছে তার সত্যি বেশ দক্ষতা রয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে এটা তৈরি করেছে। আপনি লালন শাহের মাজারে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের ভ্রমন পোস্ট দেখে। সেখানকার জায়গাটা বেশ সুন্দর। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার সুপরিচিত স্থান এইটা। আমি যখন কুষ্টিয়ায় লেখাপড়া করতাম তখন প্রায় সুযোগ পেলে বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যেতাম এখানে। বেশি ভালোলাগার কয়টা জাগা রয়েছে কুষ্টিয়াতে। তার মধ্যে লালন শাহর মাজার।