কুষ্টিয়ার রেইনউইক বাঁধে একদিন।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ-২২ অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ



কভার ফটো

FunPic_20241022_141122498.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। ঘোরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সময় এবং পরিবারের অনুমতির অভাবে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তবে আমি মাঝে মাঝে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। সেদিন গেছিলাম কুষ্টিয়ার রেইনউইক বাঁধে। আজ আমি সেই মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।।



কুষ্টিয়ার রেইনউইক বাঁধ অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য জনপ্রিয় স্থান। কুষ্টিয়া শহরের অভ্যন্তরে এই বাঁধটি অবস্থিত। এই বাঁধটি গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর তীরে। গড়াই নদীর তীরবর্তী বাঁধ এবং এর সঙ্গে মিলিত জমিতে রয়েছে নানান রকমের বৃক্ষ শোভিত এই স্থানটি কুষ্টিয়ার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বিশেষ করে ছুটির দিনে এই স্থানে মানুষের সমাগম বেশি দেখা যায়। এই স্থানটির একটি বিশেষত্ব এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।

1729577708206.jpg

যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন ছুটির দিন মানেই রেইনউইক বাঁধে ঘুরতে যেতে হবে। এই বাঁধ এক সময় খুবই পরিচিত একটি জায়গা ছিলো।এখন আর আগের মতো এখানে যাওয়া হয় না।অনেকদিন পরে সেদিন গিয়েছিলাম। এই বাঁধে বিশেষ করে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় মানুষের সমাগম বেশি দেখা যায়।সেদিন আমি আর আমার এক সহপাঠী মিলে রেইনউইক বাঁধে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম বিকাল চারটা নাগাদ। আমি ব্যাংকে গিয়েছিলাম একটা কাজে। ব্যাংকের কাজ শেষে হঠাৎ করেই সেখানে যাওয়া হয়েছিলো আমাদের।

1729577836657.jpg

সেদিন সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে সেদিন খুব একটা মানুষের সমাগম ছিলো না। ছবিগুলোও খুব একটা ভালো তুলতে পারিনি।প্রতিদিন বিকেল হলে বাচ্চারা সেখানে খেলতে আসে। বাচ্চাদের খেলার জন্য দোলনা, স্লিপার রয়েছে সেখানে। আমরা প্রথমে সেখানে ঢোকার জন্য দুজন দুটি টিকিট কেটে নি।টিকিট মূল্য এখনো ২০ টাকায় আছে। যাইহোক তারপর আমরা টিকিট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি।

1729577950301.jpg

প্রথমেই আমাদের চোখে পড়ে দুটি মূর্তি যা অনেক বছর আগে থেকে এখানে রয়েছে। তারপর আমরা দেখতে পাই অনেক বড় একটি গাছ।এখানকার অধিকাংশ জায়গা সবুজ গাছে শোভিত রয়েছে। যা এর সৌন্দর্যকে অধিক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে কোলড্রিঙ্কস কিনে নি। কোলড্রিঙ্কস খেতে খেতে আমরা হাঁটতে থাকি।

IMG-20241022-WA0011.jpg

হাঁটতে হাঁটতে আমার চোখে পড়ে কাশফুল। সেখানে প্রচুর পরিমাণ এর কাশফুল হয়েছে। দেখে আমি ছুটে যাই ছবি তোলার জন্য। কাশফুল দেখলে মেয়েদের যেন ছবি তুলতেই হবে। কাশফুল দেখলে আমার মনে হয় সব মেয়েরই ছবি তুলতে ইচ্ছে করে। আমারও ইচ্ছে করছিলো তাই আমিও চলে যাই কাশফুলের সাথে ছবি তুলতে। এর আগে কখনোই আমি কাশফুলের সাথে ছবি তোলার জন্য কোথাও যায়নি এই প্রথম। ভালোই লাগছিলো।

1729578110069.jpg

তারপর ছবি তোলা শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে আমরা চলে আসি নদীর পাশের দিকে। বাঁধের উপর থেকে নদী দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো। আমাদের মতো অনেকেই নদীর ধারের মনোরম দৃশ্য দেখছিলো এবং উপভোগ করছিলো। আমরাও কিছুক্ষণ নদীর দৃশ্য উপভোগ করলাম। তারপর একটি মাঝিকে দেখতে পায় নৌকা নিয়ে আসছে। নৌকা দেখে আমার খুব নৌকায় উঠতে ইচ্ছে করছিলো। সেদিন বাঁধে একটাই মাত্র নৌকা দেখতে পেয়েছিলাম।

1729578301062.jpg

মাঝিকে জিজ্ঞেস করি নৌকায় এপার থেকে ওপারে পার করাতে কত টাকা নিবেন? উত্তরে মাঝি বলে এখন ওইপারে যাব না। এখন একবারে মোহনার দিকে যাবো ৬০০ টাকা দিও উঠে বসো। ভাড়া শুনে তো আমি অবাক। তারপর মাঝিকে বলি না আমরা যাবো না। তারপর আমরা ভাড়া নিয়ে আলোচনা করতে করতে নদীর পাড় থেকে চলে আসি।

IMG-20241022-WA0014.jpg

তারপর আমি দোলনায় উঠি। অন্যান্য দিনে দোলায় ওঠার জন্য দোলনা ফাঁকাই পাওয়া যায় না। আজকে যেহেতু আবহাওয়া খারাপ মানুষের সমাগম কম ছিলো সেজন্য একটা দোলনা ফাঁকাই ছিলো। সেই দোলনাটিতেই আমি উঠি এবং দীর্ঘ সময় ধরে দোল খেতে থাকি। তারপর আমাদের মনে হয় আমাদের নিজেদের গন্তব্যে যাওয়া উচিত। সেজন্য আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি। তারপর আমরা অটোতে করে যে যার গন্তব্যের দিকে রওনা হয়ে পড়ি। এই ছিলো আমার সেদিনের ঘোরাঘুরি। সব মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কেটেছিলো। নদীর ধারে সময় কাটাতে যেন একটু বেশিই ভালো লাগে।

ধন্যবাদ সবাইকে।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল 7 প্রো
ক্যামেরা: ১৫ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 5 months ago 

নৌকা ভাড়া তো আসলেই অনেক বেশি দেখছি। রেইনউইক বাঁধে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। জায়গাটা বেশ নিরিবিলি এবং সুন্দর। এরকম জায়গায় সময় কাটাতে সত্যিই ভালো লাগে। কাশফুলের সাথে খুব সুন্দর ছবি তুলেছেন। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 4 months ago 

হ্যাঁ আপু আমিও নৌকা ভাড়া শুনে অবাক হয়েছিলাম। এতো আবার হয় নাকি। হ্যাঁ আপু এরকম সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 5 months ago 

কুষ্টিয়ার রেইনউইক বাঁধে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আর সেখানে গিয়ে সুন্দর কাশফুল দেখেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। এই ধরনের জায়গাগুলোতে গেলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া জায়গাটা অনেক সুন্দর। অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 5 months ago 

আপনার মত ঘুরাঘুরি করতে আমার ও ভীষণ ভালো লাগে আপু।যদি হয় এমন সুন্দর জায়গা তাহলে সেইখানে গেলে আসতেই ইচ্ছে করে না।শরতের কাশফুল ও নদী দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

শরতের আকাশের , কাশফুল আর সঙ্গে নদী দেখতে অপূর্ব লাগছিলো। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো আপু। এইভাবেই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 months ago (edited)

রেইনউইক বাঁধের ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। কুড়ি টাকায় যে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে সেটা আজকের বাজারে অভাবনীয়। সব থেকে ভালো লেগেছে আপনি যে ছবিটাতে কাশ ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ওই জায়গাটা পড়তে পড়তে হাসি পাচ্ছিল কিন্তু এটাও ঠিক কাশফুল দেখলে মেয়েদের যেন ছবি তুলতেই হয়।

চমৎকার পোস্ট লিখেছেন বোন। ভালোবাসা নেবেন।

 4 months ago 

হ্যাঁ কাশফুল দেখলে মেয়েদের যেন ছবি তুলতেই হবে। সত্যি আজকাল ভাবায় যায় না বিশ টাকায় এমন দৃশ্য উপভোগ করার কথা ।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো দিদি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

 5 months ago 

রেইনউইক বাঁধে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। নদীর পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ দারুন। আসলে এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকার উপভোগ করা যায়। পড়ন্ত বিকেলে কাশফুলের সৌন্দর্য সত্যি বেশ দারুন হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.23
JST 0.031
BTC 79489.17
ETH 1885.78
USDT 1.00
SBD 0.81