রেসিপি পোস্ট :কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৪শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার , ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে কৈ মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কৈ মাছ | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
৩ | ঝালের গুড়া | এক টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | তেজপাতা | দুইটি |
৭ | তেল | পরিমাণ মতো |
৮ | জিরা বাটা | এক টেবিল চামচ |
৯ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
১০ | রসুন | পরিমাণ মতো |
১১ | শুকনা মরিচ | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে মাছ গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ কেটে নিয়েছি। তারপর মাছগুলোতে পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ এবং ঝালের গুড়া ভালো করে মেখে রেখে দিয়েছি। রসুন, জিরা এবং শুকনা মরিচের পেস্ট তৈরি করে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি। তারপর মাছগুলো গরম তেলে ভালো করে ভেজে উঠিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
মাছগুলো ভেজে উঠিয়ে নেওয়ার পর।কড়াই এর সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজগুলো ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পেঁয়াজগুলো ভাজা হয়ে গেলে এরমধ্যে দুটি তেজপাতা দিয়ে নিয়েছি। তারপর পেস্ট তৈরি করে রাখা মসলা এর মধ্যে দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলাগুলোকে ভালো করে ভেজে নিয়ে কড়াই লেগে আসবে এমন অবস্থায় সামান্য জল দিয়ে নিয়েছি। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৫
ঢাকনা উঠিয়ে আরো কিছু সময় মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। মসলা কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা মাছগুলো মসলার মধ্যে দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
মাছগুলো মসলার সাথে বেশ কিছু সময় ধরে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখেছি। জল শুকিয়ে গেলে ঢাকনা উঠিয়ে আবার ভালোভাবে নেড়ে মাছ এবং মসলা মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর মসলা শুকিয়ে আসলে এরমধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
জল কিছুটা শুকিয়ে আসলে এরমধ্যে কেটে রাখা কাঁচামরিচ গুলো ছড়িয়ে নিয়েছি। তারপর ঢাকনার সাহায্যে কিছু সময় ঢেকে রাখবো।
ধাপ-৮
ঢাকনা সরিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি। তারপর রান্নাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি চুলা বন্ধ করে নিয়েছি।
পরিবেশন
সর্বশেষে আমি কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপিটি একটি মাটির থালায় পরিবেশন করে নিয়েছি। এটাই ছিল আজকের ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে এভাবে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খেতে বেশ মজা লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে খুবই মজাদার তার মনে হচ্ছে, এই ধরনের রেসিপি খুবই পছন্দ করি, শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি দেখে লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে রেসিপি তৈরি করা হয়নি। ধাপগুলো দেখে তাই শিখে নিলাম।
কই মাছ আমার অনেক পছন্দের একটা মাছ। কযই মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনি কই মাছ দিয়ে অনেক সুন্দর ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। ভুনা রেসিপির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কই মাছের ভুনা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
কয়দিন থেকে আমাকেও কৈ মাছ ভুনা খেতে মন চাচ্ছে। কৈমাছ আমার খুবই পছন্দের মাছ।আপনি দারুণ করে কৈ মাছের ভুনা করেছেন। ঝাল ঝাল কৈ মাছের ভুনা হয়েছে নিশ্চয়ই। অসাধারণ সুন্দর লাগছে রেসিপিটি। খাওয়ার ইচ্ছে আরো প্রবল হলো এই রেসিপিটি দেখে।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
কৈ মাছের ঝাল ভুনার লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। লোভনীয় এই রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
তিনটি ম্যান্ডেটরি টাস্ক কমপ্লিট করার পরে স্ক্রিনশট নিয়েছি।
নিজের খাবার নিজে রান্না করে খেতে পারলে সেটা সত্যি অসাধারণ লাগে। আপনার কৈ মাছের ঝাল ভূনা রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো আপু। কৈ মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনি দারুণ ভাবে পুরো রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
কৈ মাছ আমার খুবই প্রিয় একটি মাছ। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে কৈ মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।