মনোরম পরিবেশ আর এক কাপ চায়ের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ-৯ অক্টোবর, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। কিছুদিন আগে আমি দিঘির পারে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মাঝে মাঝে আমার ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায়। সবাই বলে আমি নাকি সামান্য বিষয় নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করি তাই আমার এত বেশি মন খারাপ হয়। কি আর করবো মন খারাপ হলেও ভাবনা চিন্তা তো বাদ দিতে পারি না। অজান্তে মনের মধ্যে ভাবনা চিন্তা চলে আসে। আমার মন খারাপ হলে আমার খুব ঘুরতে ইচ্ছা করে, ইচ্ছে করে সুন্দর মনোরম পরিবেশে বসে একটু সময় কাটাতে।
বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই আমার ভীষণ মন খারাপ। কিছুদিন পরেই ছিলো আমার এক্সাম পড়াশোনায় মন বসছিলো না।তাই আমার এক বন্ধুকে বলি চল একটু ঘুরতে যাই ও যেতে রাজি হয়ে যায়। তারপর আমরা দুজন মিলে দিঘির পাড়ে ঘুরতে যাই। দিঘীরপাড় জায়গাটা অনেক সুন্দর সে জায়গা সম্বন্ধে আপনাদের সাথে এর আগে একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম।তাই সেই জায়গা সম্পর্কে আপনাদেরকে নতুন করে আর না বলি।
জায়গাটা আমার এতটাই পছন্দের হয়ে গিয়েছে যে সময় পেলে আমার সেখানে যেতে ইচ্ছে করে। সেদিন আমরা প্রায় চারটা নাগাদ সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে আগের দিনের মতো আর ভুলটা করিনি। আগের দিন চা অর্ডার দিতে লেট হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা চা না খেয়ে চলে এসেছিলাম। কিন্তু এবার ওখানে গিয়ে প্রথমে আমরা চা অর্ডার করি।ওখানে যেহেতু প্রচুর লোক ঘুরতে আসে তাই চা দেওয়ার জন্য ওনারা টোকেন ব্যবহার করেন। টোকেন অনুযায়ী চা দেয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী চা অর্ডার দেওয়ার সময় আমাদের হাতে একটা টোকেন দিয়ে দেওয়া হয়। আমরা টোকেন নিয়ে একটা টেবিলে বসে পড়ি।
পুকুর ধারে আমি একটি চেয়ার নিয়ে বসি। বসে বসে সেখানকার প্রকৃতিকে দেখতে থাকি এবং উপভোগ করি। পুকুর ধারের শীতল হাওয়া যেন অশান্ত মনটাকে শান্ত করে দিচ্ছিলো। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমি সেখানে বসে বসে প্রকৃতির সুন্দর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে থাকি। আমাদের টোকেন নাম্বার ছিলো ২৩। হঠাৎ করে ডাক পড়ে টোকেন নাম্বার ২৩ কারা? তারপর আমরা সারা দিলে আমাদের চা দিয়ে যাই।এক কাপ চায়ের সাথে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগছিলো।
তারপর আমরা একটু ঘোরাঘুরি করতে থাকি। তারপর আমি আমার বন্ধুকে বলি আমার কিছু ছবি তুলে দিতে। ও আমার কিছু ছবি তুলে দেয়। তারপর আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি। খুব ইচ্ছা করছিলো দোলনায় উঠতে।কিন্তু যাওয়ার পর থেকে দোলনা খালি হচ্ছিলো না। একের পর এক মানুষ এসেই যাচ্ছে সবাই দোলনায় ওঠার অপেক্ষা করছে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সুযোগ পেলাম দোলনায় ওঠার। কিছুক্ষণ দোলনায় বসে দোল খেলাম। তারপর আরেকজন আপু এসে বলল তাই নাকি দোলনায় উঠতে ইচ্ছে করছে কি আর করার যেহেতু সবার ইচ্ছে করছে তাই একটু একটু করে সবাই সখ পূরণ করে নিচ্ছিলাম।
তারপর প্রায় সন্ধ্যে হয়ে আসছিলো ।সন্ধ্যার আকাশ অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো।সন্ধ্যার আকাশ যেন সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দিয়েছিলো।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার আকাশের অপূর্ব সেই সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। সন্ধ্যার দিকে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। চায়ের দোকানে চায়ের বিল পরিশোধ করে আমরা দিঘীরপাড় থেকে বের হয়ে আসলাম।
এর আগের দিন চা খাওয়া না হলেও এদিন চা খেয়ে বুঝলাম সেখানকার চা কুষ্টিয়ার বিখ্যাত বটতলার চায়ের থেকে কোনো অংশে কম না। চায়ের টেস্ট অনেক বেশি ভালো ছিলো।
আমার যেমন খুব তাড়াতাড়ি মন খারাপ হয়ে যায় আবার খুব তাড়াতাড়ি মন ভালো হয়ে যায়।সুন্দর প্রকৃতির সান্নিধ্যেমনটা আরো তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গিয়েছিলো।সবমিলিয়ে এক কাপ চায়ের সাথে সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানোর মুহূর্ত টা ছিলো দারুন।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


বেশ মনোরম একটি পরিবেশে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন। অনেকটা ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সুন্দর পোস্ট করে। যেখানে দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন চা খাওয়ার অনুভূতি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে সময় পার করার অনুভূতি। মাঝেমধ্যে নিজেকে এভাবে টাইম দেওয়ার একান্ত প্রয়োজন।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন মাঝে মধ্যে নিজেকে এইভাবে সময় দেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। আপনার মন্তব্য করে অনেক ভালো লাগলো। এভাবে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে মন খারাপ হলে ভাবনা চিন্তা বেড়ে যায় পাশাপাশি হাট বিট কিন্তু বেড়ে ওঠে। যাইহোক প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে যদি কিছুটা সময় থাকা যায় মন ভালো থাকবে। ঠিক তেমনি একটা পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন আপনি। দোলনায় কিছুটা সময় দোল খাওয়া পাশাপাশি চা পান করা,বেশ ভালই মুহূর্ত ছিল।
হ্যাঁ আপু মনে যতই অশান্ত থাকুক না কেন প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটালে মনটা শান্ত হয়ে যায়। হ্যাঁ আপু মুহূর্তটা বেশ ভাল ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম সুন্দর পরিবেশে চা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই জায়গাটা আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। নিশ্চয়ই চা খেতে অনেক ভালো লেগেছিল এই জায়গাটাতে বসে। আমি নিজেও মন খারাপ থাকলে বাইরে ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। এর ফলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। আপনার কাটানো মুহূর্তটা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করলাম।
আসলেই আপু এরকম সুন্দর পরিবেশে চা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। জায়গাটা আপনার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এরকম সুন্দর একটা পরিবেশ আপনি চা খেয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। মন খারাপের সময় বাহিরে ঘুরতে সবার অনেক ভালো লাগে। আমি নিজেও বাহিরে যাই যখন আমার মন খারাপ হয়। খুব ভালো সময় কাটানো হয়েছে এটা তো বুঝতেই পারছি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। এরকম সুন্দর পরিবেশে এভাবে চা খেতে খেতে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন মন খারাপের সময় বাহিরে ঘুরতে সবারই অনেক ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে বাহিরে গেলে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। হ্যাঁ ভাইয়া খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দারুন একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। দিঘির পাড়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। দোলনাটা বেশ চমৎকার একটা জায়গায় রয়েছে দেখছি। এরকম পরিবেশে সময় কাটাতে আসলেই ভালো লাগে। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। এগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু দোলাটা একদম দিঘির সাথে দেওয়াই বেশি মজা লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দিঘির পারে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ও উপভোগ করেছেন আপনারা। এমন সুন্দর পরিবেশে চা কিংবা কফি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমি তো তেমন সময় ও সুযোগ পেলেই বাইরে ঘুরতে চলে যাই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
মনোরম পরিবেশে ঘুরতে গেলে এমনিতে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়। আপনি যেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর এবং নিরিবিলি বলেই মনে হচ্ছে। জায়গাটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। অনেক সুন্দর করে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করেছেন যা সত্যি অনেক সুন্দর দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।