ছোট বোনকে নিয়ে নদীর ধারে ঘোরাঘুরি। (পর্ব ২)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩ জানুয়ারি , শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
##
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরব। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমার ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগলেও শহরের বাইরে ঘোরাঘুরি করা হয়ে ওঠেনা। আমার মত আমার বোন ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করে। ডিসেম্বর মাস স্কুল ছুটি হয়েছে। সেজন্য আমার বোন কিছুদিন আমার কাছে বেড়াতে এসেছিল। আমি বোনকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেদিন রবীন্দ্র লালন উদ্যানে ঘোরাঘুরি করার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি আজ আমি তার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি আগেই বলেছি রবীন্দ্র লালন উদ্যান কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাশে অবস্থিত। রবীন্দ্র লালন উদ্যান অনেক বড় একটি জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে ফুলের গাছ, বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি। রবীন্দ্র লালন উদ্যানের ভিতরে আরো নতুন নতুন অনেক কিছু তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এটি আরো সৌন্দর্য বহন করবে। সেদিন আমরা লালন উদ্যান এর ভেতর থেকে ঘোরাঘুরি শেষ করে নদীর চরের উপরে ঘুরতে যাই।
শীতকালে নদীর জল অনেকটা শুকিয়ে যায়। নদী শুকিয়ে একেবারে ছোট নদীতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বিশাল বড় এক চড় পড়েছে। জোয়ারের সময় নদী একদম ভরা থাকে। এখন যেহেতু বড়চড় করেছে সেহেতু নিচে সবাই ঘুরতে যায়। নদীর পাশে ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। শীত কিংবা গরম নদীর ঠান্ডা হাওয়া আমার অনেক পছন্দ।
রবীন্দ্র লালন উদ্যানের গেটের সামনের রাস্তা পার হলেই চর। আমি আর বোন মিলে দুজন হাত ধরে নেমে আসি নদীর চড়ে। রাস্তা থেকে নদীর চর অনেকটা নিচু। নামটা একটু কষ্ট হয়েছিল।চরে অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করছিল। অনেকে সাইকেল চালাচ্ছিল আবার কেউ বাইক চালাচ্ছিলো,অনেকে তো আবার খেলাধুলাও করছিলো।ওখানকার স্থানীয় ছেলেপেলে ওখানে বেশ মজা করে খেলাধুলা করছিলো।
বোন আর আমি মিলে নিচে নেমে দৌড়াদৌড়ি করছিলাম। আমার বোন বেশ মজা পাচ্ছিল। বোনের কিছু ছবি তুলে দেই। নদীর পাশের প্রকৃতি গুলো আমাকে বরাবর মুগ্ধ করে। নদীর পাশে গিয়ে আকাশ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। নদীর পাশ দিয়ে দূরে তাকালে মনে হয় এই বুঝি নদী শেষ আর সীমাহীন আকাশ মিশেছে ওই নদীর কিনারায়। দেখতে অপূর্ব লাগে। নীল আকাশ যখন নদীতে মিশে যায় এই অপরূপ দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
এই নদীর পাশে জায়গাটি আমার কাছে খুব প্রিয়। এই জায়গায় এর আগের বছর আমি গিয়েছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে খুব স্মৃতিময়। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে জায়গাটিতে নিজের সুখ অনুভব করছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে অনেক প্রিয়। অনেকদিন ধরেই এই নদীর পাশে জায়গাটিতে যেতে চাচ্ছিলাম কিন্তু যাওয়া হয়ে উঠছিল না। তবে বোন আশায় একজন সঙ্গী পেয়ে গিয়েছিলাম দুজন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমার এই প্রিয় জায়গায়।
আমি আর বোন মিলে নদীর পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম খুব ভালো লাগছিল। আমরা নদীর জল শোয়ার চেষ্টা করি কিন্তু নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নদীর পাড়ে অনেক কাজ ছিল সেজন্য আমরা আর নদীর জলের কাছে যেতে পারি না। তবে হরিপুর গেলে খুব নিমেষেই নদীর জল ছোঁয়া যায়। বোনের নাকি খুব ভালো লাগছিল সেজন্য সে আসতে চাচ্ছিল না। যারা মূলত প্রকৃতিপ্রেমী তাদের এই জায়গাটা ভালো লাগবেই লাগবে।প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেওয়া যায় এটাই সব থেকে বেশি ভালো লাগে। বোনের খুশি দেখে আমারও ইচ্ছে করছিল তার ছবি তুলে দিতে। সেদিন বোনের অনেক ছবি তুলে দিয়েছিলাম।
আমরা নদীর ধারে হাঁটাহাঁটি এবং মজা করা শেষ করে সেখান থেকে ফিরে আসা সিদ্ধান্ত নি।যেহেতু আমরা যেতে যেতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল সেজন্য আমরা সেখান থেকে চলে আসি। লালন উদ্যান এর আশেপাশে খুব একটা বাড়ি নেই সেজন্য সন্ধ্যার পর সেখানে কেউ থাকেনা বললেই চলে। তবে পাশে নতুন নতুন কিছু খাবারের ছোট ছোট দোকান হয়েছে একদিন সেখানে যাব ভেবেছি। আমরা সেখানে সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। তারপর আমি আর বোন মিলে খাওয়া দাওয়া করার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া গভমেন্ট কলেজের মাঠে চলে আসি। সেখানে আমরা কি কি খাওয়া দাওয়া করি এবং কিভাবে সময় কাটাই সেটা আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আজকের টাস্কসমূহ
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করতে দেখে। আপনি ছোট বোনকে সাথে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেছেন বিষয়টা বেশ আনন্দের। আশা করি অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন সেখানে।
হ্যাঁ ভাই, বোনকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার মত আমার বোন ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করে। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এই ধরনের জায়গাগুলোও অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি আপনার ছোট বোনের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আমার কাছেও নদীর ধারে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। শীতহোক বা গরম নদী মানেই শান্তির নাম। নদীর পাড়ে বোনকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম আপু । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভীষণ চমৎকার ভ্রমণমূলক একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন আপনি। নদী, আর নৌকা দুটোই আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা নদীর পাড়ে ভ্রমণ করে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন। আপনার ছোট্ট বোনটি ভীষণ মিষ্টি দেখতে, তার চমৎকার ছবিগুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
নদীর পাড়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। আপনি ছোট বোনকে নিয়ে অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।সত্যি নদীর চড় দেখতে একটু বেশি ভালো লাগলো। আসলে আমাদের এদিকে চড় সহজে দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার ছোট বোনকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বোনকে নিয়ে তাহলে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটানো হয়েছিল। আপনার বোন তো দেখছি অনেক আনন্দিত। এই সময়টাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
আপনি তো দেখছি আপনার ছোট বোনকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। নদীর পাড়ের সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে এমনিতেই খুব সুন্দর সময় কাটানো যায়। খুব ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তটি দেখে আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।