"একাকীত্বের সাথে কাটানো সন্ধ্যা"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২ রা মে, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমরা মানুষ তাই জীবনে চলার পথে সব ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের জীবনটা যে সব সময় আনন্দে উৎফুল্ল ভরে থাকে এমনটা নয় এর ভেতরেও থাকে দুঃখ কিংবা কষ্ট। আর সবকিছুকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হলো জীবন। সুউচ্চ পাহাড় থেকে তীব্র বেগে জলরাশির পতনের ফলে যেমন নদীর সৃষ্টি হয় তারপর সেই প্রবাহমান নদী একসময় সাগরে গিয়ে মিলিত হয়। আমাদের জীবনটাও ঠিক নদীর মতই, আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। কারণ কিংবা অকারণে মাঝেমধ্যে হঠাৎ মন খারাপ হয়। আর তখনই একাকীত্ববোধ করি। তবে আমি একাকীত্বটাকে আমার নিজের মতো করে উপভোগ করি। যখন আমার সাথে এমনটা হয় তখন আমি নিজেই নিজেকে সময় দিই। তখন নিজেকে ভালোবাসার আর ভালো রাখার চেষ্টা করি। এইতো সেদিনে একাকিত্বের সাথে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটিয়েছি সেই মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার মনে হয় মাঝে মাঝে নিজের সাথেও সময় দেওয়া উচিত। সেদিন কোনো এক কারণে অনেক মন খারাপ ছিলো। কিছুই ভালো লাগছিলো না। আবার রুমের মধ্যেও দম বন্ধ লাগছিলো। তাই একাই বাইরে গেলাম। সেদিন আর কোনো ফ্রেন্ড কে ডাকলাম না, আমি সেদিন গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের মাঠে।
অনেকদিন পরে গেলাম সেখানে। মনে পড়ে গেল কিছু স্মৃতি আগে কতই না আড্ডা দিতাম ওই কলেজের মাঠে যেয়ে। আগে আমরা যখন প্রথম পর্বে পড়তাম তখন প্রায় প্রতিদিনই যেতাম কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কিন্তু এখন আর যাওয়া হয় না। সবকিছু কেমন যেন সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গিয়েছে। মাঠটাও কেমন যেন হয়ে গিয়েছে। আগের মতো আর লোকজন ভরা থাকে না।
আস্তে আস্তে বড়ো হচ্ছি আর সব হারিয়ে ফেলছি। এখন আর আগের মতো কারো সাথে কথাও হয় না দেখাও হয় না। সবকিছুই আসলে সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়। সেদিন একাই গিয়েছিলাম। প্রথমে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সেই ঝালমুড়ির দোকানে একসময় সেখানকার প্রতিদিনের কাস্টমার ছিলাম আমরা।
মামা আমাকে দেখে বলল কিগো কতদিন পরে এলে যে, বাকিগুলা কই আসেনি? আমি উত্তর দিলাম না আসেনি। তারপর মামার দোকান থেকে মুড়ি খেলাম অনেক গল্প করলাম মামার সাথে। তারপর মামা দোকান থেকে চলে আসলাম।
ঝাল মুড়ির দোকানের সামনেই ছিল কচুরির দোকান। কেন জানিনা কচুরি আমার বেশ ভালো লাগে। ওইখানে একটা ভাইয়া কচুরি বিক্রি করে। ভাইয়াটাও আমাদের পরিচিত। সেখানে যেতেই ভাইয়া জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছো?আমি বললাম এইতো ভাইয়া ভালো আছি । আপনি কেমন আছেন? ভাইয়ার ও সেই এক কথা এতোদিন পরে এলে যে? আমি বললাম আসা হয় না আগের মতো আমরা সবাই তো আর একসাথে নাই। ভাইয়া বললো কেন কি হয়েছে ? আমি কথাটি এড়িয়ে গেলাম।
তারপর ভাইয়ার কাছ থেকে কচুরি খেয়ে আসলাম মাঠের দিকে। তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। গেলাম অপরাজিতা চায়ের দোকানে। অপরাজিতা চায়ের দোকান বেশ পরিচিত নাম কুষ্টিয়ায়। অনেক ভালো চা বানাই সেখানে। তারপর চা অর্ডার দিলাম। বসে বসে একটু ফটোগ্রাফি করছিলাম তার মধ্যেই চা নিয়ে আসলেন মামা। সেখানে বসে চা খাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম এক সময় কতইনা আড্ডা বসতো আমাদের এই চায়ের দোকানে কতো স্মৃতি।
বন্ধুগুলো এতো তাড়াতাড়ি এই ভাবে হারিয়ে যাবে ভাবিনি। কেউই হারায়নি সবাই আছে সবাই আছে। শুধু নেই আগেকার দিনগুলোর মতো আড্ডা আর সুন্দর একটা সম্পর্ক।
কিছুই করার নেই, সময়ের সাথে সাথে সবাই হারিয়ে যায়।
তারপর চা খাওয়া শেষ করলাম। মামা চায়ের বিল দিয়ে রুমের দিকে রওনা হলাম।
একাকিত্বের সাথে কাটানো সন্ধ্যাটা সুন্দর ছিল।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৯ শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আপনি কিন্তু খুব সুন্দর কথা বলেছেন। মাঝে মাঝে আমাদের নিজেকে নিজের মতো করে সময় দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে আর এর মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। বেশ ভালো লাগলো কিন্তু আপনার সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তের এই অনুভূতিটা পড়ে। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি।
এভাবেই পাশে থাকবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মানুষের জীবনটা সত্যি অনেক সংগ্রামের। যতদিন যাবে তত সংগ্রাম বেড়েই চলবে। তাই মাঝেমধ্যে নিজেকে নিজের সময় দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এতে অনেকটা ভালো থাকা যায়। যাই হোক আপনার সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তের এই অনুভূতিটা এবং খাওয়া-দাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
প্রত্যেকটা মানুষকে তার জীবনের সাথে সংগ্রাম করে চলতে হয়। ঠিক বলেছেন আপু মানুষের জীবনটা সত্যি অনেক সংগ্রামের। ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে মনে হয় একাকীত্ব অনেক বেশি সুন্দর যদি সেটা নিজের মতো করে উপভোগ করা যায়। সব সময়ই সবার জন্য সময় না দিয়ে যদি মাঝেমধ্যে নিজের জন্য একটু সময় দেয়া যায় তাহলে ভীষণ ভালো হয়। মাঝেমধ্যে এভাবে একা একা ঘোরারও অনেক মজা রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেনো তোমার জীবনটা রঙিন আলোয় ভরিয়ে সব স্বপ্নগুলো যেনো পূরণ করে দেয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।