শীতের বিকেলে গ্রাম বাংলার মাঠের প্রকৃতির সান্নিধ্যে।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২০শে জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। বাংলার প্রকৃতির অপরূপ রূপ আমাদেরকে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে। বাংলার মাঠ ঘাট অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা। যে সৌন্দর্য কোন ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মেঠো পথ, সবুজ ক্ষেত , শীতের সময়ের হলুদ সরিষা ফুল , কৃষকের কর্ম ব্যস্ততায় সেজে থাকে বাংলার মাঠ। বাংলার মাঠে ঘুরতে গেলে প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়া যায়। উপভোগ করা যায় বাংলার রূপ।
আছি আর করব বাংলার প্রকৃতির উপভোগ করার কিছু মুহূর্ত। সেদিন আমি আর বোন মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম আমাদের মাঠে। সেখানে কাটিয়েছিলাম দারুন সময়। চলুন তাহলে মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া যাক।
শীতের বিকেলে মাঠের মধ্যে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। শীতের সকালে তো কুয়াশা মোড়ানো প্রকৃতি। সকালবেলা শুধু শীতের সৌন্দর্য টাই উপভোগ করা যায়। কিন্তু শীতের বিকেলে প্রকৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। শীত ঋতু পুরোটাই যেন উপভোগ্য সময় দিয়ে ভরা। সকাল সন্ধ্যা বিকেল সবসময়ই ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ক্ষণে ভালোলাগার মুহূর্ত সৃষ্টি হয়। সেদিন আমরা দুজন মিলে চলে গিয়েছিলাম মাঠ দেখার উদ্দেশ্য।
বাংলার মাঠ প্রত্যেক ঋতুতে এক এক রকম সাজে। শীত ঋতুর সাজ টা একটু বেশি ভালো লাগে। চারিদিকে সরিষা ফুলে ভরে যায়। কৃষকেরা থাকে নানান কর্ম ব্যস্ততায়। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কাজ। মাঠে মাঠে কৃষকের সমাগম। কৃষকেরাও যেন সারাদিন খানিকটা আরামের সাথে কাজ করে যাই।
দুপুরের তীব্র রোদ নেই, ঝড়-বৃষ্টি নেই, গলার শুকিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীত ঋতুটা কৃষকের জন্য বেশ আরামদায়ক।মাঠে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় অনেক বেশি লোক দেখা যায়। সেদিন আমরা ঘুরতে যেয়ে দেখি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত কৃষক। চারিদিকে অনেক মানুষ।
এ সময় কৃষকেরা প্রচুর ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত পেঁয়াজ লাগাতে, কেউ পেঁয়াজের চারা তুলতে,জমিতে সেচ দিতে, জমিতে নাঙ্গল দিতে আরো নানা আদি কাজে ব্যস্ত। শীতের বিকেলে মাঠ যেন শুধু কর্ম ব্যস্ততায় ভরা। আমি আর বোন বিকেল বেলা মাঠে ঘুরতে গিয়ে এরকমই নানান রকম কর্মব্যস্ততায় থাকা কৃষকদের দেখছিলাম। বিকেলবেলা মাঠে গিয়ে সুন্দর প্রকৃতির মাঝে প্রাণ খুলে শ্বাস নিচ্ছিলাম।
আমরা বিকেল চারটা নাগাদ মাঠে ঘুরব বলে বেরিয়ে পড়েছিলাম। মাঠ আমাদের বাড়ির সাথে। এখন মাঠের সবথেকে বড় আকর্ষণ সরিষা ফুল। সরিষা ফুলের ছবি তোলার জন্য আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে আমরা ছবি তুলেছিলাম। চারিপাশের প্রকৃতির অপরূপ রূপ ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছিলাম। মানুষের কর্মগুলো ক্যামেরায় বন্দি করার চেষ্টা করেছিলাম। বোন বলল তার ছবি তুলে দিতে। সেজন্য বোনের কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
ছবি তোলা শেষ করে আমরা দুজন মাঠের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর দেখলাম কর্মব্যস্ততায় থাকা মানুষগুলো আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শীতের সন্ধ্যে নামলেই মাঠ থেকে ঝাকে ঝাকে সবাই বাড়ি ফিরে আসে। আমি আর বোনও ভাবলাম এবার বাড়িতে যাওয়া উচিত। সূর্য পাটে যাওয়ার সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিলাম। সরিষা ফুলের উপর দিয়ে সূর্য পাটে যাচ্ছিল দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করলাম। তারপর সবার মত ধীরে ধীরে আমরাও বাড়ির দিকে এগিয়ে আসলাম।
শীতের বিকেলের দৃশ্য সত্যি মনের মুগ্ধকর। শীতের অপরূপ সৌন্দর্যের আসলে কোন তুলনা হয় না। প্রকৃতিকে কত সতেজ দেখায়। ইচ্ছে করে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নি।উপভোগ করি প্রকৃতির সৌন্দর্যকে। সেদিন খুব সুন্দর সবাই উপভোগ করেছিলাম। বিকেটা ছিল মধুমাখা সুন্দর।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আসলেই শীতকাল এর পুরো সময়টাই যেন উপভোগ্য সময় ।সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি প্রকৃতি যেন বারবার নতুন রূপে সাজে। ঠিক সেরকমই কিছু দৃশ্য উপভোগ করলাম আপনার আজকের পোস্টে। গ্রাম বাংলা থেকে ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলিও চমৎকার ছিল। সেই সাথে আপনার বোনের সাথে গ্রামবাংলায় ঘোরার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন ,ধন্যবাদ।
সরিষা ফুল আমার অনেক প্রিয়। আমি অনেক অনেক পছন্দ করে থাকি এ ফুলগুলো। আমিও ফটো ধারণ করেছি সরিষা ফুলের। অনেক ভালো লেগেছিল যখন ফটো ধারণ করছিলাম। একদম প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
Daily task
আমিও সরিষা ফুলের মাঠে গিয়েছিলাম এবং সরিষা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। শীতের সময় সরিষা ফুলের ফটো ধারণা করতে পারলে যেন কোন কিছু একটা বৃথা থেকে যায়। খুব ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
গ্রাম বাংলার অপরূপ সুন্দর এই সরিষা ফুলের দৃশ্যগুলো দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনি খুবই সৌন্দর্যময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আর শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
শীতের ঋতুতে আমাদের গ্রাম বাংলার বৈচিত্র খুবই সুন্দর দেখায়। বিশেষ করে শহরে তুলনা গ্রামের পরিবেশ খুবই সুন্দর হয়। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর বিকেল বেলার দৃশ্য শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এমন মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু গ্ৰাম বাংলার এমন অপরূপ সৌন্দর্য সবসময়ই আমাদের মুগ্ধ করে। এই সৌন্দর্য চাইলেও কখনও ভুলা সম্ভব নয়। যত দেখি ততই যেন আরও বেশি দেখতে ইচ্ছে করে। সবসময় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে মন চায়। প্রতিটা ঋতুতে প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপে সেজে উঠে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। শীতের বিকালের সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।