বান্ধবীর সাথে নবাবী তান্দুরি রাইস খাওয়ার অনুভূতি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ-২১ জুন ,শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
|-|
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল চারে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আপনি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে বান্ধবীর সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নবাবী তান্দুরি রাইস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আগের দিন থেকেই খুব বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছিলো। তাই সেদিন রাতে আমি আমার বান্ধবীকে বলি চল না কাল বিরিয়ানি খেতে যায় । আমার বান্ধবী বলল ঠিক আছে কাল দুপুরে যাবো। তারপর আমরা দুজন মিলে ঠিক করলাম আমরা মুঘল কুইজিন রেস্টুরেন্টে যাবো বিরিয়ানি খেতে।
যেমন কথা তেমন কাজ পরের দিন আমরা দুজন মিলে ঠিক দুপুর তিনটার দিকে বেরিয়ে পরি মুঘল কুইজিন রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। বরাবরের মতো সেদিনও ও আমার মেসের সামনে এসে আমাকে নিয়ে যায়। আমরা দুজন বনফুল বেকারির সামনে থেকে রিক্সা ঠিক করি । তারপর আমরা রিক্সা করে মুঘল কুইজিন রেস্টুরেন্টের সামনে এসে নেমে পড়ি।
তারপর আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করি। রেস্টুরেন্টটা ছিল বেশ সুন্দর। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে বসি। আমরা গিয়েছিলাম বিরিয়ানি খেতে কিন্তু সেখানে গিয়ে মেনু কার্ডে দেখি সেখানে নবাবী তান্দুরি রাইস পাওয়া যায়। তারপর আমরা ঠিক করলাম আজ আমরা নবাবী তান্দুরি রাইস খাবো।
তারপর আমরা অর্ডার দিলাম। যতক্ষণে ওয়েটার খাবার আনছিল ততক্ষণে আমরা বসে গল্প করলাম তারপর কিছু পিকচার তুললাম নিজেদের এবং রেস্টুরেন্টের। সেদিন রেস্টুরেন্টে খুব একটা মানুষ দেখতে পেলাম না। কুষ্টিয়ার মধ্যে মুঘল কুইজেন রেস্টুরেন্ট বেশ নামকরা। সেখানকার খাবারের স্বাদও বেশ ভালো। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়েটার খাবার নিয়ে এলো। আমরা দুজনে মিলে খাবার খেলাম।
একটা প্লেটে যতটা রাইস থাকে তা একজনের জন্য অনেক বেশি আমার কাছে মনে হলো। রাইসটা বেশ ভালো ছিল তবে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে চিকেন। চিকেনের স্বাদ টা অনেক বেশি সুস্বাদু ছিলো । বাকি আইটেমগুলো বেশ দারুন ছিলো।সবকিছু মিলিয়ে চিকেন তান্দুরি রাইসটা বেশ মজাদার ছিলো।
তারপর আমি এবং আমার বান্ধবী খাওয়া শেষ করে ওইটাকে ডেকে বিল দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসি। প্রায় চারটা পনের মিনিট নাগাদ আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসি। তারপর আমরা রিকশায় উঠে রওনা দি হরিপুর ব্রিজের উদ্দেশে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা নিজেদের গন্তব্যে অর্থাৎ যে যার মেসে চলে আসি।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ ই মে,২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
বান্ধবীর সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে এভাবে ঘোরাফেরা খাওয়া-দাওয়া করলে মন ভালো থাকে। আশা করি খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনাদের দুজনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া করলে মন ভালো থাকে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দুই বান্ধবী মিলে দেখছি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আর খাওয়া-দাওয়াটাও খুব ভালোভাবে করেছিলেন। বিয়ানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে গেলেও নবাবি তান্দুরি রাইস দেখে সেটা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এটা দেখেই বুঝতে পারতেছি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। আমার তো দেখে এখন এটি খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। বন্ধুদের সাথে কোথাও গিয়ে আড্ডা দিতে অথবা খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টে তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল। খাওয়া দাওয়া করার পরে আপনারা আবার একটা জায়গায় ঘুরাঘুরিও করেছিলেন শুনে ভালো লেগেছে।
আসলেই বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দদায়ক হয়। রেস্টুরেন্টে তোলা ছবিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুর সাথে নবাবী তান্দুরি রাইস খাওয়ার অনুভূতি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। মুঘল কুইজিং রেস্টুরেন্টে কখনো যাওয়া হয়নি তবে খাবারগুলো দেখে ইচ্ছা করছে যাইতে আর খাইতে। ওয়াও ভালোই তো ফটোগ্রাফি করতে শিখে গেছো দেখছি ছবিগুলো খুব সুন্দর ও স্বচ্ছ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমার জন্য সবসময় শুভকামনা রইলো।