ইউটিউব ভিলেজ পার্ক ভ্রমণ। (দ্বিতীয় পর্ব)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৪ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে আমার খুব ভালো লাগে।সময় পেলেই নিজে এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়ায়। পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া খুব কম হয়ে ওঠে। কেউ সময় পায় আবার কেউ সময় পায়না। অনেকদিন পর পরিবারের সবাই মিলে পার্কে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। যদিও আমার ভাই আমাদের সাথে গিয়েছিলো না। বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সবাই মিলে ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এর আগের পর্বে ইউটিউব ভিলেজ পার্কের সৌন্দর্য সম্পর্কে আপনাদের বলেছিলাম। সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকেই শুরু করবো।চলুন তাহলে তাহলে শুরু করা যাক।
সেদিন আমরা বামদিকে ঘুরে প্রথম গেটে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে লাভ শেপের কাছে খুব সুন্দর একটি ছবি ক্যাপচার করেছিলাম। তারপর আমরা সোজা হেঁটে একেবারে পার্কের শেষ প্রান্তে চলে যায়। সেখানে যেতেই আমরা দেখতে পাই সুন্দর সূর্যমুখী ফুলের বাগান। সেখানে অনেক সূর্যমুখী ফুলের গাছ ছিলো।রোদের আলো তখন খুব বেশি ছিল না। তবে সূর্যমুখী ফুলের উপর এক চিলতে রোদের আলো চমৎকার লাগছিলো।সূর্যমুখী ফুলের বাগানে বেশ কয়েকটি ফুল ফুটেছিলো।কিছুদিন পরে হয়তো আরো অনেক ফুলে ভরে যাবে।
সূর্যমুখী ফুলের বাগান থেকে আমি বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেনি। বাগানের মধ্যে বোনের কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছিলাম। তারপর আমরা সেখান থেকে সোজা হেঁটে আবার পার্কের ভিতরে দিকে চলে আসি। আসার সময় সুন্দর সুন্দর চন্দ্রমল্লিকার গাছ আমরা দেখতে পাই। পার্কের বেশ অনেকখানি জায়গা জুড়ে এই ফুলের গাছ রয়েছে। সাদা এবং গোলাপি রঙের ফুলগুলো চমৎকারভাবে পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছে।
পার্কের মধ্যে অনেক ধরনের খেলা রয়েছে। প্রথমেই আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের রাইড। আমার এগুলোতে উঠতে খুব ভয় লাগে। এখানে অনেক মানুষ রাইডে উঠেছিলো।বিভিন্ন ধরনের রাইট ছিল সেখানে।আমার বোন রাইডে ওঠার জন্য বায়না ধরলো।বোনকে নিয়ে রাইডে ওঠার মত আমাদের সাথে কেউ ছিলো না।আমার মা তো আমার থেকেও বেশি ভয় পায়। মা সব সময় এগুলো থেকে দূরে থাকে। তারপর আর কি করার। বোনের রাইডে ওঠা হলো না। আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম।
আগেই বলেছি এই পার্কে আমি এর আগেও একবার এসেছিলাম। তখন এত সব কিছু দিয়ে সুন্দর ভাবে পরিপাটি করে সাজানো ছিল না। এখন পার্কের মধ্যে গেলে মনে হয় একটি উৎসব মুখর পরিবেশ। এখানে সব সময় মানুষের সমাগম লেগেই থাকে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা, একাধিক প্রজাতির ফুল, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, বিনোদনের জন্য প্রায় সকল ধরনের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। বাচ্চাদের জন্য খুবই আনন্দদায়ক জায়গাটা। আমার তো সেখানে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগছিলো।
এখানে একটু যেতেই দেখতে পাই খুব সুন্দর একটি গাছ। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন গাছের উপরে কত সুন্দর করে লাভ সেভ ডিসাইন করা। এই ডিজাইনটি প্রায় এক বছর আগে করা হয়েছিলো।আমি ফেসবুকে এমনটাই দেখেছিলাম। সম্পূর্ণ গাছটাতে যখন এরকম ডিজাইন ছিলো দেখতে অপূর্ব লাগছিলো।বেশ কিছুদিন আগের হওয়ায় এর সৌন্দর্য অনেকটাই কমে গেছে। অনেক লাভ সেভ খুলে পড়েছে। গাছের উপর এরকম লাল বর্ণের লাভ শেভ সত্যি চমৎকার।
পার্কে এসে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগছিলো মা আমাদের সাথে এসেছে। মা খুব একটা বেড়াতে বের হয় না। সংসারের সকল কাজকর্ম শেষ করে মায়ের বিনোদনের জায়গাটা ওই সংসার। সবকিছু গুছিয়ে মা কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনা। আমার খুব ইচ্ছে করে মাকে নিয়ে পৃথিবী ঘুরতে। কিন্তু, সেটা আমার স্বার্থের বাইরে। আমার জোরাজুরিতে সেদিন মা পার্কে যেতে রাজি হয়েছিলো।সবাই মিলে ঘুরতে বেশ ভালো লাগছিলো।
আমরা সোজা যেতে থাকে সেখানে দেখতে পাই গাঁদা ফুলের রাজ্য। শীতকালটা অবশ্য গাঁদা ফুলের। যেতে যেতে দেখছিলাম অনেক ধরনের পাতা বাহার গাছ। তারপর আমরা পুকুর পাড়ে চলে যাই। পুকুর পার টা অনেক বড়। পুকুর পাড়ের ওই পাশে রয়েছে অনেক ধরনের নির্মাণ। রয়েছে ছোনের ঘর। ছোট ছোট ছোনের ঘরগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। পুকুর পাড় দিয়ে হেঁটে আমরা চায়ের দোকানের সামনে চলে যাই। সেখান থেকে এক কাপ চা খেয়ে নি। তারপর আমরা পুকুর পানির উপরে থাকা কাঠের ব্রীজে পার হয়ে আবার এদিকে চলে আসি।
আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী পর্বে বাকি অংশ শেয়ার করবো।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২১শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Daily task
আপনার ইউটিউব ভিলেজ এর ১ম পর্ব ও পড়েছিলাম। আজ ২য় পর্ব দেখে ভালো লাগলো। লাভ শেইপ এর গাছটা এর আগে অংকন ভাই এর পোস্ট এও দেখেছিলাম। গোলাপি ফুলটা বোধ হয় চন্দ্রমল্লিকা না, কসমস ফুল লাগলো আমার কাছে। আর মাসিমা যে সংসার এর চাপ থেকে বের হয়ে ঘুরতে গিয়েছে আপনার বলায়, এতে ভালো লাগলো। আগে আমার মাও এরকমই ছিলো, যেনো সংসারই সব! এখন অবশ্য সেটা পরিবর্তন হয়েছে। মাসিমার জন্য শুভকামনা রইলো বোন।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু বড় হয়ে গেলে সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। তখন একসাথে আর ঘুরা সম্ভব হয় না। তবে আপনারা সবাই মিলে ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এই পার্কের অনেক নাম শুনেছি কিন্তু আমার এখান থেকে দূরে বলে হয়তো কখনো যাওয়া সম্ভব হবেনা। আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে পার্কটি খুব সুন্দর আর আপনারা সবাই খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ইউটিউব ভিলেজ পার্কে গিয়ে আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ।খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে কসমস ফুলের ফটোগ্রাফিটা দারুন লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে youtube ভিলেজ পার্কে ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব টা শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই পর্বটা দেখে। খুব ভালো মুহূর্ত ওখানে গিয়ে কাটিয়েছিলেন, এটা আপনার পুরো পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি। অপেক্ষায় থাকলাম এখন পরবর্তী পর্বটা দেখার জন্য।