ক্যালকুলেটর কেনার অভিজ্ঞতা।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ-১০ই জুন, সোমবার,২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার নতুন ক্যালকুলেটর কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রায় ১৫ দিন আগের কথা সেদিন রাতে হঠাৎ করে আমার পুরনো ক্যালকুলেটরটা নষ্ট হয়ে যায়। তারপরের দিনই ছিল আমার কোচিংয়ে পরীক্ষা। সেই পরীক্ষারই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই আমার পুরনো ক্যালকুলেটরটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তখন প্রায় রাত সাড়ে আটটা বাজে। তার পরের দিন যেহেতু পরীক্ষা সেহেতু ক্যালকুলেটর এর দরকারটা অনেক ছিল।
কি আর করবো ! তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়লাম আমার রুমমেটের সাথে ক্যালকুলেটর কিনতে। আমি আগে যেই ক্যালকুলেটর টা ইউজ করতাম সেটা ছিল নরমাল ক্যালকুলেটর। কোচিং এর ভাইয়া বলেছিলো একবারে ডিজিটাল ক্যালকুলেটর কিনতে। যেহেতু আমাদের নরমাল ক্যালকুলেটর আর বেশিদিন কাজে লাগবে না। আর কিছুদিন পরেই আমাদের ডিজিটাল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে হবে।
সেই জন্য একবারে ডিজিটাল ক্যালকুলেটর কেনার উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমি এবং আমার রুমমেট দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম ইসলামিয়া কলেজের গলিতে। ইসলামিয়া কলেজের গলিতে পড়াশোনার যাবতীয় সব জিনিসই পাওয়া যায়। ওখানে বেশ কিছু ক্যালকুলেটরের দোকান দেখতে পেলাম। যেহেতু আমার কোচিং এর ভাইয়া আমাকে ডিজিটাল ক্যালকুলেটর কিনতে বলেছিলেন।
তাই তার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোথা থেকে ক্যালকুলেটরটা কিনবো ? সে আমাকে একটি দোকানে ঠিকানা দিয়েছিলো। আমরা ভাইয়ার দেওয়া সেই দোকানটা খুঁজে বের করলাম এবং সেই দোকানে পৌঁছে গেলাম ক্যালকুলেটর কিনতে। আমরা দোকানে গিয়ে দোকানদার ভাইয়াকে বললাম সেকেন্ড এডিশনের ক্যালকুলেটর দেখাতে। তিনি আমার কথা শুনে সেকেন্ড এডিশনের তিন রঙের ক্যালকুলেটর দেখালেন।
তারপর সবগুলো ক্যালকুলেটর মধ্যে থেকে আমি প্রথমে কালো রঙের একটি ক্যালকুলেটর বেছে নিয়েছিলাম।কিন্তু আমার রুমমেট আপু বললেন কালো রঙের ক্যালকুলেটর তো অনেকে ইউজ করে তুমি বরং অন্য রঙের কোন ক্যালকুলেটর নাও। আমি বললাম ক্যালকুলেটর এর আবার রং দিয়ে কি করব? যেকোনো এক রঙের হলেই হবে। আপু বলল আকাশি রংয়ের টা নাও। আপুর কথা মতো আমি আকাশে রংয়ের ক্যালকুলেটরটাই বেছে নিলাম।
তারপর ক্যালকুলেটরটি ভালো করে প্যাকেট থেকে খুলে সবকিছু ঠিক আছে কিনা ভালোভাবে দেখে ভাইয়াকে বললাম প্যাকেট করে দিতে। তারপর ভাইয়া ক্যালকুলেটর প্যাকেট করে দিলেন। তারপর বাঁধলো ক্যালকুলেটর এর দাম নিয়ে ঝামেলা। আমার কোচিং এর ভাইয়া বলেছিলেন ক্যালকুলেটরের দাম ১৮০০ টাকা নিবে। কিন্তু দোকানদার কিছুতেই ২ হাজার টাকার নিচে ক্যালকুলেটর আমাকে দেবে না। আমিও কম যায় না অনেক সময় ধরে সুন্দরভাবে তর্ক করলাম।
তারপর শেষমেশ ৫০ টাকা কম রেখে দোকানদার আমাকে ক্যালকুলেটরটা দিয়ে দিলো। তারপর আর বেশি দেরি না করে যেহেতু পরের দিন পরীক্ষা ছিলো তাই তাড়াতাড়ি আমি এবং আমার রুমমেট ক্যালকুলেটরটা কেনা শেষ করে মেসে চলে আসলাম। এই ছিলো আমার নতুন ক্যালকুলেটর কেনার অভিজ্ঞতা।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
পরীক্ষার আগে ক্যালকুলেটর নষ্ট হয়ে গেলে সত্যিই অনেক চিন্তার বিষয়। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ক্যালকুলেটর কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার অনুভূতি আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রয়োজনের সময় যদি এরকম কিছু হয় তাহলে তো আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্ত লাগে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই ক্যালকুলেটর আপনার নষ্ট হয়ে গিয়েছে দেখে খারাপ লাগলো। তবে ভাগ্য ভালো যে পরীক্ষার ভিতর নষ্ট হয়নি। যাইহোক পরীক্ষার কয়েকদিন আগে ক্যালকুলেটর নষ্ট হওয়াতে, আপনার রুমমেটকে নিয়ে কিনেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। তবে অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন কালারের ক্যালকুলেটর নিয়ে ভালোই করেছেন। ক্যালকুলেটরের কালার টা কিন্তু অনেক। আমার কাছে এই কালারটা খুব ভালো লাগে।
আসলে ভাগ্য ভালো ক্যালকুলেটর টা পরীক্ষার মধ্যে নষ্ট হয়ে গেলে যে কি হতো সেটাই ভাবছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিজিটাল ক্যালকুলেটর কিনে খুব ভালো করেছেন আপু। কারণ এটা দীর্ঘদিন ইউজ করতে পারবেন। তাছাড়া ক্যালকুলেটর এর কালারটা কিন্তু দারুণ। আপনার রুমমেটের পছন্দ খুব ভালো। কারণ এই কালার আমারও খুব পছন্দ। শেষ পর্যন্ত তাহলে ১৯৫০ টাকা দিয়ে ক্যালকুলেটর কিনতে হলো। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।