কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকালের ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে থাকি। আমি সব সময় ফুল এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে বেশি শেয়ার করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি মনে করি আপনারাও আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পছন্দ করেন। আজ আবার হাজির হয়েছি বেশ কিছু কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকালের ফটোগ্রাফি নিয়ে। বাড়ি থেকে আসার আগে একদিন ভোর বেলায় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কুয়াশা মোড়ানো সকালে উঠতে যেমন কষ্ট তেমনি আনন্দ লাগে। যাইহোক চলুন তাহলে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কুয়াশার চাদরের ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি খুব ভোরবেলায় ক্যাপচার করেছিলাম। চারিপাশে শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা। মনে হচ্ছিল আকাশ যেন এখানেই মিশে গেছে। চারিদিকে কোন জনমানব ছিলো না সেদিন। আমি অবশ্য খুব বেশি দূরে যায়নি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু মাঠের মধ্যে যেতেই আমি বুঝতে পারলাম এত কুয়াশার মধ্যে কেউ আসেনি। আমাদের বাড়ির পাশের মাঠের মধ্যে বেশ কিছু সরিষা ফুলের ক্ষেত রয়েছে। আমি সেদিন ফটোগ্রাফি করতে সেখানেই চলে গিয়েছিলাম। এখানে মূলত আমি ভোর বেলার কুয়াশার চাদরের চিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এইতো শীত ফুরিয়ে গেল প্রায়। এই সকাল গুলোকে খুব মিস করবো।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সরিষা ফুলের মাঝে গ্রামীন মেঠো পথ। গ্রামের এই মাটির পথ গুলো কার না পছন্দ। প্রত্যেকটি খেতের পাশ দিয়ে এরকম মেঠো পথ থাকে। মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে খুব ভালো লাগে। দুই ধারে সরিষা ফুল যেন উপসে পড়ছে তার মাঝে দিয়ে চলে গেছে সরুপথ। পথে রয়েছে দূর্বা ঘাস। দুর্বা ঘাসের উপরে ফোঁটায় ফোঁটায় শিশির জমেছে কি অপূর্ব দৃশ্য তাই না। এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে। এই পাশ থেকে ওই পাশে যখন মেঠো পথ পেয়ে যাচ্ছিলাম শিশির ভেজা সরিষা ফুলের ডগা গুলো দেখতে অপূর্ব লাগছিল। বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিলো বটে।মুহূর্তটা উপভোগ করতে বেশ দারুন লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফিটি আমি আমাদের বাড়ি থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। সেদিন সকাল বেলায় মূলত ফটোগ্রাফি করার জন্যই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। চারিদিকে কুয়াশা চাদর দেখে কি ফটোগ্রাফি করব বুঝে পাচ্ছিলাম না। তখনই চোখে পড়ে এই মরা গাছ। কুয়াশা মোড়ানো চাদরের মাঝে পাতাহীন এই গাছটি আমার কাছে বেশ চমৎকার লাগছিলো।গাছের চারিপাশ দিয়ে সাদা কুয়াশা চাদর মুড়িয়ে আছে।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিম ফুলের ফটোগ্রাফি। বাড়ির পিছনে রয়েছে কিছু শিমের গাছ । গাছগুলো মূলত শিম খাওয়ার জন্য লাগানো হয়েছে। শিমের ফুল সাদা এবং গোলাপি বর্ণের হয়ে থাকে। সাদা সাদা ফুলের উপর ছোট্ট ছোট্ট শিশির ফোঁটা চমৎকার লাগছিলো।সরু ডটার সাথে ছোট ছোট ফুল গুলো দেখতে কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে ধনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি। ধনিয়া পাতা তো আমরা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি। ধনিয়া পাতা সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা ধনিয়া পাতা ব্যবহার করে থাকি। ধনিয়া পাতা এরকম সুন্দর সুন্দর ফুল হয়ে থাকে। ধনিয়া ফুলের সাথে আমরা সবাই হয়তো পরিচিত নাই। আমাদের মাঠ থেকে এই ধনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলেন। সকালবেলা গিয়ে দেখি ধনিয়া ফুলের উপরে শিশির জমে আছে। শিশির জমা সকালের যে কোনো জিনিস দেখতে চমৎকার লাগে।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে গাছসহ নীল রংয়ের ফুলের ফটোগ্রাফি। এই ফুলগুলো নাম আমার জানা নেই। এই গাছটাও আমি চিনতে পারছি না।গাছটা আমার ভীষণ পরিচিত কিন্তু না আমি জানিনা। সবুজ সবুজ চিরল চিরল পাতা তার উপরে শিশির ফোটা চমৎকার না! গাছের ডালের সাথে বেশ কিছু ছোট ছোট নীল ফুল দেখছিলাম। ফুল গুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরিবেশের মাঝে এরকম ফুলগুলো চমৎকার লাগছিলো।
ফটোগ্রাফি নং-৭
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ:২৮শে জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার সর্বশেষ ফটোগ্রাফি তে রয়েছে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি। সরিষা ফুলকে তো আমি ব্যক্তিগতভাবে হলুদ পরী মনে। এর আগে আপনাদের সাথে বেশ কিছু হলুদ পরীর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে শীতের সৌন্দর্যের অনেকাংশ জুড়ে এই হলুদ পরীর অবস্থান। শীতের সকালের ফটোগ্রাফি করব আর সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি করবো না এটা কখনো হয়। সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি না করলে শীতের সৌন্দর্যের অনেকখানি বাদ পড়ে যায়। সরিষা ফুল আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সরিষা ফুলের উপরে যখন শিশির ফোঁটা পড়ে থাকে দেখতে আরো বেশি চমৎকার লাগে।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
শীতের কুয়াশা ঘেরা পরিবেশে তোলা প্রত্যেকটি ছবি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। সব থেকে ভালো লাগলো সরিষা ফুল এবং শিম ফুলের ছবি দুটি। শীতের সকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন মন ভরিয়ে দেয়। আর আপনি ভীষণ সুন্দরভাবে সেইসব প্রকৃতির ছবি তুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
Daily task
শীতের সকালে ফটোগ্রাফি করতে আমারও বেশ ভালো লাগে। কুয়াশায় ভেজা বা শিশিরে ভেজা ফুল যদি কাছে পাওয়া যায়, তাহলে সেই ফটোগ্রাফি করা অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর লাগলো আপনার আজকের এই ফটোগ্রাফি পোস্ট।
কুয়াশায় মোড়ানো সকালে প্রকৃতি এক অনন্যর রূপে সাজে।আজকে আপনি আমাদের মাঝে মনমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। শিশির ভেজা এবং কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি এগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কুয়াশায় ঘেরা সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে।চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রামীন পরিবেশ আমি অনেক পছন্দ করি। আর সেই গ্রামীন পরিবেশ যদি শিশির ভেজা হয়ে থাকে। তাহলে দেখতে খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক ভালো লাগা খুঁজে পেলাম। চমৎকার ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। প্রত্যেকটা কি দারুন ফটোগ্রাফি। সরিষা ক্ষেত। এ ছাড়া চেনা অচেনা বিষয়ের ফটোগ্রাফি। যেন শিশির ভেজা সকালের ছোঁয়া লেগে আছে এখানে।
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকালের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আপনি অনেক সুন্দর করে সময় দিয়ে ধৈর্য ধরে ফটোগ্ৰাফি করেন, আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি দারুন বর্ণনাও দিয়েছেন দেখছি সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপু।
অনেকদিন হলো শীতের সকালের ফটোগ্রাফি করা হয় না। আপনি দেখছি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। কুয়াশা মোড়ানো পরিবেশ যেটা সত্যি উপভোগের বিষয় ছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের চাদরে মুড়ানো বেশ কিছু সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শীতের এমন দৃশ্য কিন্তু আমার কাছে দারুন লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি করা ফটোগুলোর মধ্যে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার এমন সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির জন্য।
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকালের ফটোগ্রাফিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে দিদি।আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেন বলতেই হয়।আমার কাছে আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।