শীতের সকালের ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৫ই জানুয়ারি, বুধবার , ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। শীতের সকালের সৌন্দর্য কার না ভালো লাগে। কুয়াশা মাখা সকাল দেখার ইচ্ছে কমবেশি সবার আছে। তাই সেদিন বেরিয়ে পড়েছিলাম কুয়াশা মাখা সকাল দেখায় উদ্দেশ্যে। এর আগের ফটোগ্রাফি পোস্টে আপনাদের সাথে বেশ কিছু কুয়াশা মাখা সকালে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। সেদিন সকালেই আরো কিছু ফটোগ্রাফি আমি ক্যাপচার করে রেখেছিলাম। সেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
ফটোগ্রাফি নং-১
ডিভাইস: গুগোল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ:১১ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। রঙের হয়ে থাকে। তবে জবা ফুলের লাল এবং গোলাপি রং আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই সুন্দর জবা ফুলের গাছটি আমাদের বাড়ি উঠানে হয়েছে। বাড়ির ওখানে গাছ ভরে এই ছোট্ট ছোট্ট জবা ফুলগুলো তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে রাখে। এই ফটোগ্রাফিতে কুয়াশা মাখা সকাল বেলায় আমাদের বাড়ির জবা ফুলের গাছ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। হালকা রোদের আলো পড়েছিল দেখতে চমৎকার লাগছিল।
ফটোগ্রাফি নং-২
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
এই ফটোগ্রাফিটি ক্যাপচার করেছিলাম কুয়াশা যখন চারিদিকে চাদর মুড়ি দিয়ে আছে তখন। এই ফটোগ্রাফিটি অনেক সকালে ক্যাপশন করেছিলাম। এই শাকের নরম ডগায় কুয়াশাগুলো পড়েছিল। ফোটায় ফোঁটে শিশির গুলো অনন্য সৌন্দর্য ধারণ করেছিল। নরম নরম ডগা যখন শিশিরে ভিজে দাঁড়িয়ে আছে কি অপরূপ দৃশ্য তাই না। কি সুন্দর ফটোগ্রাফি তে আমার এতই ভালো লেগেছিল যে ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না। এটা আমাদের বাড়ির পেছনের মাঠ থেকে ক্যাপচার করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি নং-৩
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ ই জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
শীতের সময় সরিষা ফুলের অনন্য সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। মাঠজুড়ে হলুদ বর্ণের প্রতিটি খেত যেন স্বপ্নের মত লাগে। সরিষা ফুলের মুগ্ধতা ভাসায় প্রকাশ করা যাবে না। এমনিতেই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য অনেক তার উপরে শিশির মাখা থাকলে তার সৌন্দর্যজনক দ্বিগুণ হয়ে যায়। হলুদ ফুলের ছোট ছোট পাপড়ির উপরে ছোট ছোট শিশির ফোঁটা। কুয়াশার চাদর এর জন্য বেশি ফুল দেখা যাচ্ছিল না। সামনাসামনি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল।
ফটোগ্রাফি নং-৪
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭প্রো।
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কৃষকের কাজের ব্যস্ততার চিত্র।আমরা তো এসেছি শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কনকনে শীতে প্রতিদিন উঠে মাঠে কাজ করা অনেক কষ্টের কাজ। একদিনের জন্য এসেছি কুয়াশামাখা মাঠের মধ্যে একটু হাঁটবো বলে তাতেই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। প্রতিদিন ভরে ওঠে কৃষকেরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সবকিছু বন্ধ থাকলেও কৃষকের যেন ছুটি নেই। ঝড়, মেঘ, বৃষ্টি, শীত কিংবা রোদ মাথায় করে কৃষকেরা কাজ করে যায়।
ফটোগ্রাফি নং-৫
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১১ই জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফি তে রয়েছে জবা ফুলের পাতা। জবা ফুলের ছবিটি ক্যাপচার করার সময় এই পাতার ছবিটি ক্যাপচার করেছিলাম। সবুজ সবুজ পাতার উপর ছোট ছোট শিশির ফোঁটা অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। এক থোকায় সবুজ পাতা একসাথে অনেক সুন্দর লাগছিল।
ফটোগ্রাফি নং-৬
ডিভাইস:গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ শে জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কুয়াশা মাখা শিম ফুলের ফটোগ্রাফি। শিম ফুল সাদা এবং নীল বর্ণের হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো কুয়াশামাখা ভোর বেলায় ক্যাপচার করেছিলাম। সাদা সাদা ফুলের উপর ফোঁটা ফোঁটা শিশির ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছিল। চারিদিকে ধূসর সাদা যতই এগোয় ততই মনে হয় এই বুঝি কুয়াশা শেষ কিন্তু কথা শেষ হয় না। ভোর বেলায় চারপাশটা অনেক অন্ধকার লাগছিল। কিন্তু উপভোগ্য সময় টুকু দারুন ছিল।
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
আজকের টাস্কসমূহ
আজকে দেখছি আপনি শীতের সকালের বেশ কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু।সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে জবা ফুলের ফটোগ্রাফিটি। আসলে জবা ফুল আমার একটা প্রিয় ফুল। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিজেকে হাসি খুশি রাখতে পারলে সেটা সবথেকে ভালো ব্যাপার। সকাল সকাল আপনার ছবিগুলো দেখে মন ভালো হয়ে গেছে। ফুলের ছবি আর শিশির ভেজা ছবিগুলো চোখ ধাঁধানো সুন্দর ছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।
দারুণ ফটোগ্রাফি করলেন আপু। শীতের দিনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগে। বিশেষ করে সকালের কুয়াশা ভেজা ফটোগ্রাফি গুলো তো দারুণ হয়। আপনি দেখতেছি দিন দিন বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে যাচ্ছেন। ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা বেশ ভালই আছে বোঝা যাচ্ছে।
শীতের সকাল বেলার ফটোগ্রাফী গুলো করতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শীতের সকালের বেশ কিছু সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী চোখ জুড়ানোর মতো। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
দারুন সুন্দর কিছু গাছ এবং ফুলের ছবি পোস্ট করেছেন দেখছি। প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণভাবে ক্যাপচার করেছেন এবং আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে জবা ফুলের ছবি এবং জবা ফুলের পাতার ছবি সবথেকে সুন্দর লাগলো। সব মিলিয়ে দারুন সুন্দর একটি অ্যালবাম আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি একদম চোখ জুড়ানো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম মনে হচ্ছিল একদম বাস্তবে দেখছি। এত অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শীতের সকাল আমি অনেক পছন্দ করি দেখতে। আর শীতের সকালে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলে আরো বেশি ভালো লাগে। শীতের সকালের প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে করলেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা যতই করবো ততই খুব কম হবে। আমার কাছে এক এবং ছয় নাম্বার ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে।
যতই সময় যাচ্ছে ততই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে আমাদের সাথে শেয়ার করছো এটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি। রক্তজবা ফুল আমার ভীষণ প্রিয়। চুলের খোপায় রক্তজবা ফুল পড়লে কিন্তু দারুন দেখায়। এটা সত্যি বলেছো হলুদ সরিষা ফুলের ক্ষেত মুগ্ধতা ছড়ায়। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি বিস্তারিতভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।