রেসিপি পোস্ট :কুমড়োর বড়ি এবং সবজি দিয়ে পালং শাক রান্নার রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৫ জানুয়ারি , রবিবার , ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে পালং শাক রান্নার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি যে খুব ভালো রান্না করতে পারি এমনটা না। তবে আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি কেমন হয়েছে আপনারা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পালং শাক | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতে |
৩ | জিরা, কালোজিরা | এক টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | সামান্য পরিমাণ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | তেল | পরিমাণ মতো |
৭ | আলু | ছোট সাইজ দুইটি |
৯ | চিনি | এক টেবিল চামচ |
১০ | শিম | পরিমাণ মতো |
১১ | মিষ্টি কুমড়া | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমে শাক ধুয়ে পরিষ্কার করে কেটে নিয়েছি। তারপর শিম,আলু এবং মিষ্টি কুমড়া কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নিয়েছি। তারপর আলুগুলো ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
ভেজে আলুগুলোর মধ্যে কেটে রাখা মরিচ দিয়ে নিয়েছি। তারপর পাঁচমিশালী মসলা এবং হলুদ,সামান্য লবণ। দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
তারপর এতে মিষ্টি কুমড়া এবং শিম দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
বেশ কিছু সময় ধরে আলু শিম এবং মিষ্টি কুমড়া একসাথে বেশ কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর এতে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
তারপর কিছু সময় ঢেকে রাখবো। ঢাকনা উঠিয়ে জল শুকিয়ে যাওয়ার পর কেটে রাখা পালং শাক সবজিগুলোর মধ্যে দিয়ে নিয়েছি।সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে নিয়েছি। এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ ধরে নাড়াচাড়া করে নিব।
ধাপ-৬
এভাবে নাড়াচাড়া করে পালং শাকের জল বেরিয়ে আসবে। আরো কিছুক্ষণ সময় এভাবে রান্না করলে পালং শাকের সম্পূর্ণ জল শুকিয়ে যাবে। সম্পূর্ণ জল শুকানোর আগ মুহূর্তে ভেজে রাখা কুমড়োর বড়ি গুলো ভেঙে এর মধ্যে দিয়ে নিয়েছি। সম্পূর্ণ সবজি ভালো করে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৭
রান্নাটি প্রায় হয়ে এসেছে এই অবস্থায় সামান্য পরিমাণ চিনি উপরে ছড়িয়ে নিয়েছি। তারপর ভালো করে চিনি সবটুকু সবজির সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। আমার মা বলে পালং শাকে সামান্য চিনি দিলে এর স্বাদ বেড়ে যায়।
ধাপ-৮
এরপর আরো কিছু সময় রান্না করে নিলে রান্নাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যাবে। রান্নাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে আমি চুলাটি বন্ধ করে রান্নাটি নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
সর্বশেষ আমি একটি পরিষ্কার পাত্রে আমার রান্না করা পালং শাকের রেসিপি পরিবেশন করে নিয়েছি। এটাই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
Daily task
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কুমড়োর বড়ি এবং সবজি দিয়ে পালং শাক রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ দারুন হয়েছে আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি টি।
হ্যাঁ ভাইয়া আসলেই রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি সবগুলো ঠিকঠাক পরিমাপে দেওয়ার। আমার কাছে পালং শাক খেতে অনেক ভালো লাগে। শীতকালে কুমড়ার বড়ি দিয়ে যেকোনো জিনিস রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেকোনো রেসিপির সাথেই কুমড়া বরির কম্বিনেশনটা খুবই মজা লাগে বিশেষ করে আমার কাছে ভালো লাগে। সেই সাথে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপিও বেশ মজা লাগবে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন , শীতকালের প্রতিটি রান্নার সাথে কুমড়া বড়ি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপিটি মোটামুটি ভালো হয়েছিল। আমি তো বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম।
আপনি আজকে চমৎকার একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। আপনি সব কিছু পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করেছেন এবং সেটা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া চেষ্টা করেছি পরিমাণগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার। রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ফুলকপি বাঁধাকপি গাজর বিট ছাড়াও শীতকালে নানান ধরনের সবজি পাওয়া যায় সে কথা অনেকেই ভুলে যায়। শীতের পালং মুখে লেগে থাকার মত স্বাদের হয়। মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে বড়ি শিম এবং পালং এর ঘন্ট আমিও বানাই মাঝেমধ্যে। খুব লোভনীয় খেতে হয়। আপনার রেসিপিটিও বেশ ভালো লাগলো। আশা করি খেতে ভালই হয়েছিল।
হ্যাঁ দিদি ঠিক বলেছেন, পালং শাক আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি কখনো পালং শাক রান্না করিনি এই প্রথম বার রান্না করলাম। খেতে আসলেই অনেক ভালো হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম দিদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শাক আমার বেশ পছন্দের একটা সবজি। যেকোন শাক খেতে ভালো লাগে। কুমড়োর সাথে পালংশাকের কম্বিনেশনে মজা হয়েছে মনে হচ্ছে। আপনি সুন্দর করে রান্নার প্রসেসটা দেখিয়েছেন।
শাক আপনার অনেক পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। আমি নিজেও শাকসবজি খেতে অনেক পছন্দ করি। মিষ্টি কুমড়ার সাথে আসলেই পালং শাক রান্না করলে অনেক ভালো লাগে খেতে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুমড়োর বড়ি এবং সবজি দিয়ে অনেক চমৎকার পালং শাক তৈরি করেছ দেখতে লোভনীয় লাগছে। শীতের সময়ে পালং শাকের রেসিপি খাইতে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতের সময় আসলেই পালং শাকে রেসিপি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বাড়িতে থাকলে মায়ের হাতের পালং শাক রান্না খাওয়া হয় তবে আমি এই প্রথমবারের মতো পালং শাক রান্না করেছিলাম। খেতে মোটামুটি ভালো হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
কুমড়ার বড়ি আমাদের বাসায় তেমন একটা খাওয়া হয় না কখনো। তাই এগুলো দিয়ে তৈরি কোন রেসিপিও খাওয়া হয়নি। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালার টা লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কুমড়ার বড়ি দিয়ে যেকোনো খাবার রান্না করে দেখবেন আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আমার তৈরি রেসিপিটি খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
খুবই মজাদার ও সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। শীতের এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।