বাড়িতে তৈরি মজাদার ফুচকা রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৫ই ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। যে কোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। তাই বাড়িতেই তৈরি করেছিলাম ফুচকা রেসিপি। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার সময় বোন বায়না ধরেছিলো সে ফুচকা খাবে।গ্রামের দিকে সেরকম ভালো ফুচকা পাওয়া যায় না। তাই আমি বাড়িতে যাওয়ার সময় ফুচকা তৈরি করার উপাদান গুলো কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। একদিন সময় করে সবাইকে ফুচকা রেসিপি তৈরি করে খাইয়েছিলাম। আমার তৈরি ফুচকা রেসিপি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কভার ফটো
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ফুচকা | পরিমাণ মতো |
২ | বুটের ডাল | পরিমাণ মতো |
৩ | তেতুল | পরিমাণ মতো |
৪ | আলু | পরিমাণ মতো |
৫ | ডিম | একটি |
৬ | ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
৭ | ম্যাজিক মসলা | এক প্যাকেট |
৮ | জিরার গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০ | চিলিফ্লেক্স | পরিমাণ মতো |
১১ | লবণ | পরিমাণমতো |
১২ | চিনি | পরিমাণমতো |
১৩ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
১৪ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ হাতের কাছে গুছিয়ে নিয়েছি। বুটের ডাউন আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। সেগুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে। বাদবাকি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে ফুচকা তৈরি করতে শুরু করতে হবে।
তৈরি পদ্ধতি
ধাপ-১
আগের দিন রাত্রে বেলা বুটের ডাল জলে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। বুটের ডালের সমান পরিমাণ জল দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। পরের দিন ফুচকা তৈরীর সময় পর্যন্ত বুটের ডাল অনেকটা নরম হয়ে গিয়েছিলো।তারপর বুট সিদ্ধ করে নিয়েছি। পরবর্তীতে জল দিয়ে ডাউলের মত বুট রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-২
পরবর্তীতে পরিমাণ মতো আলু এবং একটি ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা এবং পেঁয়াজ কুচি করে কেটে একটি পাত্রে নিয়ে নিয়েছি। এদিকে ফুচকা তৈরীর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে পরিমাণ মতো তেঁতুল জলে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। তেতুল জলে গুলে গেলে এর মধ্যে থেকে আটি এবং খোসা ফেলে দিয়েছি।
ধাপ-৪
শুকনা মরিচ ভেজে গুড়া করে চিলি ফ্লেক্স তৈরি করে নিয়েছি। এদিকে জিরা ভেজে গুড়া করে নিয়েছি। চিলি ফ্লেক্স, জিরা গুঁড় এবং ম্যাজিক মসলা একটি পাত্রে নিয়েছি। সাথে নিয়েছি পরিষ্কার তেঁতুল জল। এবারে তেতুল জলের মধ্যে সবগুলো মসলা দিয়ে নিয়েছি। এতে আরো দিয়েছি সামান্য চিনি এবং লবণ। এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি ফুচকা খাওয়ার জন্য তেতুলের টক। কি যে মজা হয়েছিলো এই টক কি আর বলবো।
ধাপ-৫
কড়াইয়ে তেল গরম করে ফুচকা গুলো সব ভেজে নিয়েছি। সবগুলো ফুচকা একেবারে ফুলকো ফুলকো হয়েছে।
ধাপ-৬
একটি পাত্রে ধনিয়া পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, জিরাগুরা,ম্যাজিক মসলা, লবণ এবং সামান্য তেল নিয়েছি। সব মশলাগুলো একসাথে ভালো করে মেখে এরমধ্যে সিদ্ধ করে রাখা আলু দিয়ে নিয়েছি। তারপর মসলাগুলোর সাথে ভালো করে মিশিয়ে আলু মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৭
প্রথমে একটি ফুচকার মধ্যে আলুর পুর দিয়ে নিয়েছি। তারপর এরমধ্যে দিয়ে নিয়েছি রান্না করা বুটের ডাউল।
ধাপ-৮
তারপর একে একে এরকম বেশ কয়েকটি ফুচকা তৈরি করে নিয়েছি। এর উপরে আমি একটু ধনিয়া পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়েছি।
পরিবেশন
এভাবে করে বড় এক প্লেট ফুচকা তৈরি করে নিয়েছি। এর উপরে ডিম গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে দিয়ে নিয়েছি। তারপর আমি এটি পরিবেশন করে নিয়েছি।
তেতুলের টকে ভিজিয়ে ফুচকা খেতে দারুন হয়েছিলো।সেই স্বাদ এখনো মনে পড়লে জিভে জল এসে যায়।
আজ এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার আজকের রেসিপিটা দেখে তো জিভে জল চলে এলো। আমরাও মাঝে মাঝে এভাবে বাসায় ফুচকা তৈরি করি। বাইরের ফুচকা খুব একটা খাওয়া হয়না আমাদের। তবে এটা তৈরি করা অনেক ঝামেলার। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের বাসায় শেয়ার করার জন্য।
যে কোন খাবার যদি ঘরে বসে তৈরি করা যায় সেটা অনেকটাই স্বাস্থ্যসম্মত হয়। মজাদার ফুসকা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন অনেক লোভনীয় লাগছে দিদি। পরিবেশন করা ছবি দেখে মনে হচ্ছে একদম দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসা। যাই হোক এতটা লোভনীয়ভাবে ফুচকা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাড়িতে তৈরি মজাদার ফুচকা রেসিপি করেছেন।ফুসকা মেয়েদের পছন্দের একটা খাবার। মেয়েরা ফুসকা খেতে ভীষণ পছন্দ করে।আমি যদিও তেমন একটা পছন্দ করি না, তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ফুচকা যেটা মেয়েদের খুবই প্রিয় খাবার । যদি সেটা বাড়িতে তৈরি করা যায় তাহলে তো আরো ভালো । স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বাড়িতে তৈরি করে খাওয়াই ভালো। আপনি দেখছি খুব সুন্দর করে ফুচকা রেসিপি তৈরি করেছেন অনেক ভালো লাগলো দেখে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফুচকা দেখলেই জিভে জল আসে। আপনি চমৎকার পদ্ধতিতে ফুচকা বানিয়েছেন৷ বাড়িতে বানানোর জন্য বাইরের খারাপ কোন কিছুই নেই এর মধ্যে আর ওপর থেকে ডিম দ্রেট করে দেওয়াটা বেশ লাগল। ফুচকাতে কখনও ডিম খাইনি৷ তবে এই চিপসের ফুচকাগুলো কিন্তু দোকানের ফুচকার মতো হয় না। একটু শক্ত হয়।
Daily task.
অনেক মজাদার এবং লোভনীয় ভাবে আপনি ফুচকা তৈরি করেছেন ঘরোয়া ভাবে। মেয়েরা কিন্তু একটু বেশি পছন্দ করে ফুচকা খেতে। আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে ফুচকা। যারা সবথেকে বেশি পছন্দ করে, তারা কিন্তু লোভ সামলাতে পারবে না আপনার রেসিপিটা দেখলে। ইচ্ছে তো করছে প্লেট থেকে নিয়ে এখনই খেয়ে ফেলি।।
বোনের বায়না মেটাতে বাড়িতে যাওয়ার সময় ফুচকা কিনে নিয়ে গেছেন আসলে সত্যি এটা যে গ্রামের দিকে ফুচকা কিনতে পাওয়া যায় না।আমিও মেয়ের বায়না মেটানোর জন্যে শহর থেকে ফুচকার প্যাকেট কিনে তা বাড়িতে তৈরি করে খেয়েছি সবাই মিলে।বাড়িতে ফুচকা তৈরি করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা ভালো লাগা থাকে।লোভনীয় হয়েছে ফুচকা গুলো। ধাপে ধাপে ফুচকা তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফুচকা আমারও খুবই প্রিয় খাবার । বাহ, বাড়িতে তৈরি করা হলে তো তার স্বাদ অনেক বেশি ভালো। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু খাবার বাড়িতে বানানোই সঠিক। আপনার ফুচকা রেসিপি দেখে সত্যিই ভালো লাগলো, এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।