|| লাইফ স্টাইল : হঠাৎ করেই এত খাবার পাওনা হলো ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সপ্তাহে একটি করে লাইফ স্টাইল পোস্ট করার চেষ্টা করি, ঠিক সেরকমই সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আমার আজকের এই পোস্ট। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এত বড় হওয়ার পরেও, পরিবারের সবাই আমাকে একটা ছোট বাচ্চার চোখে দেখে। মা, বাবা , দাদা এদের কথা তো বাদই দিলাম, অন্য যারা আত্মীয়রা রয়েছে বা ভাই-বোনেরা রয়েছে তারাও আমাকে একটা বাচ্চার চোখেই দেখে, কারণ আমার সমস্ত ভাই বোনেরা আমার থেকে বয়সে কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ বছরের বড়। যেহেতু তাদের হাতে ছোট থেকে আমি বড় হয়েছি তাই এখনো তারা আমাকে সেই ছোটই ভাবে। এদিকে রূপাইও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয়, সেও আমাকে ছোট হিসেবেই দেখে। আমি অবশ্য অন্য সবার মত তার কাছে কোনো কিছুরই আবদার করি না। তবে না চাইতেই আমি সবকিছু পেয়ে যাই।
পরিবারের কেউ দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে আমার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসে সব সময়। কিন্তু রূপাইও যে আমার জন্য এত খাবার নিয়ে আসবে এটা আমি সত্যি ভাবিনি। সে সবসময়ই চায় আমাকে খুশি রাখতে, আমি অবশ্য চাই সবসময় ঝগড়া করতে , হি হি হি। যাইহোক কিছুদিন আগে রুপাই আর রঙ্গিন বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়েছিল। এক মাসের টুর ছিল তাদের। গত শনিবার ৩০ শে ডিসেম্বর বিকালেই ওরা ফিরেছে। তারপর আমাকে দেখা করার জন্য বলেছিল। যদিও আমার পড়া ছিল, তারপরেও কিছুটা সময় বার করে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
গিয়ে তো আমি অবাক, এত খাবার আমার জন্য দেখে । বাংলাদেশে ঘুরতে গেলেও, যেখানে যে খাবারটা আমি খেতে পছন্দ করব বলে তার মনে হয়েছে সে কিন্তু নিতে ভোলেনি। তবে আমার সাথে কিছুই বলেনি। প্রতিদিনই জিজ্ঞেস করত, আমার কিছু লাগবে কিনা, পছন্দের কোনো জিনিস আছে কিনা, যেটা সে নিয়ে আসবে। আসলে কোনটা খেতে ভালো হবে বা না হবে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না , তাই বলেছিলাম গ্রামের দিকে ঘুরতে গেলে সবেদা নিয়ে আসতে। কারন আমাদের এদিকে সচরাচার দেখা মেলে না এর। এদিকে আমার খুব প্রিয় একটি ফল এটি।
পরে শুনলাম, সে গ্রামে ঘুরতে গিয়ে কোনো এক লোকের বাড়ির গাছ থেকে আমার জন্য সবেদা নিয়ে এসেছে, সাথে কিছু কাঁচা তেতুঁলও নিয়ে এসেছে বলে আমি জানতাম। কিন্তু গিয়ে তো দেখলাম শুধু সবেদা আর তেতুঁল নয়, তার সাথে আরো অনেক খাবার রয়েছে। সত্যি বলতে, অনেক খুশি হয়েছিলাম এগুলো দেখে। হঠাৎ করে কেউ কিছু দিলে, প্রত্যেকটা মানুষই খুশি হয়। আমিও তো এর ব্যতিক্রম নই।
যেহেতু আচার আমার খুব প্রিয়, তাই আমার জন্য বেশ কয়েক রকমের আচার নিয়ে এসেছিল - যার মধ্যে ছিল তেঁতুল, বরই, আম, জলপাই, আর মিক্সড ফ্রুট এর চাটনি। এছাড়াও কিছু খোলা আচার নিয়ে এসেছিল যার মধ্যে ছিল চালতা, আর মিক্সড ফ্রুট আচার । এছাড়া এনেছিল স্পাইসি বিস্কুট , আর দুই ধরনের বেকারী বিস্কুট যেগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আর তাছাড়া সবেদা আর তেতুঁল তো ছিলই। আমি যেহেতু আমার মা কে না দিয়ে কোন কিছুই খাই না ,তাই মায়ের জন্য একটা ভাগ করেছিলাম আর আমার জন্য আর একটা ভাগ ,হি হি হি।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | realme 8i |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
আমি তো প্রথমে প্রাণ এর পটাটা বিস্কিটটা দেখেই খুশি হয়ে গিয়েছিলাম! ওটা আমার ভীষণ পছন্দের! আশা করছি আপনারও ভালো লাগবে...
আমার কাছেও প্রাণের পটাটা বিস্কুটটা অনেক ভালো লেগেছে দিদি। আপনারও দেখছি ওটা অনেক পছন্দের।
রঙ্গিন ভাইয়া ও রুপাই ভাইয়া আপনার কি হয়?
এগুলো সব আমাদের দেশীয় খাবার। আসলে সবেদা আমরাও খুব সহজে পাইনা। ভালোই হয়েছে মায়ের সাথে ভাগাভাগি করে খেয়েছেন।
আমার ভালো বন্ধু হয় আপু।
আপনাদের দেশের খাবার গুলো সত্যি অনেক ভালো খেতে ছিল আপু।
এত্তো এত্তো খাবার জিনিস উপহার পেতে কার না ভালো লাগে।অনেক কিছুই তো আপনার জন্য নিয়ে গেছে দেখছি।আচারও তেঁতুল দেখে তো জিভে জল চলে আসলো।জেনে ভালো লাগলো যে আপনি মায়ের জন্য এক ভাগ রেখে দিয়েছেন। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
গিফট পেতে সত্যি ই খুব ভালো লাগো।আর তা যদি হয় পছন্দের খাবার। তবে তো কোন কথাই নেই।রঙিন আর রুপাই ভাইয়া বাংলাদেশে প্রায় এক মাস ছিল।যাবার সময় আপনার পছন্দের সফেদা ফল ও পছন্দের আচার নিয়ে গিয়েছিল।আপনি আপনার মায়ের জন্য এক ভাগ রেখে নিজের জন্য এক ভাগ রাখলেন।খুবই ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য। তারা কি আপনার আত্মীয় হন দিদি??
তারা আমার ভালো বন্ধু হয় আপু।
সত্যি পছন্দের খাবার গুলো পেলে খুব ভালো লাগে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।