|| জেনারেল রাইটিং : আমাদের জীবনে যার ভূমিকা যতটুকু ততটুকুই থাকে ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করব। " আমাদের জীবনে যার ভূমিকা যতটুকু ততটুকুই থাকে " এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকের জেনারেল রাইটিংটি লিখেছি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রতিদিন আমরা বহু বাস্তবতার সম্মুখীন হই। কখনো সেটা ক্ষণিকের ভালো হিসেবে আমাদের জীবনে নেমে আসে,কখনো সেটা ক্ষনিকের দুঃখ। ভালো টাকে তো সবাই আমরা সহজেই
গ্রহণ করতে পারি, কিন্তু দুঃখটাকে গ্রহণ করতে সকলেরই অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু সেটাও আমাদের সকলেরই খুব সুন্দর ভাবে মেনে নিতে হবে। ধরে নিতে হবে এর পরেই আমাদের জীবনে আরো ভালো কিছু হতে চলেছে। কারণ আমরা সকলেই জানি সুখ আর দুঃখ একে অপরের সঙ্গে জড়িত। সুখের পরে যেমন দুঃখ আসবেই ঠিক তেমনই দুঃখের পরে সুখ ও আসবে। তাই দুঃখের মুহূর্ত গুলোকে আমাদেরকে হাসিমুখেই কাটিয়ে দিতে হবে। ভেঙে পড়লে চলবে না। কারণ ভেঙে গেলাম তো হেরে গেলাম। আর ছোট্ট এইটুকু জীবনে হেরে গেলে তো চলবে না।
বাস্তবিক জীবনে কোনো মানুষের জন্য কিছুই আসলে আটকে থাকে না। হয়তো আমরা কোনো কোনো মানুষকে খুব আপন ভেবে নিই। ধরে নেই সে আমাদের সাথে সারা জীবন থাকবে। আর তাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে আমরা আবদ্ধ হয়ে যাই। সেটা যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, আমাদের মনে রাখতে হবে বর্তমান সময়ে স্বার্থপরতায় চারিদিক ঘেরা। স্বার্থ শেষ মানে আপনার প্রয়োজন শেষ তার জীবন থেকে। আর স্বার্থ আছে মানে আপনি তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা মানুষ হিসেবে ভূমিকা পেয়েছেন কিছুদিনের জন্য। দুই পক্ষের মানুষই যদি স্বার্থপরতা নিয়ে কোনো সম্পর্কে যায়, তাহলে তো তারা সহজেই অন্য মানুষের ভূমিকা ভুলে যাবে তাদের জীবন থেকে।আর উভয় পক্ষের মানুষই যদি স্বার্থহীন ভাবে কোনো সম্পর্কে যায় তাহলে সে সম্পর্ক কখনো শেষ হওয়ার নয়।
এটা শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধব বা প্রেমিক- প্রেমিকার সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয় প্রত্যেকটা সম্পর্কের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রতিদিন
ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এ বহু মানুষের মন ভাঙার ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস বা ভিডিও দেখে থাকি। বহু মানুষকে ভেঙে পড়তে দেখি, আসলে আমরা সবাই একটা বয়স পর সবই বুঝি, কিন্তু আমাদের মনকে সেটা বোঝাতে কষ্ট হয়। মনকে বুঝিয়ে ফেলতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান। বুঝিয়ে ফেলতে হবে, যেটা হয়েছে ভালোই হয়েছে। কোনো মানুষের জন্য কিছুই আটকে থাকবে না, সেটা না আপনার জীবনে আর না তার জীবনে। আপনি কারো জন্য দুঃখ পেয়ে জীবনের কয়েকটা দিন থমকে গেলেন মানে আপনি ওই সময়টুকু পিছিয়ে গেলেন। তাই পরিস্থিতি যেমনই হোক, ধরে নিতে হবে এটা হওয়ার ছিল। আর তাদের ভূমিকা এইটুকুই ছিল আমাদের জীবনে।
তাই ধরে নিতে হবে,আগে থেকেই এরকম ঠিক করা ছিল। তাই ঠিক সময় মতো সেটা শেষ হয়েছে। না হলে হয়তো পরবর্তীতে আরও ভয়ঙ্কর কিছু হত। তাই ধরে নিতে হবে, আপনি আরও বড়ো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সে যদি তার ভূমিকা শেষে ভালো থাকতে পারে, আপনি কেন পারবেন না? তাই, ভেঙে না পড়ে ভেবে নিন ওইটুকু ভূমিকা ছিল আপনাদের, ঐটুকু যোগাযোগ ছিল। আর সেই সাথেই নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
পোস্ট বিবরণ | জেনারেল রাইটিং |
---|
https://x.com/GhoshPuja2002/status/1808522331939336693?t=aRl1Mp_b6E3y63PPSuZfwQ&s=19
মানুষের জীবনে স্বার্থের ভূমিকা খুব বেশি, এটি এমন একটি বিষয় যা সবসময়ই আমাদের জীবনকে ঘিরে ধরে তার থেকে উত্তরণের খুব বেশি সুযোগ নেই।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বার্থ একটি বড় ফ্যাক্টর যা আপনি তুলে ধরলেন, তা অনেকাংশেই সত্য। স্বার্থহীন সম্পর্ক টিকে থাকে অনেকদিন, তবে ভাঙন একদিন আসবেই তা অনিবার্য।
তবে ভাঙনের কারণে ভেঙে পড়া ঠিক নয়, কারন জীবন তো কারো জন্য থেমে থাকে না আর থেমে থাকাও জীবনের ধর্ম নয়।
বাস্তবধর্মী কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিছু বিষয়ে সবার জন্যই অনুপ্রেরণা রাখা আছে লেখাটিতে।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কেন আমাদের সমাজে যার যতটুকু ভূমিকা ঠিক ততটুকুই থাকা উচিত। তার বেশি ভূমিকা দেখাতে গেলেই আসলে সমস্যা, আমরা যেহেতু মানুষ সেহেতু আমাদের সুখ-দুঃখ উভয় অনুভূতি মেনে নিতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা করি না, আমরা সব সময় সুখটাকে গ্রহণ করে এবং দুঃখটাকে এড়িয়ে চলি। সভ্য সমাজে বা মানুষ হিসেবে এটা আমাদের কখনোই করা উচিত না।