|| লাইফ স্টাইল : অবশেষে একটা ইচ্ছে পূরণ হল ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ সত্যিই আমার অনেক বড় একটা ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরণ হলো বলতে পারেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরেই ফার্মাসিতে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু করোনার মতো মহামারীর কারণে সেটা তখন আর হয়ে ওঠেনি। তাই সেই সুযোগে বি.এস.সিতে ভর্তি হয়েছিলাম যাতায়াতের অসুবিধার কারণেই। এক বছর পরেই করোনা চলে গেল, তখন ভাবলাম গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরেই ফার্মাসিতে ভর্তি হব। তাই গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই, ফার্মেসিতে ভর্তির জন্য কথা বলে রেখেছিলাম । কিছুদিন আগেই সিট বুক করে এসেছিলাম তার জন্য মা আর আমি গিয়ে। আর আজ সেখানে অ্যাডমিশন কমপ্লিট করে আসলাম। আজকের দিনটা আমার কাছে সত্যিই খুব স্পেশাল। তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিই খুশিটা ।
ফেব্রুয়ারি থেকেই অ্যাডমিশন শুরু হয়েছে, কিন্তু যেদিন থেকে অ্যাডমিশন শুরু হয়েছে ঠিক তার পরের দিনই আমার মায়ের অপারেশন ছিল । সেই কারণে, আমার চেনা একজন স্যারের সাথে কথা বলে রেখেছিলাম, মার্চে ভর্তি হতে যাব বলে। কিন্ত মা ও সুস্থ হয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগছে, তাই বাড়ি থেকে বেরোতেও পারছিলাম না। তবে স্যারের সাথে মাঝে মাঝেই যেহেতু যোগাযোগ করতাম, তাই লাস্ট ডেট ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। গত তিনদিন আগেই জানতে পারলাম ৩১ সে মার্চ ভর্তির লাস্ট ডেট ঘোষণা হয়েছে। আর অন্য বছর গুলোতে কোর্স ফী থাকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার আর সেটা বেড়ে গিয়ে এ বছর হয়েছে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার। ৪ টে সেমিস্টারে এই পুরো টাকা দিতে হবে, যার মধ্যে প্রথম সেমিস্টারে দিত হবে ৮৫ হাজার টাকা। যেটা আগে ছিল ৭০ হাজার। এটা আমার কাছে অনেকটাই সমস্যা। যাইহোক, সিট বুকিং এর সময় ১০ হাজার দেওয়া ছিল আর এখন মোট ৭৫ হাজার দিতে হবে। কথাটা শোনার পর থেকে বেশ টেনশনে ছিলাম।যাইহোক, স্টিমিট থেকে কিছু টাকা তুলে আর বাবার কাছ থেকে বাদ বাকিটুকু নিয়ে আজ ভর্তি হয়ে এসে খুব নিশ্চিন্ত লাগছে। সেই সাথে নতুন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য বেশ খুশি লাগছে।
আমি, বাবা আর আমার খুব কাছের একজন বন্ধু গিয়েছিলাম ভর্তি হতে। যেহেতু, মা অসুস্থ তাই মা যেতে পারেনি। প্রত্যেকটা স্যার ম্যাডামের ব্যবহার অত্যন্ত ভালো ছিল, মনে হচ্ছিল যেন কত দিনের পরিচিত। ভর্তির পর তারা আমাদের সবকিছু সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলে দিলেন। তারপর আমরা যারা ভর্তি হয়েছি, তাদের সকলকে একটি করে ছোট্ট উপহার দেওয়া হয়েছে ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে। গিফটা পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম। আর ইউনিভার্সিটি টি এত সুন্দর পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন আর সাজানো গোছানো যে কিছু ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না। বেশ কয়েক ধরনের ফুল গাছ্ দিয়ে সাজানো ছিল জায়গাটা , সেগুলোরও ফটোগ্রাফি করেছি, তবে সেগুলো অন্য কোনদিন পোস্ট করব।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
যদিও খরচের পরিমানটা একেবারে কম নয় কিন্তু স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পেরেছে সেটা অবশ্যই সৌভাগ্যের বিষয়।
আশা করি আমি ভালভাবো পড়াশুনা শেষ করতে পারেন।
জীবনের স্বপ্ন গুলো যখন পূরণ হয় সেই অনুভূতিটাই থাকে অন্যরকম । যেমনটা আপনি নতুন ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পেরেছেন। সেখানকার পরিবেশ এবং শিক্ষকদের ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করেছে। এই দিনটি সত্যিই আপনার জন্য স্পেশাল ছিল। আপনার মা সঙ্গে গেলে আরো ভালো লাগতো। অনেকগুলো টাকা লেগেছে ভর্তি হতে যেটা আপনি এই প্লাটফর্মে কাজ করার মাধ্যমে কিছুটা সহায়তা করতে পেরেছেন। এই খুশির মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে । আপনার অনেক বড় একটি ইচ্ছা পূরণ হয়েছে এবং সেই আনন্দটা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে সত্যি অনেক বেশি খুশি লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। আর আপনার স্বপ্ন পূরণের আনন্দটা আমাদের সাথে ভাগ করেছেন দেখে আরো ভালো লাগছে। সব সমস্যা কাটিয়ে ভর্তি হতে পেরেছেন এটা জেনে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আসলে আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করলে আমাদের অনেক ভালো লাগে৷ সেই স্বপ্ন যখন পূরণ হওয়ার সে মুহূর্ত মুখে বলে প্রকাশ করা যায় না। সেরকম মুহূর্তগুলো আমাদের সারা জীবন মনে থেকে যায়৷ আর আপনি আজকে যেভাবে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একদম অসাধারণ ভাবে আপনি আপনার এই পর্বের মুহূর্তটি শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আশাকরি আপনার মা খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা। আশাকরি আপনার শখের এই একাডেমিক শিক্ষা টা আপনি খুবই সফলতার সাথে শেষ করতে পারবেন। আপনার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস যে অনেক সুন্দর গোছানো পরিষ্কার এটা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা গিয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা আপু। আশাকরি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন।
ইচ্ছে পূরণ হলে আনন্দটা অনেক বেশিই হয়।সেই আনন্দ আজ আমাদের মাঝে ভাগ করে নিলেন দিদি।খরচটা বেশী হলেও মনের মতো একটি বিষয়ে পড়বেন এটাই বা কম কি।ইউনিভার্সিটির পরিবেশ চমৎকার লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে আপনার ইচ্ছে পূর্ণ হল জেনে ভালো লাগলো আপু। আসলে মাঝে মাঝে অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছে গুলো পূর্ণ হয় না। আপনার মায়ের অপারেশন হয়েছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। ওনার জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ রইল যেন উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ভর্তির জন্য টাকার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে এটা তো ঠিক, তবে শেষ পর্যন্ত যে তুমি সিট পেয়েছো এটাই অনেক বড় ব্যাপার দিদি। কারণ এই সাবজেক্টে সিট পাওয়া বেশ মুশকিল একটা ব্যাপার। যদিও মাঝখানে তোমার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেছিলাম আমি। উনি এখন কেমন আছেন? যাইহোক, আমার কাছে আসলে আপনার ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসটা অনেক বেশি ভালো লাগলো দিদি।